ছাত্রলীগ কর্মী হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িতদের গ্রেফতার দাবি
Published : Monday, 22 October, 2018 at 7:05 PM Count : 257
ছাত্রলীগ কর্মী আলী আকবর ফয়সাল হত্যার সুষ্ঠ বিচার দাবি ও অভিযুক্ত পরিবারের মিথ্যাচারের প্রতিবাদে ফটিকছড়িতে সংবাদ সম্মেলন করেছে তার পরিবার ও এলাকাবাসী।
সোমবার সকাল সাড়ে ১১ টায় নাজিরহাট বাজারে একটি কমিউনিটি সেন্টারে এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। এতে ২১নং খিরাম ইউনিয়নের সর্বস্তারের জনসাধারণ ও নিহত ছাত্রলীগ কর্মীর পরিবারবর্গ সময় অংশ নিয়েছেন।
লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন, সাবেক ইউপি সদস্য আব্দুল লতিফ। এ সময় নিহত ফয়সালের বাবা আব্বাস আলী, চাচা মো. ফারুক(মামলার বাদী), সাধণ চন্দ্র শীল, আব্দুস সালাম মেম্বার, আবু তাহের, সোলাইমান মেম্বার, আলীম উদ্দিন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
সংবাদ সম্মেলনে সাবেক মেম্বার আব্দুল লতিফ বলেন, মামলার বিবাদী পক্ষ উদ্দেশ্যমূলকভাবে গত ১৮ অক্টোবর এক সংবাদ সম্মেলনে এলাকার মুরুব্বী-সম্মানিত ব্যক্তিবর্গকে জড়িয়ে মিথ্যাচার করেছে। উক্ত সংবাদ সম্মেলনে এলাকার নীরিহ সহজ সরল ব্যক্তিবর্গে অগ্নিসংযোগের নেতৃত্বে দেয়ার অভিযোগ তুলে।
তিনি আরো বলেন, প্রতিবাদী ছাত্রলীগ নেতা আলী আকবর ফয়সলকে প্রকাশ্য খুনের ঘটনা দেখতে পেয়ে উত্তেজিত জনতা খুনের সঙ্গে প্রত্যক্ষ-পরোক্ষ ভাবে জড়িত ইউনুছ মিয়া মনা, আবু তাহের, নুরুল আলম সওদাগর, মুহাম্মদ ইব্রাহিম মনির, মুহাম্মদ রফিক ও মুহাম্মদ সরোয়ারের বসতঘরে আগুন দিয়েছে। আমি ওইদিন এলাকাও ছিলাম না। অথচ আমাকে ও আমার ছেলেদের এবং নিহত ফয়সল হত্যা মামলার বাদী (তার চাচা) ফারুকসহ এলাকাবাসীকে জড়িয়ে আসামি পরিবার মিথ্যাচারের আশ্রয় নিয়ে থানায়-কোর্টে অভিযোগ করেছে এবং সংবাদ সম্মেলন করে এলাকার শান্তিপ্রিয় জনতাকে বিভ্রান্ত করার অপচেষ্টা করছে। মূলত ফয়সল হত্যা ধামাচাপা দেয়ার লক্ষ্যে উদ্দেশ্যমূলকভাবে গ্রামবাসীকে হয়রানি করার মানসে তারা অপতৎপরতায় লিপ্ত হয়েছে। এখনো ফয়সল হত্যার কোন আসামি গ্রেফতার হয়নি। তাই আমরা ফয়সল হত্যাকাণ্ডের জাড়িত আসামিদের দ্রুত গ্রেফতারের দাবি করছি।
দু’সংবাদ সম্মেলনে বিভিন্ন প্রশ্নোত্তরে বেরিয়ে আসে-স্থানীয় মঈনিয়া কাদেরীয়া মাদ্রাসার কমিটি গঠন ও সর্তাখালের অবৈধ বালি উত্তোলন এবং মাদক ব্যবসায়ীদের বাধা হওয়ায় প্রতিবাদী ছাত্রলীগ নেতা ‘ফয়সল’ নিহত হয়।
অন্যিদকে অভিযুক্ত পরিবার একটি সংবাদ সম্মলন করেছে গত ১৮ অক্টোবর বৃহস্পতিবার রাতের নাজিরহাটর আদর্শ ব্যবসায়ী সমিতির কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করে ভুক্তভোগী পরিবার।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন, ভুক্তভোগি নুরুল আলম সওদাগরের স্ত্রী বুলবুল খাতুন (৬২), পুত্রবধূ লাভলী আকতার (৩৫), লাভলী বেগম (৩৩), রুমী আকতার (২৫)।
গত ১৪ অক্টোবর রাতে উপজেলা খিরাম ইউনিয়নের হচ্ছারঘাট এলাকায় বালি বিক্রির আধিপত্য নিয়ে সৃষ্ট বিরোধে জের ধরে ছুরিকাঘাতে খুন হয় ছাত্রলীগ কর্মী ফয়সল।
এসসি/এইচএস