For English Version
রবিবার ৬ অক্টোবর ২০২৪
হোম

'বাংলাদেশ নিয়ে আমাদের দুশ্চিন্তার কিছু নেই'

Published : Monday, 24 June, 2024 at 12:56 PM Count : 174

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, 'আগামী দিনে এই বাংলাদেশ এগিয়ে চলার বাংলাদেশ। বদলে যাওয়া বাংলাদেশ। এই বাংলাদেশ নিয়ে আর আমাদের দুশ্চিন্তার কিছু নেই।'

সোমবার সকালে রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে শিক্ষা মন্ত্রণালয় আয়োজিত মাধ্যমিক থেকে স্নাতক (পাস) ও সমমান পর্যায়ের মেধাবী শিক্ষার্থীদের মাঝে ২০২৩-২৪ অর্থবছরের উপবৃত্তি ও টিউশন ফি বিতরণ কার্যক্রমের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। 

অনুষ্ঠানে বৃত্তিপ্রাপ্তদের অনভূতি শোনেন প্রধানমন্ত্রী। পরে তিনি বলেন, 'আমাদের ছেলে-মেয়েদের মধ্যে যে মেধা রয়েছে, এতক্ষণ যাদের বক্তব্য শুনলাম। আমি সত্যিই মুগ্ধ হয়ে গেছি। এত জ্ঞান তো আমাদেরও নেই, সত্যি কথা বলতে গেলে! এত সুন্দর করে আমরাও বোধহয় বক্তৃতা দিতে পারি না। এত সুন্দর ভাবে অনুভূতি ব্যক্ত করে, প্রত্যেকটা দিক তুলে ধরা। প্রত্যেককের বক্তব্যে ভিন্ন ভিন্ন দিক উঠে এসেছে। আমি কথাগুলো শোনার পরে, সত্যি কথা বলতে কি, আমি খুব স্বস্তি অনুভব করছি এই কারণে যে, আগামী দিনে বাংলাদেশ এই বাংলাদেশ এগিয়ে চলার বাংলাদেশ। বদলে যাওয়া বাংলাদেশ। এই এই বাংলাদেশ নিয়ে আর আমাদের দুশ্চিন্তার কিছু নেই।'

তিনি বলেন, 'এখন আমাদের ছোট্ট সোনামনিরাই নিয়ে যাবে এই বাংলাদেশকে স্মার্ট বাংলাদেশ করে। ভবিষ্যতে পরিচালনাও তারা করবে। চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের উপযুক্ত দক্ষ কারিগর অর্থাৎ স্মার্ট সিটিজেন হিসেবে গড়ে উঠবে আমাদের এই আজকের ছেলে-মেয়েরা, এটাই আমি বিশ্বাস করি।'
শেখ হাসিনা বলেন, 'আমি সত্যি খুব আনন্দিত আমরা ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ে তুলেছি, এটা তারই একটি দৃষ্টান্ত। এইমাত্র যেটা উদ্বোধন করা হলো সেটা হলো স্নাতক (পাস) ও সমমান পর্যায়ের অসচ্ছল ও মেধাবী শিক্ষার্থীদের উপবৃত্তি ও টিউশন ফি। এটা সম্পূর্ণ ডিজিটাল পদ্ধতিতে যার যার অ্যাকাউন্টে চলে যাবে। নিজেরা সংগ্রহ করতে পারবেন। সেই পদ্ধতিটাই আমরা অনুসরণ করলাম। ডিজিটাল পদ্ধতিতে উদ্বোধন করতে পেরে আমরা আনন্দিত।'

তিনি বলেন, 'আমরা সমস্ত টেলিফোন সিস্টেমকে ডিজিটালাইজ করি। কম্পিউটার শিক্ষার জন্য সুযোগ সৃষ্টি করে দেই। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের যাত্রা শুরু হয় দুই তিনটা কম্পিউটার দিয়ে। ছেলে-মেয়েরা যাতে শিক্ষা নিতে পারে তার ব্যবস্থা আমরা নিয়েছি। তাছাড়া আইন পাশ করে ১২টা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় নির্মাণ কাজ শুরু করি।'

সরকারপ্রধান বলেন, 'অনেক হিরার টুকরা ছড়িয়ে আছে, সেগুলো কুড়িয়ে আনা; সেটাই আমাদের মূল্য উদ্দেশ্য। মেধাবী ছাত্র-ছাত্রী বা মেধাবী শক্তিটা যেন আমাদের দেশের উন্নয়নে কাজে লাগে, আমরা সেটাই চাই। সেই জন্য এই বঙ্গবন্ধু শিক্ষা সহায়তা ট্রাস্ট ফান্ডের মাধ্যমে সাহায্য দিয়ে যাচ্ছি। তাছাড়া আমাদের বিভিন্ন প্রকল্পের মাধ্যমে উপবৃত্তি দেওয়া হচ্ছে। তবে প্রকল্প শেষ হয়ে গেলে একটা অসহায়ত্ব দেখা যায়। সেটা যাতে না হয়, সে জন্য এই ট্রাস্ট ফান্ডটাকে বড় করে সমস্ত বৃত্তিগুলো এর মাধ্যমে দিতে পারলে এটা স্থায়ী বন্দোবস্ত হয়ে যাবে। তখন আর কেউ এটা নষ্ট করতে পারবে না। আমরা ধীরে ধীরে সেই ব্যবস্থাটাই নিবো।'

বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের বৃত্তিগুলো চলমান থাকুক সেটাই চান তিনি।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, 'দারিদ্র্য যেন প্রতিবন্ধকতা তৈরি করতে না পারে। অনেক মেধাবী শিক্ষার্থী আমাদের। তাদের বাবা-মা পড়াতে পারে না। এ জন্য শিক্ষা সহায়তা ফান্ড করে বৃত্তি দিচ্ছি। দরিদ্র্য মেধাবী শিক্ষার্থীদের পড়াশোনা ও গবেষণায় সহায়তার জন্যই আমাদের এই উদ্যোগ।'

তিনি বলেন, 'আমাদের দেশে যারা বিত্তবান, তারা যদি এই ট্রাস্ট ফান্ডে অনুদান দেয়, আমরা আরও বেশি ব্যবহার করতে পারবো। তবে আমি আমাদের বঙ্গবন্ধু মেমোরিয়াল ট্রাস্ট থেকে অন্তত দুই কোটি টাকা অনুদান দেবো। এটা আমি কথা দিচ্ছি। এটা আমার বোর্ড মিটিংয়ে আলোচনা করতে হবে। ছোট বোন রেহানার সঙ্গে আলোচনা করে এটা আমি দিয়ে দেবো। আমরা নিজেরাও বৃত্তি দিচ্ছি। কিন্তু আমি মনে করি, এখানে দিতে পারলে সেটা আমাদের আত্মতৃপ্তি হবে। এই ট্রাস্টটা তো আমাদের বাবার নামেই করেছি।'

শেখ হাসিনা বলেন, '৭৫ পরবর্তী যারা ক্ষমতায় ছিল তারা গবেষণায় কোনো বরাদ্দ দেয়নি। গবেষণা আমাদের কোনো বরাদ্দ ছিল না। আমাদের প্রথম বাজেট অল্প ছিল। সেখান থেকেও গবেষণার জন্য টাকা দিয়ে দেই। পরে যখন বাজেট দেই তখন ১০০ কোটি টাকা থোক বরাদ্দ দিয়েছিলাম। সেটা ছিল কম্পিউটার শিক্ষা এবং গবেষণায়। আমাদের শুধু একটা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় ছিল। আমি আরও কয়েকটি কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় করে দেই। সেই সঙ্গে ১৬টি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়, নভোথিয়েটার প্রতিষ্ঠা, সমুদ্র গবেষণা ইনস্টিটিউট, বায়ু টেকনোলজি ইনস্টিটিউট, এই সবগুলো আওয়ামী লীগ সরকার আমলে শুরু করেছিলাম।'

একই অনুষ্ঠান থেকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ১৫ জন শিক্ষার্থীর মাঝে ‘বঙ্গবন্ধু সৃজনশীল মেধা অন্বেষণ-২০২৪’ এর সেরা মেধাবী পুরস্কার এবং ২১ শিক্ষার্থীর মাঝে ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব স্কলার অ্যাওয়ার্ড, ২০২৩’ বিতরণ করেন।

শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষা ও সাংস্কৃতিক বিষয়ক উপদেষ্টা ড. কামাল আব্দুল নাসের চৌধুরী, শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী বেগম শামসুন্নাহার, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের সচিব সোলেমান খান।  

এছাড়াও, পুরস্কারপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীদের মধ্যে বেশ কয়েকজন তাদের অনুভূতি প্রকাশ করেন।

-এমএ

« PreviousNext »



সর্বশেষ সংবাদ
সর্বাধিক পঠিত
Editor : Iqbal Sobhan Chowdhury
Published by the Editor on behalf of the Observer Ltd. from Globe Printers, 24/A, New Eskaton Road, Ramna, Dhaka.
Editorial, News and Commercial Offices : Aziz Bhaban (2nd floor), 93, Motijheel C/A, Dhaka-1000. Phone : PABX- 0241053001-08; Online: 41053014; Advertisemnet: 41053012
E-mail: info$dailyobserverbd.com, mailobserverbd$gmail.com, news$dailyobserverbd.com, advertisement$dailyobserverbd.com,