আগাম কপিতে কৃষকের স্বস্তি
Published : Sunday, 9 December, 2018 at 11:55 AM Count : 524
ধান ও গ্রীষ্মকালীন সবজিতে আশানুরুপ দর না পেলেও বেশ চড়া দরেই বিক্রি হচ্ছে শীতকালীন আগাম বাঁধাকপি ও ফুলকপি। স্থানীয় বাজারের চাহিদা মিটিয়ে জনপ্রিয় এই সবজি যাচ্ছে দেশের বিভিন্ন কাঁচা বাজারে। ভাল দর পাওয়ায় বেশ স্বস্তিতে রয়েছেন মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার কৃষকরা।
জানা গেছে, দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের সবজিখ্যাত জেলা মেহেরপুরে এবার বেশ আগে থেকেই উঠতে শুরু করেছে বাঁধাকপি ও ফুলকপি।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, চলতি মৌসুমে ৮৫৬ হেক্টর জমিতে আগাম শীতকালীন বাঁধাকপি ও ফুলকপি চাষ হয়েছে। এর মধ্যে গাংনী উপজেলায় অর্ধেকেরও বেশি।
এ উপজেলার সাহারবাটি গ্রামের কৃষক তহসিন আলী বলেন, ‘চলতি মৌসুমে কম বৃষ্টিপাতের কারণে বেশ আগেই কপি তোলা যাচ্ছে। ক্ষেত থেকে প্রতি বিঘা ৬০ থেকে ৮০ হাজার টাকা পর্যন্ত পাইকারী বিক্রি চলছে বিধায় লাভও হচ্ছে বেশ। এমন দর অব্যাহত থাকলে চাষীরা অন্যান্য আবাদের লোকসান পুষিয়ে নিতে পারবেন।
একই গ্রামের কয়েকজন চাষী জানান, কার্তিক মাসের আগে থেকেই কপি তোলা শুরু হয়েছে। তখন পাইকারী বিক্রি হয়েছে প্রতি কেজি ৪০ টাকা। এখন দর কিছুটা পড়তির দিকে। তবে এতে লাভ কিছুটা কমলেও তেমন সমস্যা নেই।
মেহেরপুর তহবাজারে (পাইকার কাঁচা বাজার) প্রতিদিন সকাল থেকে রাত অবধি ট্রাক ভর্তি করা হচ্ছে। বাঁধাকপি ও ফুলকপি নিয়ে চাষী ও ব্যবসায়ীরা যাচ্ছেন রাজধানী ঢাকা ও বন্দরনগরী চট্রগ্রামসহ বিভিন্ন শহরে।
অপরদিকে, বাইরের ব্যাপারীরাও আসছেন মেহেরপুরে। তারা সরাসরি কৃষকের নিকট থেকে পাইকারী ক্রয় করছেন। এতে চাষীরাও স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করছেন।
জানা যায়, প্রতি বিঘা জমিতে কপি তৈরীতে খরচ ২৫ থেকে ৩০ হাজার টাকা। বর্তমান বাজার দরে বিঘা প্রতি প্রায় ৩০-৩৫ হাজার টাকা লাভ হচ্ছে।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ পরিচালক ড. আক্তারুজামান বলেন, এ জেলার চাষীদের মধ্যে সৃষ্টিশীলতা লক্ষ্য করা যায়। কৃষি বিভাগের পরামর্শে সারা বছরই সবজি চাষ হয়। ফলে চাষীরা লাভবান হচ্ছেন। বিদায়ী বর্ষা মৌসুমে বৃষ্টিপাত কম হওয়ায় এবার সবজি ভাল হয়েছে।
-এমআরএ/এমএ