বাগমারায় এমপি-চেয়ারম্যান-মেয়রসহ ৮২ জনের বিরুদ্ধে মামলা
Published : Monday, 19 August, 2024 at 12:04 PM Count : 223
রাজশাহী-৪ (বাগমারা) আসনের সদ্য সাবেক সংসদ সদস্য আবুল কালাম আজাদ, তার স্ত্রী তাহেরপুর পৌরসভার মেয়র খন্দকার শায়লা পারভীন এবং বাগমারা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান জাকিরুল ইসলামসহ আওয়ামী ও যুবলীগের ৮২ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে থানায় মামলা হয়েছে।
হামলা, ভাঙচুর ও গুলি করার অভিযোগে বাগমারা উপজেলার হামিরকুৎসা ইউনিয়ন যুবদল কর্মী আবদুল মতিন বাদি হয়ে রোববার বাগমারা থানায় মামলা করেন।
তাহেরপুর পৌর যুবলীগের সদস্য সচিব সোহেল রানাকে প্রধান আসামি করে বিস্ফোরক দ্রব্য আইনে মামলাটি করা হয়। মামলায় ২২ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়েছে আরও ৬০ জনকে। এটি গত ০৫ অগাস্ট ও পরবর্তী সহিংসতার ঘটনায় হওয়া থানায় প্রথম মামলা।
মামলা সূত্রে জানা যায়, গত ০৫ অগাস্ট দলীয় কর্মসূচি পালনের জন্য যুবদল কর্মী আবদুল মতিন মোটরসাইকেল নিয়ে উপজেলা সদর ভবানীগঞ্জে আসছিলেন। তিনি তেলিপুকুট গাঙ্গোপাড়া এলাকায় পৌঁছালে যুবলীগ নেতা সোহেল রানা, তাহেরপুর পৌরসভার কাউন্সিলর এরশাদ আলীসহ দলীয় ক্যাডাররা লাঠি, রড, ককটেল, হাঁসুয়া, আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে তার পথরোধ করেন। এ সময় তিনি পালানোর চেষ্টা করেন এবং পাশের পুকুরে লাফ দিয়ে আত্মরক্ষার চেষ্টা করেন। পরে আসামিরা ধাওয়া করে তাকে ধরে পুকুর থেকে তুলে হকিস্টিক, রড দিয়ে মারধর করেন। এছাড়া গুলি করা হয়। এ সময় তার ব্যবহৃত মোটরসাইকেল পুড়িয়ে দেওয়া হয়। পরে লোকজন তাকে উদ্ধার করে একজনের বাড়িতে নিয়ে চিকিৎসা দেন। সেখান থেকে পরিবেশ অনুকূলে এলে অন্যত্র নিয়ে চিকিৎসা দেওয়া হয়।
মামলার বাদি জানান, পরিবেশ অনুকূলে আসায় ও নেতাদের সঙ্গে পরামর্শ করে থানায় মামলা করা হয়েছে। সাবেক এমপি আবুল কালাম আজাদ, তার স্ত্রী শায়লা পারভীন ও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান জাকিরুল ইসলামের নির্দেশে হামলা করা হয়েছে। তিনি চিকিৎসা নিতেও ভয় পাচ্ছেন।
মামলার আসামিরা জানান, এটি একটি রাজনৈতিক মামলা। মামলা দিয়ে তাদের বাড়িঘরে হামলা ও লুটপাট করা হচ্ছে।
বাগমারা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা অরবিন্দ সরকার জানান, তদন্ত শুরু হয়েছে। তদন্ত করে প্রয়োজনীয় আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
-এএইচ/এমএ