ফাঁসির আসামির পলায়ন: কারাগারের নিরাপত্ত জোরদার, তিনজন কারারক্ষী বরখাস্ত
Published : Thursday, 27 June, 2024 at 11:02 PM Count : 117
বগুড়া কারাগার থেকে মৃত্যুদন্ড প্রাপ্ত আসামী কনডেম সেলের ছাদ কেটে পালানোর ঘটনার পর বগুড়া কারাগারের নিরাপত্ত জোরদার করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন জেলা প্রশাসক মো: সাইফুল ইসলাম।
বগুড়া জেলার অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট পিএন ইমরুল কায়েসকে আহ্বায়ক করে ৫ সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটি ইতোমধ্যে ঘটনার তদন্ত শুরু করেছেন।
বগুড়া কারাগারের কনডেম সেলের ছাদ ফুটো করে ফাঁসির চার আসামি পালিয়ে যাওয়ার ঘটনায় প্রধান কারারক্ষীসহ তিনজনকে বরখাস্ত করা হয়েছে৷ দায়িত্ব অবহেলার অভিযোগে তাদেরকে সাময়িক বরখাস্তের সিদ্ধান্ত নেয় কারা কর্তৃপক্ষ। এছাড়া অপর দুই কারারক্ষীকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়েছে।
বরখাস্ত হওয়া ব্যক্তিরা হলেন প্রধান কারারক্ষী দুলাল হোসেন, হাবিলদার আব্দুল মতিন এবং কারারক্ষী আরিফুল ইসলাম। এছাড়া কারারক্ষী ফরিদুল ইসলাম ও কারারক্ষী হোসেনুজ্জামানকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়েছে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বগুড়া জেল সুপার আনোয়ার হোসেন।
এর আগে, মঙ্গলবার দিবাগত রাতে মঙ্গলবার দিবাগত রাত ৩টার দিকে কনডেম সেলের ছাদ কেটে বিভিন্ন চাদরকে রশি হিসেবে ব্যবহার করে ফাঁসির চার আসামি পালিয়ে যায়৷ পরে পুলিশ রাতে ৪টা ১০ মিনিটের দিকে চেলোপাড়া চাষীবাজার এলাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করে। মৃত্যুদন্ডপ্রাপ্ত চার কয়েদি হলেন- কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারী উপজেলার দিয়াডাঙ্গা এলাকার নজরুল ইসলাম ওরফে মজনু (কয়েদি নম্বর-৯৯৮), নরসিংদীর মাধবদী উপজেলার ফজরকান্দি এলাকার আমির হোসেন (কয়েদি নম্বর-৫১০৫), বগুড়ার কাহালু পৌরসভার মেয়র আবদুল মান্নানের ছেলে মো. জাকারিয়া (কয়েদি নম্বর-৩৬৮৫) এবং বগুড়ার কুটুরবাড়ি পশ্চিমপাড়া এলাকার ফরিদ শেখ (কয়েদি নম্বর-৪২৫২)।
এ ঘটনায় বুধবার (২৬ জুন) দুপুরে বগুড়া জেলা প্রশাসকের গঠিত পাঁচ সদস্যের এবং অতিরিক্ত কারা মহাপরিদর্শক শেখ সুজাউর রহমান সুজার নেতৃত্বে তিন সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়। একই সাথে পালিয়ে যাওয়ার ঘটনায় জেলার ফরিদুল ইসলাম রুবেল বুধবার দুপুরে ওই চার কয়েদির বিরুদ্ধে মামলা করছেন।
এ/এসআর