For English Version
রবিবার ৬ অক্টোবর ২০২৪
হোম

ঋণের কিস্তি পরিশোধে করতে হিমশিম খাচ্ছেন ক্ষুদ্র ঋণ গ্রহিতারা

Published : Tuesday, 30 July, 2024 at 9:13 PM Count : 191



মৌলভীবাজারে কমলগঞ্জে বিভিন্ন ব্যাংক ও এনজিও প্রতিষ্ঠান থেকে ক্ষুদ্র ঋণ গ্রহিতাদের জন্য ঋণ এখন বোঝা হয়ে দাঁড়িয়েছে। কিস্তির টাকা পরিশোধের জন্য ক্ষুদ্র ঋণ গ্রহীতারা দুশ্চিন্তায় পড়েছেন।

ঋণের অর্থ দিয়ে ব্যবসায় বিনিযোগ করে ব্যবসায় ধবসের কারণে কিস্তি পরিশোধ করতে গিয়ে সহায় সম্পদ বিক্রি করতে বাধ্য হচ্ছেন। ফলে ঋণ গ্রহণ করে স্বাবলম্বী হওয়ার জায়গায় এখন সর্বশান্ত হতে চলেছেন।
    
জানা গেছে, মৌলভীবাজার জেলায় কমলগঞ্জে সরকারী ও আধা সরকারী ব্যাংকের পাশাপাশি ব্রাক, গ্রামীণ ব্যাংক, আশা, ব্যুারো বাংলাদেশ, টি.এম.এস, আর.ডি.আর.এস, গ্রামীণ শক্তি, পাতাকুঁড়ি, কারিতাস, পল্লী উন্নয়ন ও উদ্দিপণ সহ নানা নামের প্রায় ২৮টি এনজিও সংস্থার শাখা রয়েছে। সাম্প্রতিক বন্যা ও চলমান অস্থির পরিস্থিতিতে বিভিন্ন ব্যাংক ও এনজিও প্রতিষ্ঠান থেকে নিন্ম আয়ের ঋণ গ্রহিতারা চরম বিপাকে পড়েছেন। বাধ্য হয়ে হাঁস, মুরগী, গরু, ছাগল এমনকি ঘরের আসবাবপত্র বিক্রি করে কিস্তি পরিশোধ করতে বাধ্য হচ্ছেন।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে এনজিও থেকে ঋণ নিয়ে ভানুগাছ বাজারের এক ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী বলেন, ‘ব্যবসা খারাপ হওয়ায় গত দুই মাস ধরে ঘর ভাড়া দিতে পারি না। এরমধ্যে ঋন দাতা এনজিও সংস্থার কর্মিরা কিস্তির টাকা নিতে আসে। কিস্তি দেওয়া সম্ভব না জানালে, তারা বাগবিতন্ডা শুরু করে। অথচ আগে ব্যবসা ভালো ছিল সময় মতো কিস্তি পরিশোধও করেছি। ব্যবসায় গতি না থাকা কারনে রীতিমতো বিপাকে পড়েছেন। আগে কখনো এমন হেনন্তার শিকার হতে হয়নি বলে জানান।’ 

ভানুগাছ বাজারে ব্যাংক থেকে ঋণ গ্রহিতা পোশাক ব্যবসায়ী রাজন আবেদীন রাজু জানান, স্থানীয় একটি ব্যাংকের শাখা থেকে দুই লাখ টাকা ঋণ নিয়েছেন। ঋণের টাকায় কাপড়ের দোকান খুলেছেন। গত ঈদের সময় বেচাকেনা তেমন হয়নি। এখন বেচাকেনা আরও কমে গেছে। বর্তমানে ব্যবসার যে অবস্থা তাতে পরিবারের জন্য খাবার যোগানোই কষ্টকর হয়ে পড়েছে। ব্যাংক থেকে কিস্তি পরিশোধের জন্য চাপ দিচ্ছে। ব্যবসার যে পরিস্থিতি তাতে সময়মতো ঋণ শোধ করা বেশ কষ্টসাধ্য। গত দুই মাস ধরে ছোট ভাইয়ের কাছ থেকে টাকা ধার করে ব্যাংকের ঋণ শোধ করছি। সংসারের খরচ সামলিয়ে ঋণের কিস্তি দিতে কষ্ট হয়ে যাচ্ছে। এই কিস্তি দিতে উল্টো আবার ধার-দেনা করতে হচ্ছে। 
          
মৌলভীবাজার সদর উপজেলার সাবিয়া গ্রামের লিপি বেগম জানান, তিনি একটি এনজিও প্রতিষ্ঠান থেকে ৫০ হাজার টাকা ঋণ নিয়ে ব্যবসা শুরু করে ছিলেন। প্রতি সপ্তাহে ১৫‘শ টাকা কিস্তি দিতে হয়। সাম্প্রতিক বন্যায় ও দেশের চলমান পরিস্থিতিতে ব্যবসাপাতি বন্ধ হয়ে যাওয়ায় হাঁস, মুরগী ও ছাগল বিক্রি করে কিস্তি পরিশোধ করেছেন। এখন শেষ সম্বল ভিটে। এনজিওর লোকেদের চাপে শেষ সম্বল ভিটেও বিক্রি করতে হবে। তিনি অন্ততঃ ৪ মাসের জন্য ঋনের কিস্তি আদায় বন্ধ রাখার জন্য প্রধানমন্ত্রীর নিকট আহবান জানান। 
         
এই ধরনের অভিযোগ কারী সহাশ্রাধিক ব্যক্তি। কেউ ঋণ নিয়ে অটোরিকসা ক্রয় করেছে। কেউ কেউ রিক্সা বা সবজি ব্যবসা করছেন। অনেকে হাঁস, মুরগী, গরু ছাগল পালন করছেন। কিন্তু ঋণের কিস্তি পরিশোধ নিয়ে তারা এখন পড়ছেন বিপাকে। এ ব্যাপারে সরকারের পক্ষ থেকে উদ্যোগ নেওয়ার আহবান জানান। 

এ ব্যাপারে মৌলভীবাজারের জেলা প্রশাসক ড. উর্মি বিনতে সালাম জানান, ‘তিনি এনজিও সংস্থাগুলোর সাথে কথা বলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।’

এসএস/এসআর

« PreviousNext »



সর্বশেষ সংবাদ
সর্বাধিক পঠিত
Editor : Iqbal Sobhan Chowdhury
Published by the Editor on behalf of the Observer Ltd. from Globe Printers, 24/A, New Eskaton Road, Ramna, Dhaka.
Editorial, News and Commercial Offices : Aziz Bhaban (2nd floor), 93, Motijheel C/A, Dhaka-1000. Phone : PABX- 0241053001-08; Online: 41053014; Advertisemnet: 41053012
E-mail: info$dailyobserverbd.com, mailobserverbd$gmail.com, news$dailyobserverbd.com, advertisement$dailyobserverbd.com,