বন্যায় কুলাউড়া পৌরসভার ক্ষতি ৫০ কোটি টাকা: মেয়র সিপার
Published : Sunday, 7 July, 2024 at 3:23 PM Count : 191
বন্যায় মৌলভীবাজারের কুলাউড়া পৌরসভার ৫০ কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে জানিয়েছেন মেয়র অধ্যক্ষ সিপার উদ্দিন আহমদ।
কুলাউড়ায় চলমান বন্যা পরিস্থিতি নিয়ে রোববার দুপুরে পৌরসভার হলরুমে এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
মেয়র বলেন, গত ১৭ জুন থেকে উপজেলার অধিকাংশসহ পৌরসভার বড় একটি অংশ বন্যার পানিতে প্লাবিত হয়ে এখন পর্যন্ত একই অবস্থায় রয়েছে। তাৎক্ষণিক ভাবে রাবেয়া আদর্শ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও ইয়াকুব-তাজুল মহিলা ডিগ্রি কলেজে দুটি এবং পরবর্তীতে সী-বার্ড কেজি স্কুল ও বিএইচ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে আরও দুটি আশ্রয়কেন্দ্র খোলা হয়। এতে ১১৯টি পরিবারের ৪০০ জন মানুষ আশ্রয় নিয়েছেন। এছাড়াও পৌর এলাকার আরও ১০ হাজার মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েন। একটানা ২১ দিন থেকে মানুষ মানবেতর জীবনযাপন করছে।
তিনি বলেন, বন্যায় পৌরসভার ৯টি ওয়ার্ডের অসংখ্য ঘরবাড়ি, রাস্তাঘাট, ড্রেন, কালভার্ট, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, মসজিদ, মাদ্রাসা ও গবাদি পশুর খামার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এই ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ প্রায় ৫০ কোটি টাকা।
একটানা দীর্ঘদিন পানিবন্দি মানুষকে খাদ্য সহায়তা প্রদান করা সবচেয়ে বড় সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে উল্লেখ করে সিপার উদ্দিন বলেন, যতদিন যাচ্ছে এই সংকট আরও প্রকট আকার ধারণ করছে। সরকারের খাদ্য সহায়তা ও পৌরসভার নিজস্ব তহবিল থেকে আশ্রয় কেন্দ্রসহ পানিবন্দি মানুষের বাড়ি বাড়ি গিয়ে খাদ্য সহায়তা প্রদান করা হচ্ছে। তবে ইতিমধ্যে প্রায় ৩ সপ্তাহ ধরে মানুষ পানিবন্দি থাকার পরও বর্তমান পরিস্থিতিতে অনুমান করা যাচ্ছে এটি আরও দীর্ঘায়িত হবে। তবে দুঃখজনক হলেও সত্য যে, কুলাউড়া পৌরসভা বন্যায় ব্যাপক আক্রান্ত হলেও অনেকেই বন্যাক্রান্ত কুলাউড়া পৌরসভার নামটি পর্যন্ত নেন না।
তিনি বলেন, সিলেটের ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলার বুড়িকিয়ারিতে একটি বাঁধ নির্মাণের পর থেকে প্রতি বছর বন্যা দীর্ঘস্থায়ী হচ্ছে। এ অবস্থায় বন্যাকবলিত দুর্ভোগগ্রস্ত মানুষের জন্য খাদ্য সহায়তা পুনরায় প্রদান করাসহ তা বৃদ্ধি, বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত ঘরবাড়ি, রাস্তাঘাট, কালভার্ট, অন্যান্য অবকাঠামো মেরামতসহ পুনর্নির্মাণ ও বন্যা-জলাবদ্ধতা দূরীকরণে স্থায়ী পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য সংশ্লিষ্টদের প্রতি তিনি জোর দাবি জানান।
সংবাদ সম্মেলনে পৌর সচিবসহ বিভিন্ন ওয়ার্ডের কাউন্সিলররা উপস্থিত ছিলেন।
-এসআর/এমএ