প্রাথমিকের দুই শিক্ষককে রড দিয়ে মেরে রক্তাক্ত করলো প্রতিপক্ষ
Published : Wednesday, 22 April, 2020 at 9:10 PM Count : 573
ময়মনসিংহের গফরগাঁওয়ে পূর্ব বিরোধের জের ধরে প্রতিপক্ষের হামলায় একই পরিবারের দুই শিক্ষকসহ তিনজন গুরুতর আহত। ঘটনায় গুরুতর আহতরা ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
আহতরা মশাখালী ইউনিয়নের বাইলনা গ্রামের অবসরপ্রাপ্ত মাদ্রাসার সুপার আবু বকর সিদ্দিক ফারুকীর মেয়ে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষিকা মাহবুবা আক্তার রায়হান (৪০), ছেলে শিক্ষক মাহমুদুর রহমান আহাদ (৩৮) ও মেজবাহউদ্দিন ফয়েজ( ৩০)।
বুধবার (২২ এপ্রিল) দুপুরে উপজেলার মশাখালী ইউনিয়নের বাইলনা গ্রামে ঘটনাটি ঘটে।
জানা যায়, বাইলনা মড়ল বাড়ির সাবেক ইউপি সদস্য জসীমউদ্দীনের সাথে জমি নিয়ে বিরোধ হয় তারই সম্পর্কে ভাতিজা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক মাহমুদুর রহমান আহাদের। এক পর্যায়ে সাবেক ইউপি সদস্য সন্ত্রাসী- জসীম উদ্দিন তার ছেলে জিহাদ, জিসান ও স্ত্রী- হামিদা খাতুন লোহার রড ও বাঁশ নিয়ে মাহমুদুর রহমান আহাদ মুখে, ঠোঁটে প্রচন্ড আঘাত করতে থাকে এতে তার ৩-৪ টা দাঁত পড়ে যায়। ওই সময় তার বোন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষিকা মাহবুবা আক্তার রায়হান ঝগড়া থামাতে আসলে সন্ত্রাসীরা তার উপরও আক্রমণ করে। সন্ত্রাসীদের উপর্যুপরি লাঠি ও রডের আঘাতে শিক্ষিকার বাম পা ও বাম হাতের কব্জির উপর ভেঙ্গে যায়। এরপরও দমে যায়নি সন্ত্রাসীরা গুরুতর আহত শিক্ষক-শিক্ষিকার ছোটভাই মেজবাউদ্দিন ফয়েজের উপর আক্রমণ করে তার বাম হাতে ও উরুতে রড ও বাঁশ দিয়ে আঘাত করে গুরুতর আহত করে।পরে বাড়ির লোকজন ও প্রতিবেশীরা এসে তাদের উদ্ধার করে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করে। এই ঘটনায় পাগলা থানায় অভিযোগের প্রস্তুতি নিচ্ছে শিক্ষক পরিবার।
সাবেক ইউপি সদস্য জসিমের মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে তিনি জানান, ওরা আমার বাড়িতে হামলা করেছে। আমার লোকজন তাদের প্রতিহত করেছে।
শিক্ষক মাহমুদুর রহমান বলেন, এর আগেও তারা প্রাণনাশের হুমকি দিয়েছে। হত্যার উদ্দেশ্যে আমাদের উপর আক্রমণ করে আমাদের তিন ভাইবোনকে গুরুতর আহত করেছে।
ঘটনায় বাংলাদেশ প্রাথমিক শিক্ষক সমিতি গফরগাঁও উপজেলা শাখা ও কান্দিপাড়া শাখার নেতৃবৃন্দ তীব্র নিন্দা প্রকাশ করে।
বাংলাদেশ প্রাথমিক শিক্ষক সমিতি গফরগাঁও উপজেলার সভাপতি আমিনুল ইসলাম বলেন, শিক্ষকদের এভাবে নির্দয় ভাবে মেরে দেশে চলমান পরিস্থিতিতে গর্হিত একটি কাজ করেছে সন্ত্রাসীরা। দ্রুত সন্ত্রাসীদের আইনের আওতায় এনে বিচারের দাবি জানাচ্ছি।
পাগলা থানার অফিসার ইনচার্জ শাহিনুজ্জামান খান জানান, এ ঘটনায় এখনো কোনো অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এমএ/এইচএস