মোবাইল ফিরিয়ে দিয়ে প্রবাসীর বাড়িতে ডাকাতি
Published : Friday, 2 August, 2024 at 7:34 PM Count : 104
মাদারীপুরের শিবচরে আমেরিকা প্রবাসীর বাড়িতে দূর্ধর্ষ ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। শুক্রবার ভোর রাতে উপজেলার পাঁচ্চর ইউনিয়নের বাহেরচর গ্রামের আমেরিকা প্রবাসী রুবেল মোল্লার বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।
ডাকাত দল দেশীয় অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে বাড়ির সবাইকে বেঁধে রেখে মারধর করে ২০ ভরি স্বর্ণালংকার, নগদ টাকাসহ ২০ লক্ষাধিক টাকার মালামাল লুট করে নিয়ে গেছে বলে ক্ষতিগ্রস্থ পরিবার জানিয়েছে। তবে দামী দামী এনড্রয়েড মোবাইল ফোনগুলো নিলেও পরে রেখে যায় ডাকাতরা। পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে।
এর আগের রাতে ওই বাড়ি সংলগ্ন বৈদ্যুতিক ট্রান্সফরমার চুরি হওয়ায় বাড়িটি বিদ্যুৎবিহীন ছিল।
ক্ষতিগ্রস্ত পরিবার জানায়, শুক্রবার ভোর রাতে রুবেল মোল্লার বাড়ির পেছনের দরজা ভেঙ্গে ভেতরে প্রবেশ করে ৭-৮ জনের মুখোশধারী ডাকাত দল। ডাকাতরা প্রথমে রুবেল মোল্লার বাবা আ. রাজ্জাক মোল্লা, মা আজিদননেছা বেগমকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে রশি দিয়ে বেঁধে রাখে। পরে রুবেল মোল্লার স্ত্রী খাদিজা আক্তার, ভাই রিপন মোল্লা ও রিপন মোল্লার স্ত্রী পপি আক্তারকে রশি দিয়ে বেঁধে মারধর করে ডাকাতরা প্রায় ২০ ভরি স্বর্ণালংকার, নগদ ৭২ হাজার টাকাসহ ২০ লক্ষাধিক টাকার মালামাল লুট করে নিয়ে যায়। খবর পেয়ে সকালে পুলিশে একটি টিম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে।
প্রবাসী রুবেল মোল্লার স্ত্রী খাদিজা আক্তার বলেন, আমার রুমের দরজায় নক করায় আমি দরজা খোলার সাথে সাথে হাফপ্যান্ট পড়া খালি গায়ে মুখোশধারী ডাকাতরা ভেতরে প্রবেশ করে। আমি চিৎকার দিলে ওরা আমাকে এলোপাতাড়ি মারধর করে। এ সময় পাশের রুম থেকে আমার দেবর এলে তাকে ও তার স্ত্রীসহ আমাদের রশি দিয়ে ডাকাতরা বেঁধে রেখে স্বর্ণালংকার কোথায় জানতে চায়। না বলায় দফায় দফায় আমাকে মারে। পরে ডাকাতরা আলমারি ভেঙ্গে স্বর্ণালংকার ও টাকা নিয়ে পালিয়ে যায়।
প্রবাসী রুবেলের বাবা আ. রাজ্জাক মোল্লা বলেন, ডাকাতরা বাড়ির পেছনের দরজা ভেঙ্গে প্রথমে আমার রুমে প্রবেশ করে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে আমাকে ও আমার স্ত্রীকে রশি দিয়ে বেঁধে রাখে। পরে বাড়ির অন্যদের রশি দিয়ে বেঁধে ২০ ভরি স্বর্ণালংকার, ৭২ হাজার টাকা লুট করে আরেক সহযোগীকে ফোন করে। বাড়ির বাইরে থাকা অপর সহযোগী গাড়ি নিয়ে এলে সেই গাড়িতে করে ডাকাতরা পালিয়ে যায়।
শিবচর থানার ওসি সুব্রত গোলদার বলেন, ডাকাতির ধরণ দেখে এটি পূর্ব পরিকল্পিত মনে হচ্ছে। দোষীদের ধরতে আমাদের অভিযান চলছে।
-এসএস/এমএ