৪ বছরেও শেষ হয়নি রামেকের সাবস্টেশন স্থাপন
Published : Thursday, 25 July, 2024 at 7:13 PM Count : 100
রাজশাহী মেডিকেল কলেজে সাবস্টেশন স্থাপনের কাজটি ৬ মাসের মধ্যে শেষ করার কথা ছিল। কিন্তু ৬ মাস তো দূরের কথা গত ৪ বছরেও কাজ শেষ হয়নি। ২০২০ সালের ২২ এপ্রিল ঠিকাদারকে এ কাজের কার্যাদেশ দেওয়া হয়েছিল। কাজটি শেষ করার কথা ছিল কার্যাদেশ পরবর্তী ৬ মাস। কিন্তু কাজ শেষ না হলেও ঠিকাদারকে সব বিল পরিশোধ করেছেন রাজশাহী গণপূর্ত বিভাগ-২ এর কর্মকর্তারা। ঘটনাটি জানাজানির পর রাজশাহী মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. মো. নওশাদ আলী ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।
জানা যায়, ২ কোটি ৬৭ লাখ ৬৬ হাজার ৬৫৭ টাকা ব্যয়ে ভবনসহ একটি এক হাজার কেভিএ বিদ্যুতের সাবস্টেশন ও ৫০০ কেভিএ জেনারেটর স্থাপনের জন্য রংপুরের ঠিকাদার সৈয়দ সাজ্জাদ আলীকে কার্যাদেশ দেওয়া হয়। তবে কাজটি ঠিকাদার নিজে না করে রাজশাহী মহানগর ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি মাইনুল চৌধুরী ওরফে শান্ত চৌধুরীর কাছে বিক্রি করে দেন। বদলি ঠিকাদার শুধু বিদ্যুতের সাবস্টেশনের ঘর তৈরি করেই কাটিয়ে দিয়েছেন ৪ বছর।
তবে ঠিকাদার ভবন নির্মাণ ও সাবস্টেশন স্থাপন শেষে সেটি রাজশাহী মেডিকেল কলেজ কর্তৃপক্ষের কাছে হস্তান্তর না করেই ২ বছর আগেই কাজের পুরো বিল উত্তোলন করে নেন। ২০২০ সালে কাজটির কার্যাদেশ দেওয়ার সময় রাজশাহী গণপূর্ত বিভাগ-২ এর নির্বাহী প্রকৌশলী ছিলেন ফেরদৌস শাহনেওয়াজ কান্তা। পরে তার স্থলাভিষিক্ত হন প্রকৌশলী মোস্তাফিজুর রহমান।
দুর্নীতি ও অনিয়মের অভিযোগে প্রকৌশলী মোস্তাফিজুর রহমানকে রাজশাহী থেকে পাবনা গণপূর্ত বিভাগে বদলি করা হয়। তার আমলেই কাজ শেষ হওয়ার আগেই ঠিকাদারকে সব বিল পরিশোধ করা হয়। বর্তমানে রাজশাহী গণপূর্ত বিভাগ-২ এর নির্বাহী প্রকৌশলীর দায়িত্বে আছেন এএইচএম শাকিউল আজম। তিনি এ কাজের বিষয়ে বিস্তারিত জানাতে অপরাগতা প্রকাশ করেন।
রাজশাহী মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. মো. নওশাদ আলী বলেন, গণপূর্ত বিভাগ বৈদ্যুতিক সাবস্টেশন স্থাপনের কাজ করছে অনেকদিন ধরে। কিন্তু গত ৪ বছরেও কাজটি শেষ হয়নি। সম্প্রতি আমরা গণপূর্ত বিভাগের প্রকৌশলীদের ডেকে নিয়ে কাজের অগ্রগতি জানতে চেয়েছিলাম। দীর্ঘ ৪ বছরেও সাবস্টেশনটি চালু না হওয়ায় আমি ক্ষোভ প্রকাশ করেছি।
বদলি ঠিকাদার মাইনুল ওরফে শান্ত চৌধুরী বলেন, করোনা মহামারির কারণে নির্ধারিত সময়ে কাজ শেষ করা যায়নি। পরে আবার গণপূর্তের টাকা ছিল না। সাবস্টেশনের জন্য নেসকো ও বিদ্যুৎ লাইসেন্স বোর্ডের অনুমতি পেতেও দেরি হয়েছে। দ্রুত সময়ে কাজটা শেষ করে কলেজ কর্তৃপক্ষের কাছে হস্তান্তর করা হবে।
এফএ/এসআর