For English Version
রবিবার ৬ অক্টোবর ২০২৪
হোম

তজুমদ্দিনে বেড়িবাঁধ ভাঙনে উপজেলাবাসী আতংকিত

Published : Sunday, 25 August, 2024 at 7:02 PM Count : 67

ভোলাতজুমদ্দিনে উপজেলার ৬ কিলোমিটার বেড়িবাঁধের বিশাল একটি অংশ ভাঙনের সৃষ্টি হয়েছে। উজানের পানির চাপ, প্রবল বৃষ্টিতে পানি বৃদ্ধির কারণে চাঁদপুর ইউনিয়নের দড়িচাঁদপুর, কেয়ামূল্যাহ, কাঞ্চনপুর, গুরিন্দা, চাঁচড়া ও কাটাখালী এলাকায় বেড়িবাঁধের বিভিন্ন অংশে ভাঙন ধরেছে। ফলে আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছে উপজেলার দেড় লাখ মানুষের। পানি উন্নয়ন বোর্ড ও শহর রক্ষা বাঁধের জন্য নিয়োগ করা ঠিকাদারের গাফিলতিতে যে কোন মুহুর্তে বেড়িবাঁধ ভেঙে লোকালয়ে ডুকে পড়বে পানি। দ্রুত ব্যবস্থা না নিলে প্লাবিত হতে পারে পুরো উপজেলা। 

সরেজমিনে ভাঙন কবলিত এলাকা ঘুরে দেখা যায়, মেঘনা নদীর জোয়ার-ভাটায় পানির চাপ ও নিন্মচাপের প্রভাবে ঢেউ এসে আঘাত করে বেড়িবাঁধে। ফলে অধিকাংশ এলাকায় বেড়িবাঁধের দুই-তৃতীয়াংশ ভেঙে পানি ডুকার আশংকা দেখা দিয়েছে। 

ভোলা পানি উন্নয়ন বোর্ড ডিভিশন-২ সূত্র জানায়, তজুমদ্দিনে ২০১৮-১৯ অর্থ বছরের প্রায় সাড়ে ৫ কোটি টাকা ব্যয়ে ৬কিলোমিটার শহররক্ষা বাঁধ এবং তীর সংরক্ষণে ব্লক ও জিও ব্যাগ নির্মাণ করা হয়। এরপর ২০২২ থেকে ২৬অর্থ বছরে তজুমদ্দিনের সোনাপুর অংশে দুই কিলোমিটার ও চাঁদপুর-চাঁচড়া অংশের ৬কিলোমিটারসহ বেতুয়া পর্যন্ত মোট ২৮কিলোমিটার রেড়িবাঁধ নির্মাণ, জিও ব্যাগ, ব্লক, ড্যাম্পিং, সুইজগেট ও রাস্তা পাকা করণের প্রকল্পে প্রায় ১১শত কোটি টাকা বরাদ্দ নিয়ে কাজ শুরু হয়। স্থানীয়দের অভিযোগ পানি উন্নয়ন বোর্ড ও ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের গাফিলতির কারণে কাজে ধীরগতি দেখা দেয়। ফলে পানির চাপে পূর্বের বেড়িবাঁধের বেশ কিছু অংশে ভাঙনের সৃষ্টি হয়। এছাড়া কাজের ধীরগতির কারণে ইতিমধ্যে বহু পারিবারের বাড়িঘর ভেঙে নদী গর্ভে বিলিন হয়ে যায়। 

স্থানীয়রা জানান, ঠিকাদারের লোকজন মেঘনা নদী থেকে বালু তুলছে। যে কারণে ভাঙনের তীব্রতা আরো বেশি। এছাড়া বেড়িবাঁধের ভাঙা অংশে টিউব জিও ব্যাগে যে বালি দেয়া হয়েছে তা সামনের নদী থেকে তোলা হয়েছে। তারা আরো জানান, লোকাল বালি হওয়ার কারণে জোয়ারের পানির চাপে টিউব ব্যাগ থেকে বালি বেড় হয়ে যাচ্ছে।  
চাঁদপুর ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডের সাবেক ইউপি সদস্য বশিরউল্যাহ হাওলাদার বলেন, বেড়িবাঁধের ভাঙা অংশ দ্রুত মেরামত না করলে যে কোন সময় বাঁধ ছিড়ে লোকালয়ে পানি ডুকে প্লাবিত হওয়ার আশংকা রয়েছে। 

প্রকল্পের ৫নং সাইড বি.জে জিও টেক্সাটাইল এর সাইড ইঞ্জিনিয়ার রেজাউল আহাম্মেদ বলেন, বর্ষা মৌসুমের কারণে কাজ বন্ধ রয়েছে। শ্রমিক ও বালি সংকট রয়েছে। তারপরও টিউব জিও ব্যাগের মাধ্যমে বাঁধ সংরক্ষনের চেষ্টা চলছে।
 
ভোলা পানি উন্নয়ন বোর্ড ডিভিশন-২ এর নির্বাহী প্রকৌশলী হাসান মাহমুদ বলেন, বেড়িবাঁধের যে অংশে ভাঙন হয়েছে সংশ্লিষ্ট ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানকে দ্রুত মেরামতের নির্দেশ দেয়া হয়েছে। 

আরএস/এসআর


« PreviousNext »



সর্বশেষ সংবাদ
সর্বাধিক পঠিত
Editor : Iqbal Sobhan Chowdhury
Published by the Editor on behalf of the Observer Ltd. from Globe Printers, 24/A, New Eskaton Road, Ramna, Dhaka.
Editorial, News and Commercial Offices : Aziz Bhaban (2nd floor), 93, Motijheel C/A, Dhaka-1000. Phone : PABX- 0241053001-08; Online: 41053014; Advertisemnet: 41053012
E-mail: info$dailyobserverbd.com, mailobserverbd$gmail.com, news$dailyobserverbd.com, advertisement$dailyobserverbd.com,