বাড়ি থেকে কমিউনিটি ক্লিনিকের বিপুল পরিমাণ ওষুধ উদ্ধার
Published : Thursday, 23 May, 2024 at 12:30 PM Count : 308
নরসিংদীর মনোহরদীতে একটি বাড়ি থেকে কমিউনিটি ক্লিনিকের বিপুল পরিমাণ বিক্রয় নিষিদ্ধ ওষুধ উদ্ধার করা হয়েছে। বুধবার বিকেলে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে উপজেলার খিদিরপুর ইউনিয়নের ডোমনমারা গ্রামের ক্লিনিক সংলগ্ন মোস্তফার বাড়ি থেকে ওষুধগুলো উদ্ধার করা হয়।
স্থানীয় লোকজনের মাধ্যমে সংবাদ পেয়ে খিদিরপুর ইউপি চেয়ারম্যান কাউসার রশিদ বিপ্লব ওই বাড়িতে গিয়ে চার কার্টুন ওষুধ দেখতে পান। পরে ওই বাড়ি থেকে উদ্ধার করা ওষুধের কার্টনগুলো ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ে নিয়ে রাখা হয়।
উদ্ধার করা এসব ওষুধের মধ্যে রয়েছে জন্মনিয়ন্ত্রণের বিভিন্ন বড়ি, স্যালাইন, ভিটামিন, ক্যালসিয়াম, অ্যান্টিবায়োটিক ট্যাবলেট।
স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, ডোমনমারা কমিউনিটি ক্লিনিকের দায়িত্বপ্রাপ্ত কমিউনিটি হেলথকেয়ার প্রোভাইডার (সিএইচসিপি) রোজি আক্তার ও স্বাস্থ্য সহকারী জেসমিন আক্তার মুক্তা ক্লিনিকের ওষুধ মজুত করে তা বাইরে বিক্রি করতেন। দীর্ঘদিন ধরে এসব বিনামূল্যের ওষুধ জনসাধারণের কাছে বিতরণ না করে ক্লিনিকে আগত রোগীদের কাছে ১০০/২০০ টাকার বিনিময়ে বিক্রি করে আসছেন। এই ওষুধগুলোও বিভিন্ন জায়গায় বিক্রি করার উদ্দেশ্য ওই বাড়িতে রেখেছেন।
সিএইচসিপি রোজি আক্তার বলেন, ওষুধগুলো বিক্রির জন্য সেখানে রাখা হয়নি। বৃষ্টির দিন গাড়ির চালক হাসপাতাল থেকে ওষুধ এনে ওই বাড়িতে রেখেছেন। সময় না পাওয়ায় সেগুলো ক্লিনিকে আনা হয়নি।
তবে এগুলো প্রায় এক মাস যাবৎ এখানে কেন রাখা হল এমন প্রশ্ন করলে তিনি কোনো সদুত্তর দিতে পারেননি।
স্বাস্থ্য সহকারী জেসমিন আক্তার মুক্তা বলেন, ওষুধ রাখার বিষয়ে আমি কিছুই জানি না। তাছাড়া আমি ওষুধ বিক্রয়ের সাথে জড়িত নই।
খিদিরপুর ইউপি চেয়ারম্যান কাউসার রশিদ বিপ্লব বলেন, স্থানীয় লোকজনের মাধ্যমে সংবাদ পেয়ে এক বাড়ি থেকে বিক্রয় নিষিদ্ধ ওষুধ উদ্ধার করা হয়েছে। পরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নির্দেশে ইউপি কার্যালয়ে এসব ওষুধ রাখা হয়।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. রাশেদুল হাসান মাহমুদ বলেন, বিষয়টি জানতে পেরেছি। সরকারি ওষুধ বাইরে রাখার সুযোগ নেই তবে কেন রেখেছে তা সরেজমিন পরিদর্শন করে অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
-এইচআর/এমএ