নেপালের রাষ্ট্রপতি বিদ্যা দেবী ভান্ডারির আমন্ত্রণে চারদিনের এক সরকারি সফরে নেপালের উদ্দেশে ঢাকা ত্যাগ করেছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ।
রাষ্ট্রপতি ও তাঁর সফরসঙ্গীদের বহনকারী বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি নিয়মিত ফ্লাইট (বিজি ০০৭১) মঙ্গলবার বেলা ১২টা ০৪ মিনিটে নেপালের উদ্দেশে রাজধানীর হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ছেড়ে গেছে।
মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আকম মোজাম্মেল হক, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী মো. মাহবুব আলী, কূটনীতিক কোরের ডিন, মন্ত্রিপরিষদ সচিব, তিন বাহিনীর প্রধানগণ, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিব, পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) এবং নেপালের রাষ্ট্রদূতের প্রতিনিধি এ সময় বিমানবন্দরে রাষ্ট্রপতিকে বিদায় জানান।
রাষ্ট্রপতির পত্নী রাশিদা খানম, তাঁর পুত্র সংসদ সদস্য রেজওয়ান আহম্মেদ তৌফিক, হুইপ আতিউর রহমান আতিক, সংসদ সদস্য এবিএম ফজলে করিম চৌধুরী, পররাষ্ট্র সচিব মো. শহিদুল হক এবং বঙ্গভবন ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা হামিদের সফরসঙ্গী হয়েছেন।
ফ্লাইটটি কাঠমান্ডুর ত্রিভুবন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করার কথা রয়েছে।
নেপালের রাষ্ট্রপতি বিদ্যা দেবী ভান্ডারী ও নেপালে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মাশফি বিনতে শামস বিমানবন্দরে রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদকে অভ্যর্থনা জানাবেন।
পরে মোটার শোভাযাত্রায় রাষ্ট্রপতিকে ম্যারিয়ট কাঠমান্ডুতে নিয়ে যাওয়া হবে। তাঁর চারদিনের সফরকালে তিনি এখানে অবস্থান করবেন।
এ সফর চলাকালে বাংলাদেশের রাষ্ট্রপ্রধান নেপালের রাষ্ট্রপতির সঙ্গে বৈঠক করবেন। রাষ্ট্রপতি ভান্ডারী বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি ও তাঁর প্রতিনিধি দলের সম্মানে এক ভোজসভার আয়োজন করবেন।
অন্যান্য কর্মসূচির মধ্যে নেপালের ভাইস প্রেসিডেন্ট, প্রধানমন্ত্রী, জাতীয় পরিষদের চেয়ারপারসন এবং পররাষ্ট্রমন্ত্রী পরে রাষ্ট্রপতি হামিদের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাত করার কথা রয়েছে।
রাষ্ট্রপতি হামিদের সঙ্গে নেপালের অন্যান্য রাজনৈতিক নেতাদেরও সাক্ষাত করার কথা রয়েছে।
রাষ্ট্রপতির প্রেস সচিব জানান, আবদুল হামিদ পোখরা এবং কাঠমান্ডুর ঐতিহাসিক প্রত্নতাত্ত্বিক ও সাংস্কৃতিক স্থানসমূহ পরিদর্শন করবেন।
রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ আগামী ১৫ নভেম্বর দেশে ফিরবেন। সূত্র, বাসস।
-এমএ