মহালছড়ির দুই গ্রামে পৌঁছায়নি বিদ্যুতের আলো
Published : Monday, 9 March, 2020 at 12:51 PM Count : 520
খাগড়াছড়ির মহালছড়ি উপজেলার ১ নং সদর ইউনিয়নের ৯ নং ওয়ার্ডের মুড়াপাড়া ও যৌথখামার ত্রিপুরা পাড়ার অধিবাসীরা বর্তমান প্রযুক্তির যুগেও বিদ্যুতের আলো থেকে বঞ্চিত।
যেখানে সদর থেকে প্রায় ২০ কিলোমিটার দূরে বিদ্যুৎ পৌঁছে গেছে সেখানে সদরের ভেতরে থাকা এই দুই গ্রামের বাসিন্দারা এখনও পাননি বিদ্যুতের আলো। গ্রামের পাশ দিয়ে গেছে বিদ্যুতের লাইন। রাস্তার এক পাশে বিদ্যুৎ আছে অন্য পাশে বিদ্যুৎ নেই।
এই দুই পাড়ায় রয়েছে, একটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ইউনিসেফ'র দুটি স্কুল, একটি বৌদ্ধ মন্দির, একটি কালি মন্দির ও একটি ত্রিপুরা ছাত্রাবাস। স্কুলগুলোতেও ব্যাহত হচ্ছে শিক্ষা কার্যক্রম।
প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণা মুজিববর্ষ উদযাপনের মধ্যে সমগ্র বাংলাদেশে তথা গ্রামের আনাচে কানাচে বিদ্যুতের আলো পৌঁছে দেওয়া। এই আশায় প্রহর গুনছেন গ্রামের বাসিন্দারা। এই গ্রামে প্রায় ২শ পরিবারের ১ হাজার লোকের বসবাস।
গ্রামের বাসিন্দা বিনন্দ ত্রিপুরা বলেন, 'এই গ্রামের বাসিন্দাদের আধুনিক সুযোগ সুবিধার জন্য বিদ্যুতের কোন বিকল্প নেই। বিদ্যুতের জন্য ছেলে-মেয়েদের পড়াশোনাসহ সবকিছুর জন্য সমস্যা পোহাতে হচ্ছে এলাকাবাসীর।
গ্রামের ৯ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য দোঅংপ্রু মারমা বলেন, 'সমস্যা সমাধানে পার্বত্য চট্টগ্রাম বিদুৎ বিতরণ উন্নয়ন প্রকল্প, রাঙ্গামাটি বরাবর আবেদন করা হয়েছিলো। ওই প্রকল্পের একজন কর্মকর্তা সরেজমিনে এসে দেখে গেছেন। কিন্তু এখন পর্যন্ত কোন সুফল পাওয়া যায়নি।'
এ বিষয়ে মহালছড়ি বিদ্যুৎ বিতরণ বিভাগের নব যোগদানকৃত আবাসিক প্রকৌশলী ইরাতোষ চাকমার সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, 'সবেমাত্র তিনি এখানে যোগদান করেছেন। ওই এলাকার বিষয়ে তিনি অবগত নন। তবে তিনি চেষ্টা করবেন যাতে ওই এলাকার বাসিন্দারা বিদ্যুতের সংযোগ পায়।'
এ ব্যাপারে পার্বত্য চট্টগ্রাম বিদ্যুৎ বিতরণ উন্নয়ন প্রকল্পের সহকারী প্রকৌশলী আসফাকুর রহমান মুজিবের সঙ্গে মুঠোফোন যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, 'মুজিববর্ষের ভেতরে (পরবর্তী বাজেটে) ওই এলাকায় বিদুৎ সংযোগ দেওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।'
-এমসিকে/এমএ