যে কারণে স্বামীকে ডিভোর্স দিলেন শাবনূর
Published : Wednesday, 4 March, 2020 at 11:37 AM Count : 1069
ঢাকাই সিনেমার নন্দিত অভিনেত্রী শাবনূর তার স্বামী অনিক মাহমুদ হৃদয়কে ডিভোর্স দিয়েছেন। ডিভোর্স নোটিশে স্বামী অনিক মাহমুদ হৃদয়ের বিরুদ্ধে গুরুতর অনেক অভিযোগ এনেছেন শাবনূর।
শাবনূরের তালাক নোটিশ তৈরি করা অ্যাডভোকেট কাওসার আহমেদ এ তথ্য জানিয়েছেন।
তিনি আরও জানান, শাবনূরের স্বামী অনিক মাদকাসক্ত। রাত-বিরাতে মাতাল হয়ে বাসায় ফেরেন। শাবনূরকে নানা রকম নির্যাতন করেন। স্ত্রী-সন্তানের প্রতি দায়িত্বও পালন করেন না। বিরক্ত হয়েই তার কাছ থেকে বিচ্ছেদ চেয়েছেন এ নায়িকা।
কাওসার আহমেদ জানান, গত ২৬ জানুয়ারি স্বামী অনিককে তালাক দিয়েছেন শাবনূর। তালাকের নোটিশ অনিকের উত্তরা ও গাজীপুরের ঠিকানায় পাঠানো হয়েছে।
নোটিশে শাবনূর বিচ্ছেদের কারণ উল্লেখ করেছেন, আমার স্বামী অনিক মাহমুদ হৃদয় স্ত্রী এবং সন্তানের প্রতি যথাযথ যত্নশীল না এবং আমাদের রক্ষণাবেক্ষণ করে না। সে মাদকাসক্ত। অনেক বার মধ্যরাতে মদ্যপ্ত অবস্থায় বাসায় এসে আমার ওপর শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন চালিয়েছে। আমাদের ছেলের জন্মের পর থেকে সে আমার কাছ থেকে দূরে সরে থাকছে এবং অন্য একটি মেয়ের সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে আলাদা বসবাস করছে।
শাবনূর আরও উল্লেখ করেন, একজন মুসলিম স্ত্রীর সঙ্গে স্বামী যে ব্যবহার করেন, অনিক সেটা করছেন না, উল্টো নানা ভাবে আমাকে নির্যাতন করে। এসব কারণে আমার জীবনে অশান্তি নেমে এসেছে। চেষ্টা করেও এসব থেকে তাকে ফেরাতে পারিনি। বরং আমার সন্তান এবং আমার ওপর নির্যাতন আরও বাড়তে থাকে। যে কারণে মনে হলো, তার সঙ্গে আমার আর বসবাস করা সম্ভব নয় এবং আমি কখনো সুখী হতে পারবো না।
তাই নিজের উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ এবং সুন্দর জীবনের জন্য তার সঙ্গে সব সম্পর্ক ছেদ করতে চাই। মুসলিম আইন এবং শরিয়ত মোতাবেক আমি তাকে তালাক দিতে চাই। আজ থেকে সে আমার বৈধ স্বামী নয়, আমিও তার বৈধ স্ত্রী নই।
২০১১ সালের ৬ ডিসেম্বর ব্যবসায়ী অনিক মাহমুদ হৃদয়ের সঙ্গে আংটি বদল করেন শাবনূর। এরপর ২০১২ সালের ২৮ ডিসেম্বর তারা বিয়ে করেন। বিয়ে করে সুদূর অস্ট্রেলিয়ায় পাড়ি জমিয়েছিলেন এই অভিনেত্রী। তাদের সংসারে ২০১৩ সালের ২৯ ডিসেম্বর পুত্র সন্তানের জন্ম হয়। যার নাম আইজান নিহান।
-এমএ