২৪ ঘন্টা পার না হতেই বাদির মত পরিবর্তন
Published : Tuesday, 16 June, 2020 at 10:50 AM Count : 296
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগরের ধর্ষণ ও অপহরণ মামলার বাদি পুলিশের বিরুদ্ধে জোরপূর্বক স্বাক্ষর নেওয়ার অভিযোগ করে ২৪ ঘণ্টা পর না হতেই সুর পাল্টে ফেলেছেন।
সোমবার এক সংবাদ সম্মেলনে অপহরণকারীদের হুমকিতে সাংবাদিকদের কাছে পুলিশের বিরুদ্ধে জোরপূর্বক স্বাক্ষর নেওয়ার অভিযোগ করেছিলেন বলে জানান তিনি।
সাংবাদিক সম্মেলনে মামলার বাদি তার লিখিত বক্তব্যে বলেন, 'আমি মামলা করতে চাই না, পুলিশই জোর করে আমাকে মামলা করতে বাধ্য করেছে, এগুলো আসলে তাদের (অপহরণকারীরা) শেখানো কথা ছিল। আমি ওই সময় এসব কথা সাংবাদিকদের না বললে আমাকে ওরা মেরে ফেলত। তাই তখন সাংবাদিকদের কাছে এসব কথা বলতে বাধ্য হয়েছি। আমি আসলে নিজের ইচ্ছাতেই মামলা করেছিলাম।
তিনি আরও বলেন, মূলত আমার মেয়েকে অপহরণকারীর বড় ভাই স্থানীয় সাংবাদিক বর্ষণ ফারহান বাবুল ভয়ভীতি দেখিয়ে আমাকে দিয়ে আগের কথাগুলো সাংবাদিকদের কাছে বলাতে বাধ্য করেছিল। কথাগুলো আমার নিজের ছিল না।
২৪ ঘণ্টা পার না হতেই বাদির এই আকস্মিক রহস্যজনক সংবাদ সম্মেলন নিয়ে এলাকায় নানা মুখরোচক আলোচনা চলছে।
তবে এ বিষয়ে ধর্ষণ ও অপহরণ মামলার একমাত্র আসামি রিয়াদুল ইসলাম শান্তর বড় ভাই স্থানীয় সাংবাদিক বর্ষণ ফারহান বাবুল মঙ্গলবার সকালে সাংবাদিকদের বলেন, ভয় ভীত আমি নই, মূলত পুলিশ ও স্থানীয় সাংবাদিকদের একটি গ্রুপ ওই নারীকে দেখিয়েছেন। যার ফলে ২৪ ঘণ্টা না পেরুতেই পুলিশ ও স্থানীয় সাংবাদিকদের একটি চিহ্নিত সিন্ডিকেট গ্রুপ যৌথভাবে মিলে সংবাদ সম্মেলনের নামে নতুন এই হাস্যকর নাটক সাজিয়েছে। সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ তদন্ত হলে এসব ষড়যন্ত্র বের হয়ে যাবে।'
পুলিশ সুপার মো. আনিসুর রহমানের কাছে সোমবার সকালে বিষয়টির একটি সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ তদন্ত চেয়ে সাংবাদিক বর্ষণ ফারহান বাবুল একটি আবেদন করেছেন বলেও জানান আসামীর ভাই।
এ বিষয়ে পুলিশ সুপার আনিসুর রহমানের সঙ্গে কথা বলার চেষ্টা করেও সম্ভব হয়নি।
মামলা করতে রাজী না হওয়ার পরও পুলিশের এসআই নজরুল ইসলাম বাদির নিকট থেকে জোরপূর্বক স্বাক্ষর নিয়ে অপহরণকারীর বিরুদ্ধে ধর্ষণ ও অপহরণ মামলা করতে বাধ্য করেছিলেন বলে সাংবাদিকদের কাছে অভিযোগ করেছিলেন বাদি।
-ডিএইচ/এমএ