মাকে নির্যাতন, ছেলে-পুত্রবধূ গ্রেপ্তার
Published : Monday, 9 September, 2024 at 11:20 AM Count : 112
বরগুনার বেতাগীতে জমির দলিল ও স্বর্ণালংকার না দেয়ায় ছেলে ও পুত্রবধূর বিরুদ্ধে বৃদ্ধা মাকে মারধরের অভিযোগ পাওয়া গেছে।
এ ঘটনায় দায়ের করা মামলায় রোববার রাতে বৃদ্ধার ছেলে ও পুত্রবধূকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
গত বুধবার (০৪ সেপ্টেম্বর) উপজেলার পৌর শহরের ৫ নং ওয়ার্ডের গ্রামীন ব্যাংক রোড এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এলাকাবাসী ওই বৃদ্ধাকে হাসপাতালেও ভর্তি করেন।
ভুক্তভোগী রীতা রানী বসু (৫৫) বেতাগী পৌর শহরের ৫ নং ওয়ার্ডের মৃত শিবু লাল বসুর স্ত্রী। দুই বছর আগে তার স্বামী মারা যান। এই বৃদ্ধার দুই ছেলে রয়েছে। বড় ছেলে শুভ বসু ও তার স্ত্রী জ্যোতি মৃধা বাড়িতে থাকেন।
এর আগে গত বৃহস্পতিবার রীতা রানী বসুর ছোট ছেলে শোভন বসু বাদি হয়ে বড় ছেলে শুভ বসু ও তার স্ত্রী জ্যোতি মৃধাসহ চার জনের নামে বেতাগী থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। মামলার অন্য আসামিরা হলেন- জ্যোতি মৃধার মা নীলা রানী মৃধা এবং বাবা সুভাষ মৃধা।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, রীতা রানীর স্বামী শিবু লাল বসু মারা যাবার পর থেকে বড় ছেলে শুভ বসু কৌশলে সব জমিজমা লিখে নিয়ে বাড়ি ছাড়া করতে স্ত্রীকে সঙ্গে নিয়ে মা রীতা রানীর ওপর অমানুষিক নির্যাতন চালাতেন। ঘটনার দিন বুধবার দুপুরে জমির দলিল ও স্বর্ণালংকার চাইলে শাশুড়ির সাথে পুত্রবধূ জ্যোতি মৃধার বাগবিতণ্ডা শুরু হয়। একপর্যায়ে ছেলে ও পুত্রবধূ মিলে বৃদ্ধা রীতা রানীকে মারধর করে ঘর থেকে বের করে দেয়। খবর পেয়ে স্থানীয় লোকজন আহত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করেন। পরে রীতা রানীর ছোট ছেলে শোভন বসু তাকে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে ভর্তি করেন।
রীতা রানীর ছোট ছেলে শোভন বসু বলেন, আমার বাবার মৃত্যুর পর থেকেই জমি নিজেদের নামে লিখে নিতে এবং স্বর্ণালংকার আত্মসাৎ করতে বড় ভাই এবং তার স্ত্রী মিলে মাকে দফায় দফায় নির্যাতন করতো। কিন্তু পরিবারে অশান্তি তৈরি হবে ভেবে মা কখনো আমাকে এসব বিষয় জানায় নি। তবে এবার নির্যাতন সইতে না পেরে মা আমাকে সব কথা জানিয়েছেন। আমি আমার মায়ের নির্যাতনের বিচার চাই।
বেতাগী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মাহবুবুর রহমান বলেন, বৃদ্ধা রীতা রানীকে মারধরের অভিযোগে থানায় মামলা হয়েছে। মামলায় অভিযুক্ত ছেলে ও পুত্রবধূকে গ্রেপ্তার কর হয়েছে। তাদের সোমবার আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হবে। ঘটনার পর থেকে অন্য আসামিরা পলাতক রয়েছে। তাদেরও দ্রুত সময়ের মধ্যে গ্রেপ্তার করা হবে।
-আরএইচ/এমএ