For English Version
রবিবার ৬ অক্টোবর ২০২৪
হোম

গোয়ালন্দে সরকারি স্কুলের মধ্যে পাকা রাস্তা, ঝুঁকিতে ছাত্র ছাত্রীরা

Published : Sunday, 2 June, 2024 at 4:45 PM Count : 151

রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ উপজেলার পৌর সাত নম্বর ওয়ার্ডে অবস্থিত শতবর্ষী প্রাচীন স্কুল রেলওয়ে কলোনি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মাঠ দিয়ে রয়েছে পাকাসড়ক। ফলে ছাত্র ছাত্রীরা এখানে পড়াশোনার পাশাপাশি খেলাধুলা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। 

জানা যায়, তৎকালীন রেলের বড় বাবুদের ছেলেমেয়েকে পড়ানোর জন্য রেলওয়ের নিজস্ব ৫০ শতাংশ জমির উপর ১৯১৭ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল এই স্কুল। এখন আর আগের সেই জৌলুশ নেই। বিদ্যালয়ের মাঝখান দিয়ে নির্মিত হয়েছে পাকা রাস্তা। সেখানে সারাদিন দাপিয়ে বেড়ায় মোটরসাইকেল, মাটির ড্রাম ট্রাক আর নসিমন, করিমন। ফলে যে সমস্ত অভিভাবক নিরুপায় হয়ে এখানে সন্তান ভর্তি করান সারাক্ষণ আতংকে থাকেন দূর্ঘটনার। কয়েক বছরের ব্যবধানে দুটি দূর্ঘটনা ঘটে পাভেল ও সরমী নামে দুই শিক্ষার্থী দূর্ঘটনার মুখোমুখি হয়েছেন।

রেলওয়ে কলোনী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শাহানাজ পারভীন বলেন, স্কুলের মধ্যে দিয়ে পাকা রাস্তা হওয়ার ফলে আমাদের সারাক্ষণ সতর্ক হয়ে চলতে হয়। এখান দিয়ে নসিমন, করিমন, ড্রাম ট্রাক আর দ্রুত গতির মোটরসাইকেলের কারণে স্কুলের ছাত্র ছাত্রী একরকম বন্দী অবস্থায় থাকতে হয়। সবচাইতে খারাপ ব্যাপার হলো এ্যাসেম্বলি সময়ে যখন ছাত্র ছাত্রীরা জাতীয় সংগীত পরিবেশন করে তখন দুই পাশ থেকে মোটরসাইকেল আর নসিমন করিমনের উচ্চ আওয়াজ আসলে সরে গিয়ে তাদের রাস্তা ফাঁকা করে দিতে হয়।

তিনি আরও বলেন, এই স্কুলে ওয়াসব্লকের কাজ আসছিল, আমরা জায়গা দিতে না পারায় সেই কাজ অন্য স্কুলকে দেওয়া হয়েছে। তাছাড়া অন্যান্য স্কুলের মতো এখানে গেট বাউন্ডারি আসছে। অন্য বিদ্যালয়ে এই কাজ শেষ হয়ে গেলেও আমাদের জায়গা জটিলতার কারণে শুরু হয়নি। জায়গার অভাবে ছাত্র ছাত্রীদের টয়লেট করা সম্ভব হয়নি। দুটি খেলনা রাস্তার ঐপাশে সেট করা হয়েছে। কিন্তু ঝুঁকির কারণে তাদেরকে ওখানে যেতে দেওয়া হয় না। ফলে বর্তমান মাত্র ১৭৫ জনের মতো শিক্ষার্থী এখানে পড়াশোনা করে। স্কুলটি ১৯১৭ সালে প্রতিষ্ঠিত। তবে এই স্কুলের অনেক সমস্যা। প্রতিষ্ঠা কালীন থেকে কোন টয়লেট নেই। স্কুলের কোন বাউন্ডারি নেই। যে কারণে স্কুলের পাশ দিয়ে বেদখল হয়ে যাচ্ছে। স্কুলের মাঝ দিয়ে পাকা রাস্তা থাকায় শিক্ষার্থীদের অনেক সমস্যা হয়। 
তিনি আরো বলেন, এই স্কুলে আমি নিজেও শিক্ষার্থী ছিলাম। তখন থেকে দেখে এসেছি স্কুলের অনেক সমস্যা। এব্যাপারে উপজেলা প্রশাসনকে একাধিকবার মৌখিক ভাবে অবগত করা হয়েছে। আশ্বাস পাওয়া যায়, সমাধান হয় না।

পৌর সাত নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক কমিশনার কিয়াম শিকদার বলেন, শতবর্ষী বয়সী একটি ছাত্রছাত্রীদের জন্য স্কুলের আলাদা টয়লেট নেই এটা দুঃখজনক। স্কুলের শিক্ষার্থীদের নিরাপদের জন্য অবশ্যই স্কুলের বাউন্ডারি ও টয়লেট প্রয়োজন। এদিকে বাউন্ডারি না থাকায় চারপাশের অনেক জায়গা বেদখল হয়ে যাচ্ছে। তাছাড়া শিক্ষার্থীরা স্কুলের বাউন্ডারি মাঝে নিরাপদে খেলাধূলা করতে পারবে।

গোয়ালন্দ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জ্যোতি বিকাশ চন্দ্র বলেন, বিষয়টি দেখে ব্যবস্থা গ্রহণ করবো। তাছাড়া স্কুলের বাউন্ডারি যাতে করা হয় সেব্যাপারে ব্যবস্থা গ্রহণ করবো। এবং চেষ্টা করবো শিক্ষার্থীদের সমস্যা সমাধান করে নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে। 

এসআই/এসআর

« PreviousNext »



সর্বশেষ সংবাদ
সর্বাধিক পঠিত
Editor : Iqbal Sobhan Chowdhury
Published by the Editor on behalf of the Observer Ltd. from Globe Printers, 24/A, New Eskaton Road, Ramna, Dhaka.
Editorial, News and Commercial Offices : Aziz Bhaban (2nd floor), 93, Motijheel C/A, Dhaka-1000. Phone : PABX- 0241053001-08; Online: 41053014; Advertisemnet: 41053012
E-mail: info$dailyobserverbd.com, mailobserverbd$gmail.com, news$dailyobserverbd.com, advertisement$dailyobserverbd.com,