For English Version
রবিবার ৬ অক্টোবর ২০২৪
হোম

দাফনের দেড় মাস পর কবর থেকে তোলা হলো যুবদল নেতার মরদেহ

Published : Monday, 23 September, 2024 at 5:17 PM Count : 188

দাফনের দেড় মাস পর আদালতের নির্দেশে কবর থেকে সোমবার দুপুরে পিরোজপুরের ভান্ডারিয়া উপজেলা যুবদল নেতার মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। 

নিহত রফিকুল ইসলাম ওরফে মিঠু ফকির উপজেলার দক্ষিণ ভিটাবাড়িয়া গ্রামের মোশারফ হোসেন ফকিরের ছেলে। সে ভান্ডারিয়া উপজেলা যুবদলের সদস্য ছিল এবং ঢাকায় ইলেকট্রনিক্স পণ্যের ব্যবসা করত। নিহত মিঠুর তিনটি কন্যা সন্তান রয়েছে।

পাওনা টাকা ফেরত না দেওয়াকে কেন্দ্র করে কত ৫ আগস্ট রাতে মিঠুকে কুপিয়ে মারাত্মকভাবে জখম করে স্থানীয় আওয়ামীলীগ সমার্থক প্রতিপক্ষের লোকজন। পরের দিন ঢাকায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় মিঠুর মৃত্যু হয়। ওই সময় পুলিশ প্রশাসনের কোন কার্যক্রম না থাকায় মৃতদেহের কোন ময়নাতদন্ত কিংবা সুরতহাল হয়নি। পরবর্তীতে এ ঘটনায় ১৬ আগস্ট নিহত যুবদল নেতার স্ত্রী পলি আক্তার বাদি হয়ে ১১জনকে চিহ্নিত এবং ৫/৭ জনকে অজ্ঞাত আসামী করে ভান্ডারিয়া থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। 

মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, জহির সরদার  মিঠুর কাছ থেকে ৪০ হাজার টাকা ধার নেন। পরবর্তীতে সেই টাকা ফেরত না দেওয়ায় মিঠুর সাথে জহিরের দ্বন্দ্বের সৃষ্টি হয়। এছাড়া স্থানীয় একটি মামলায় জহিরের ভাই রহিম সরদারকে গ্রেফতারের ঘটনায় মিঠুর সাথে তাদের দ্বন্দ্বের সৃষ্টি হয়। এর জেরে গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা পদত্যাগের পর রাত সাড়ে ৮ টার দিকে মিঠু স্থানীয় অন্য দুই ব্যক্তির সাথে কাপালির হাট থেকে বাড়িতে ফেরার পথে জামেয়াই ফাতিমিয়া দাখিল মাদ্রাসার সামনে জহিরের নেতৃত্বে ১৬-১৭ জন লোক ধারালো অস্ত্র নিয়ে তাদের উপরে হামলা করে। এরপর কুপিয়ে ও পিটিয়ে তাদের তিনজনকে গুরুতর জখম করে হামলাকারীরা। 
তাদের ডাক চিৎকারে স্থানীয়রা ঘটনাস্থলে এসে তাদেরকে উদ্ধার করে প্রথমে ভান্ডারিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে ভর্তি করে। এরপর সেখান থেকে মিঠুকে প্রথমে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল এবং পরবর্তীতে ঢাকার একটি হাসপাতালে নিয়ে চিকিৎসা দেওয়া হয়। সেখানেই চিকিৎসাধীন অবস্থায় পরের দিন মারা যায় মিঠু। মিঠু মারা যাওয়ার দশ দিন পর ১৬ আগস্ট তার স্ত্রী পলি আক্তার বাদী হয়ে ভান্ডারিয়া থানায় ১১ জনের নাম উল্লেখ করে এবং আরো ৫-৭ জনকে অজ্ঞাত আসামী করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। পরবর্তীতে পিরোজপুর সিনিয়র জুডিসিয়াল আদালত ম্যাজিস্ট্রেট মো. সাদিক আহম্মেদ লাশের ময়নাতদন্তের নির্দেশ দিলে সোমবার দুপুরে মৃতদেহটি কবর থেকে উদ্ধার করা হয়। লাশ উত্তোলনের সময় পিরোজপুর জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ তৌফিক আনোয়ার, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এর একজন চিকিৎসক এবং ভান্ডারিয়া থানার কয়েকজন পুলিশ কর্মকর্তা উপস্থিত ছিলেন। 

 স্থানীয় ইউপি সদস্য ইব্রাহিম এবং ভান্ডারিয়া পৌর বিএনপি’র আহবায়ক আব্দুল মান্নান জানান, উপজেলা যুবদলের মিঠু ফকির একজন নিরীহ লোক ছিলেন। তারা এ হত্যাকান্ডের বিচার দাবী করে বলেন, আওয়ামী সন্ত্রাসীদের এটি একটি পরিকল্পিত হত্যাকান্ড। হত্যার সঙ্গে জড়িত এ চক্রটি উপজেলা আওয়ামীলীগের কতিপয় নেতা কর্মীর ছত্র ছায়ায় এলাকায় বহু অপকর্ম করেছে। অধিকতর তদন্তে এ হত্যাকান্ডের হুকুম দাতাদের নাম বেরিয়ে আসবে।

আরএম/এসআর


« PreviousNext »



সর্বশেষ সংবাদ
সর্বাধিক পঠিত
Editor : Iqbal Sobhan Chowdhury
Published by the Editor on behalf of the Observer Ltd. from Globe Printers, 24/A, New Eskaton Road, Ramna, Dhaka.
Editorial, News and Commercial Offices : Aziz Bhaban (2nd floor), 93, Motijheel C/A, Dhaka-1000. Phone : PABX- 0241053001-08; Online: 41053014; Advertisemnet: 41053012
E-mail: info$dailyobserverbd.com, mailobserverbd$gmail.com, news$dailyobserverbd.com, advertisement$dailyobserverbd.com,