স্ত্রী-শাশুড়ি খুনের ঘটনায় স্বামী আটক
Published : Friday, 2 August, 2024 at 8:24 PM Count : 166
রাঙামাটির কাউখালীতে ঘুমন্ত বউ-শাশুরীকে ধারালো লোহাড় শাবল দিয়ে হত্যা করেছে বিল্লাল হোসেন নামের এক ব্যক্তি। তাকে আটক করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে উপজেলার কাশখালী গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন- এক সন্তানের জননী ফাতেমা আক্তার (২৬) ও তার মা আয়েশা খাতুন (৬১)।
ঘাতক বিল্লাল হোসেন (৩৫) নিহত ফাতেমার স্বামী। তিনি কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলার বাইরা গ্রামের বাসিন্দা।
নিহতের প্রতিবেশি রোকেয়া বেগম ও কাউখালী থানা পুলিশ সূত্রে জানা যায়, বিল্লাল হোসেনের সাথে কাশখালী এলাকার মৃত আব্দুর রশিদের মেয়ে ফাতেমা আক্তারের তিন বছর পূর্বে পারিবারিক ভাবে বিবাহ হয়। বিয়ের পর থেকে ঘাতক স্বামী বিল্লাল স্ত্রী ফাতেমাকে প্রায়ই শারীরিক ও মানসিক ভাবে নির্যাতন করতেন। তাদের সংসারে দুই বছরের একটি শিশু সন্তানও রয়েছে। স্বামীর নির্যাতন সইতে না পেরে মাস দুই/এক আগে কাশখালীর মায়ের বাড়িতে চলে আসেন ফাতেমা। গত ২৯ জুলাই স্ত্রীকে ফিরিতে নিতে কাউখালী আসেন বেলাল। ফাতেমা স্বামীর সাথে যেতে রাজি না হওয়ায় স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিদের উপস্থিতিতে কাউখালী বাজারে কাজী অফিসে তাদের বিবাহ বিচ্ছেদ হয়। ছাড়াছাড়ি হলেও ক্ষোভ নিয়েই কুমিল্লা ফিরে যান বেলাল।
বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে বিল্লাল-ফাতেমার আড়াই বছর বয়সী শিশু ছেলে পার্শ্ববর্তী বাড়িতে বাবা কই, বাবা কই ডাকাডাকি করলে সন্দেহ হলে দোকানে থাকা পুরুষদের খবর দেন পার্শ্ববর্তী বাড়ির মহিলারা। স্থানীয়রা এসে ঘরে মৃত অবস্থায় ফাতেমা ও আয়েশাকে পড়ে থাকতে দেখে পুলিশে খবর দেয়।
রোকেয়া বেগম জানান, খুব বেশি বৃষ্টি হওয়ায় এবং ঘরটি একটু দুরে থাকায় চিৎকারের আওয়াজ শুনতে পাইনি। তবে শিশুটির কান্না একবার শুনেছিলাম একটু পরেই শিশুটি আমার ঘরে চলে আসে। ঘটনার সাথে বিল্লাল জড়িত থাকতে পারে বলে সন্দেহ করেন স্থানীয়রা।
এদিকে, ঘাতক বেলাল হত্যাকাণ্ড ঘটিয়ে পালিয়ে যাওয়ার সময় কাউখালী-রাণীরহাট সড়কের বেতছড়ির পাইন বাগান এলাকায় স্থানীয়দের সন্দেহ হলে তাকে আটক করে পুলিশে সোর্পদ করে।
ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখা যায়, নিহত ফাতেমা ও আয়েশা পাহাড়ের ঢালুতে একটি জরাজীর্ণ ঘরে থাকতেন। ঘাতক বিল্লাল ঘরের পেছনে সিধ কেটে (মাটি খুড়ে) ভেতরে প্রবেশ করেন।
কাউখালী থানার অফিসার ইনচার্জ রাজীব চন্দ্র কর জানান, পারিবারিক কলহের জেরে এ হত্যাকাণ্ড ঘটে থাকতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। হত্যাকাণ্ডের সাথে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছেন বিল্লাল। এ ব্যাপারে নিহতের ভাই বাদি হয়ে হত্যা মামলা দায়ের করেছেন।
-এসআই/এমএ