For English Version
রবিবার ৬ অক্টোবর ২০২৪
হোম

কাশফুলে সেজেছে শীতলক্ষ্যার পাড়

Published : Monday, 30 September, 2024 at 12:19 PM Count : 177

রাজধানী ঢাকার সবচেয়ে লাগোয়া উপজেলা গাজীপুরেকালীগঞ্জ। সারা বছর এখানে ভ্রমণ পিপাসুদের পদচারণায় মুখরিত থাকলেও এখানে বর্ষা আর শরতে প্রকৃতি যোগ করে ভিন্ন মাত্রা। বর্ষাকালে স্বচ্ছ থৈ থৈ পানিতে সারি সারি নৌকা আর শরতে সাদা কাশফুলের দোলা যে কারো মন ছুয়ে যাবে।

শরৎ শেষ হতে আর কয়েকদিন বাকি, এর মধ্যে কাশফুলের শুভ্রতায় মুগ্ধতা খুঁজছেন কালীগঞ্জ উপজেলার অনেকেই। বেলা গড়ালে লোক সমাগমে জমজমাট হয়ে উঠছে উপজেলা পরিষদের সামনে শীতলক্ষ্যা পাড়ের শ্মশান ঘাট এলাকা। কাশফুলের শুভ্রতার খোঁজতে সেখানে বসে কেউ গল্প করছেন। কেউবা আবার কাশফুলের সঙ্গে তুলছেন সেলফী ও ছবি।

কাশফুল দেখতে আসা কালীগঞ্জ বাজারের ব্যবসায়ী সুমন হোসেন সৈকত বলেন, 'শীতলক্ষ্যা পাড়ের শ্মশান ঘাটের সারি সারি সাদা কাশফুল, যতদূর চোখ যায় শুধু সাদা আর সাদা। পাখির চোখে দেখলে মনে হবে মাটিতে লুটে পড়েছে সাদা মেঘের ভেলা। বিকেলের নীল আকাশে সাদা মেঘ আর শ্মশান ঘাটের সাদা কাশফুল যেন এখানে মিলে মিশে একাকার।' 

কাশবনে ঘুরতে আসা মুহাম্মদ নুরুল ইসলাম বলেন, 'যান্ত্রিকতার ভিড়ে একটু প্রকৃতির ছোঁয়া ও সবুজঘেরা পরিবেশের পাশাপাশি প্রতিদিন এখানে আসছেন শত শত মনুষ। তবে চিন্তারও শেষ নেই ঘুরতে আসা পর্যটকদের, তাদের চিন্তা সে দিন হয়তো আর বেশি দূরে নয়, যে দিন হারিয়ে যাবে শ্মশান ঘাটের সারি সারি সাদা কাশফুল। শ্মশান ঘাটে শীতলক্ষ্যা নদীর স্বচ্ছ পানিতে মাছের পরিবর্তে ভেসে বেড়াবে ময়লার স্তুপ।' 
আরেক দর্শনার্থী স্থানীয় আবুল খায়ের সিরামিক কারখানায় কর্মরত হিরন সরকার বলেন, 'শীতলক্ষ্যা পাড়ের শ্মশান ঘাটের কাশফুলের বন প্রথম দেখায় যে কাউকে প্রেমে ফেলবে। কালীগঞ্জ পৌর এলাকার ভেতর এত কাশফুল হয়তো দেখেওনি কেউ আগে। বিস্তীর্ণ মাঠজুড়ে কাশফুলের সাদার শুভ্রতায় যে কারো মন হারিয়ে যাবে অজানায়, এমনটাই মনে করছেন প্রকৃতি প্রেমীরা।' 

মো. আশরাফুল ইসলাম বলেন, 'স্থানীয় ভাবে বিনোদনের কোনো স্পট না থাকায় বর্ষার প্রকৃতিতে বিল-ঝিল, নদী-নালা ও শরৎকালে কাশবনের কাশফুলই ভরসা।' 

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ ফারজানা তাসলিম বলেন, 'বাংলাদেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় ফুলের মধ্যে কাশফুল অন্যতম। বাংলাদেশের সব নদ-নদীর র্তীরে প্রাকৃতিক জলাশয়ের ধারে বেশি কাশফুল জন্মে। কাশবন শুধু প্রকৃতি প্রেমীদের মনে তৃপ্তি মিটায় না। এ কাশবন দিয়ে আগের মানুষ ঘর-তৈরী করতো এবং এখন পানের বরে ছাউনি হিসেবে ব্যবহৃত হয়। সেই সাথে রান্নার জ্বালানি হিসাবে ব্যবহার হয়ে থাকে। 

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এস এম ইমাম রাজী টুলু বলেন, 'দ্রুত নগরায়নের ফলে দিন দিন হারিয়ে যাচ্ছে বাংলার চিরায়িত রূপ। কালীগঞ্জেও দিন দিন বাড়ছে মানুষ, কমছে আবাদি অনাবাদি জমি, তাই যেখানেই মানুষ প্রাকৃতিক পরিবেশ পাচ্ছে তাতেই ঝাঁপিয়ে পড়ছে। তাছাড়া এলাকাটি পৌর শহরের কাছে এবং নিরাপদ জোন হওয়ায় দিন দিন লোক সমাগম বাড়ছে।'

-আরএস/এমএ

« PreviousNext »



সর্বশেষ সংবাদ
সর্বাধিক পঠিত
Editor : Iqbal Sobhan Chowdhury
Published by the Editor on behalf of the Observer Ltd. from Globe Printers, 24/A, New Eskaton Road, Ramna, Dhaka.
Editorial, News and Commercial Offices : Aziz Bhaban (2nd floor), 93, Motijheel C/A, Dhaka-1000. Phone : PABX- 0241053001-08; Online: 41053014; Advertisemnet: 41053012
E-mail: info$dailyobserverbd.com, mailobserverbd$gmail.com, news$dailyobserverbd.com, advertisement$dailyobserverbd.com,