গণপিটুনিতে আহত ব্যক্তির মৃত্যু
Published : Sunday, 29 September, 2024 at 3:08 PM Count : 61
নোয়াখালীতে ছাত্র-জনতার গণপিটুনিতে গুরুতর আহত এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে।
শনিবার রাতে ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
এর আগে একই দিন দুপুর আড়াইটার দিকে সদর উপজেলার পূর্ব চরমটুয়া ইউনিয়নের সূর্যনারায়ণবহরস্থ ইসমাইল মুহুরীর বাড়ি থেকে চার যুবককে ছাত্র-জনতা গণপিটুনে দিয়ে একটি পাইপগানসহ যৌথ বাহিনীর কাছে সোপর্দ করে।
পুলিশ বলছে, নিহত ওই ব্যক্তি আগে থেকে সন্ত্রাসী কার্যকলাপের সাথে জড়িত এবং একাধিক মামলার আসামি ছিলেন।
এদিকে, ওই ব্যক্তিকে রশি দিয়ে হাত বাঁধা অবস্থায় বেধড়ক পেটানোর ১ মিনিট ৮ সেকেন্ডের একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে।
নিহত মো. আব্দুস শহীদ (৪৩) উপজেলার পূর্ব চরমটুয়া ইউনিয়নের চরমটুয়া গ্রামের বাসিন্দা।
জানা যায়, দুপুর আড়াইটার দিকে ইসমাইল মুহুরীর বাড়ি স্থানীয় ছাত্র-জনতা ঘেরাও করে একটি পাইপগানসহ আব্দুস শহীদ (৪৩), মো. জামাল হোসেন (৪২), মো. জাবেদ (২৮) ও মো. রিয়াদ হোসেন (৩৬) কে আটক করে বেধড়ক মারধর করে। খবর পেয়ে বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে যৌথ বাহিনীর সদস্যরা একটি পাইপগানসহ তাদেরকে আটক করে সুধারাম মডেল থানায় হস্তান্তর করে। পরে আহত শহীদকে সন্ধ্যা ৬টার দিকে ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাত ৭টার দিকে তার মৃত্যু হয়।
অপরদিকে, নিহত মো. আব্দুস শহীদকে পূর্ব চরমটুয়া ইউনিয়ন যুবলীগের সহ-সভাপতি দাবি করেছে আওয়ামী লীগ।
আওয়ামী লীগের ভেরিফাইড ফেসবুক আইডি থেকে জানানো হয়েছে, আব্দুস শহীদকে পিটিয়ে মেরেছে বিএনপির সন্ত্রাসীরা। শহীদের মৃত্যুর আগে তাকে হাসপাতালে না নিয়ে অস্ত্রসহ গ্রেপ্তার দেখানো হয়। ততক্ষণে তার জীবন প্রায় নাই বললেই চলে।
ভিডিও চিত্রে দেখা যায়, পাকা মেঝেতে হাত ও হাতের বাহু বাঁধা অবস্থায় ফেলে রেখে শহীদকে ভারী লাঠি দিয়ে পুরো পায়ের মাংস পেশিতে নির্মম ভাবে পেটাচ্ছে এক যুবক। আরেক ব্যক্তির এক হাতে মুঠোফোন অন্য হাত দিয়ে শহীদের হাতে বাঁধা রশি খুলছে। এরপর লাঠি হাতে থাকা যুবক তার মাথায়, মুখে লাথি মারছে।
জানতে চাইলে জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট আবদুর রহমান বলেন, বিএনপির লোকজন এ ঘটনায় জড়িত কথাটা ঠিক নয়। সে অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী ছিল। স্থানীয় লোকজন তাকে আটক করে মারধর করে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে সোপর্দ করে।
সুধারাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মীর জাহেদুল হক রনি বলেন, ছাত্র-জনতা ঘেরাও করে চার সন্ত্রাসীকে আটক করে। শহীদ গণপিটুনিতে আহত হয়। পরে তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। তবে এ ঘটনায় এখনো কেউ কোনো অভিযোগ করেনি। আটককৃতরা সন্ত্রাসী কার্যকলাপের সাথে জড়িত ছিল।
-এমআর/এমএ