For English Version
রবিবার ৬ অক্টোবর ২০২৪
হোম

যুক্তরাষ্ট্রে উচ্চশিক্ষার সুযোগ পেলেন রাবির ৫ শিক্ষার্থী

Published : Thursday, 23 May, 2024 at 6:42 PM Count : 128



যুক্তরাষ্ট্রে উচ্চশিক্ষার সুযোগ পেলেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) প্রাণরসায়ন ও অনুপ্রাণ বিজ্ঞান বিভাগের পাঁচ শিক্ষার্থী। দেশটির পৃথক তিনটি বিশ্ববিদ্যালয়ে পিএইচডি গবেষণায় ফুল ফান্ডেড স্কলারশিপ পেয়েছেন তারা। তাদের এমন সাফল্যে উচ্ছ্বসিত বিভাগের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা

বৃত্তিপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীরা হলেন- প্রাণরসায়ন ও অনুপ্রাণ বিজ্ঞান বিভাগের ২০১৪-১৫ সেশনের সেলিম রেজা টনি, ২০১৫-১৬ সেশনের মরিয়ম খাতুন, নাজমুল হক ও জাহিদুল ইসলাম এবং ২০১৬-১৭ সেশনের এহসানুল কবির।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, প্রথম থেকেই গবেষণা ও উদ্ভাবনীর দিকে আগ্রহ ছিল এ পাঁচ শিক্ষার্থীর। বিভাগের অধ্যাপক ড. জাহাঙ্গীর আলম সাউদ ও ড. খালেদ হোসাইনের সহায়তায় ‘ল্যাবরেটরি অব এনভায়রনমেন্টাল হেলথ সায়েন্সেস’ নামে একটি ল্যাবে একসঙ্গে নিয়মিত কাজ শুরু করেন তারা। সেখানেই রির্সাচের মৌলিক কাজগুলো শেখেন।

সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের পৃথক তিন বিশ্ববিদ্যালয়ে পিএইচডি গবেষণায় ফুল ফান্ডেড স্কলারশিপ পেয়েছেন এ পাঁচ শিক্ষার্থী। পারডু ইউনিভার্সিটিতে তিনজন, নিউ মেক্সিকো স্টেট ইউনিভার্সিটিতে একজন ও ওকলাহোমা স্টেট ইউনিভার্সিটিতে সুযোগ পেয়েছেন তারা। এদের মধ্যে মরিয়ম খাতুন পারডু বিশ্ববিদ্যালয়ের পাশাপাশি পিটসবার্গ বিশ্ববিদ্যালয়েও স্কলারশিপ পেয়েছেন।

বিভাগের ফলাফলেও এগিয়ে ছিলেন তারা। মাস্টার্সে এ পাঁচ শিক্ষার্থীর চারজনেরই ফলাফল ছিল সিজিপিএ ৪.০০ এবং একজনের ৩.৮৯। অনার্সে যথাক্রমে ৩.৮০, ৩.৭৫, ৩.৮২, ৩.৯১ ও ৩.৯৫ সিজিপিএ অর্জন করেন।

করোনা মহামারির আগ থেকেই গবেষণা শুরু করেন তারা। স্নাতকোত্তর শেষ করার আগে বিভিন্ন জার্নালে তাদের গবেষণাপত্র প্রকাশ হয়। এরমধ্যে টনির ৯টি, মরিয়মের ছয়টি, নাজমুলের সাতটি, জাহিদের ছয়টি এবং এহসানের দুটি। এছাড়া সকলের কিছু গবেষণাপত্র প্রকাশে প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

এ পাঁচ শিক্ষার্থী আইইএলটিএসে ৬.৫ এর ওপর ও জিআইয়ে ৩০০ এর ওপর স্কোর পেয়েছেন। পরে বিদেশে উচ্চশিক্ষার জন্য আবেদন করেন তারা। সুযোগ মেলে যুক্তরাষ্ট্রের চার বিশ্ববিদ্যালয়ে। এরইমধ্যে একজন চলে গেছেন। বাকি চারজন এবছরের আগস্টে যুক্তরাষ্ট্রে পাড়ি জমাবেন।

পিটসবার্গ ও পারডু ইউনিভার্সিটিতে স্কলারশিপের সুযোগ পাওয়া মরিয়ম খাতুন বলেন, আসলে অনুভূতি প্রকাশ করার মতো ভাষা খুঁজে পাচ্ছি না। পুরো জার্নিতে শিক্ষকরা সর্বোচ্চ সহযোগিতা করেছেন। ল্যাবে আমাদের সময় দিয়েছেন। গবেষণা থেকে শুরু করে স্কলারশিপ পাওয়া পর্যন্ত সার্বক্ষণিক আমাদের উৎসাহ-উদ্দীপনা জুগিয়েছেন। স্যারদের প্রতি চিরকৃতজ্ঞ।

এ বিষয়ে থিসিস সুপারভাইজার ও বিভাগের শিক্ষক ড. খালেদ হোসাইন বলেন, তাদের সাফল্যে আমি খুবই আনন্দিত। কষ্টের ফলেই এ সাফল্য অর্জন করেছে তারা।

থিসিস সুপারভাইজার অধ্যাপক ড. জাহাঙ্গীর আলম সাউদ বলেন, তাদের এ সাফল্যে আমিসহ আমার বিভাগ আনন্দিত। তারা বিভাগের জুনিয়র শিক্ষার্থীদের কাছে এখন অনুকরণীয় হয়ে থাকবে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. গোলাম সাব্বির সাত্তার বলেন, নিঃসন্দেহে এই সংবাদ বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য আনন্দের এবং গর্বের। এরাই আমাদের আগামী। এখান থেকে ভবিষ্যতে শিক্ষার্থীরা আরও বেশি বেশি উচ্চশিক্ষার সুযোগ পাবে বলে আমরা আশাবাদী।

আরএফ/এসআর

« PreviousNext »



সর্বশেষ সংবাদ
সর্বাধিক পঠিত
Editor : Iqbal Sobhan Chowdhury
Published by the Editor on behalf of the Observer Ltd. from Globe Printers, 24/A, New Eskaton Road, Ramna, Dhaka.
Editorial, News and Commercial Offices : Aziz Bhaban (2nd floor), 93, Motijheel C/A, Dhaka-1000. Phone : PABX- 0241053001-08; Online: 41053014; Advertisemnet: 41053012
E-mail: info$dailyobserverbd.com, mailobserverbd$gmail.com, news$dailyobserverbd.com, advertisement$dailyobserverbd.com,