গমের বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা
Published : Sunday, 14 February, 2021 at 3:28 PM Count : 314
চলতি বছরে দিনাজপুরে গমের বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা রয়েছে। ধানের পাশাপাশি কৃষকরা গম চাষে আগ্রহী হয়েছেন।
দিনাজপুরের প্রত্যন্ত গ্রামাঞ্চলে সবুজে ছেয়ে গেছে গমের মাঠ। ধানের চেয়ে গম চাষে খরচ ও শ্রম দুটোই কম লাগে। প্রতি বিঘা জমিতে গম চাষে কৃষকের খরচ হয় ৬ থেকে সাড়ে ৬ হাজার টাকা। তাই অল্প শ্রমে স্বল্প ব্যয়ে কৃষকরা গম চাষে আগ্রহী হয়ে উঠেছেন। এক বিঘা জমিতে ১৪ থেকে ১৮ মণ গম উৎপাদিত হয়।
স্থানীয় কৃষকদের দাবি, কৃষি অফিসের জনবল বৃদ্ধি করে গম চাষে আরও সেবা দিলে তারা আরও বেশি গম উৎপাদন করতে পারবে।
কৃষক আব্দুর রহমান জানান, অনেক আশা করে জমি প্রস্তুত করে গমের বীজ বপন করেছি। গম ভাল হলে পরিবার-পরিজনদের নিয়ে সুখে-শান্তিতে থাকতে পারবো। তাই যত্ন সহকারে জমি তৈরি করে গমের বীজ বপন করেছি। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় আশা করছি এবার গমের ফলন ভাল পাবো।
জেলা কৃষি অধিদপ্তর সুত্রে জানা যায়, গত বছরের চেয়ে এ বছরে গমের চাষ বৃদ্ধি পেয়েছে। গেল বছরে জেলায় ৬ হাজার হেক্টর জমিতে কৃষকরা গম চাষ হয়েছে। তা বৃদ্ধি পেয়ে চলতি মৌসুমে ১৩টি উপজেলায় প্রায় ৬ হাজার ১’শ হেক্টর জমিতে গম উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে।
হাকিমপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা ড. মমতাজ সুলতানা জানান, নিরাপদ খাদ্য উৎপাদনসহ মানবদেহে পুষ্টিকর খাদ্য বৃদ্ধি করতে মাঠে নিরলস ভাবে কাজ করা হচ্ছে। উৎপাদন কাজে কৃষকের পাশাপাশি সহায়তা করতে গিয়ে উপজেলায় কৃষি কর্মকর্তা, উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তারা ফসল উৎপাদনে মাঠে সার্বক্ষণিক কৃষকদের পরামর্শসহ সরকারি সার, বীজ, প্রণোদনা সহায়তা করছে।
তিনি আরও জানান, প্রধান ফসল ধানের পাশাপাশি গম খাদ্য হিসেবে চাষ হচ্ছে। গম চাষীরা উচ্চ ফলনশীল বারি ২৫, বারি ২৬, বারি ২৮, বারি ৩০ ও বারি ৩১ জাতের গম চাষ করছেন। এ বছরে চলতি মৌসুমে উপজেলায় প্রায় ১৬০ হেক্টর জমিতে গম উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে। আগামী মার্চ মাসের শেষের দিকে কৃষকরা গম কেটে তাদের ঘরে তুলতে পারবে বলে আশাবাদী।
-এমআর/এমএ