নরমাল ডেলিভারির আশায় প্রাণ গেল প্রসূতির
Published : Tuesday, 14 May, 2024 at 5:18 PM Count : 192
দিনাজপুরের পার্বতীপুরে চিকিৎসকের অবহেলায় মল্লিকা আক্তার মিম (২১) নামে এক প্রসূতির মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে। সকালে স্থানীয় ল্যাম্ব হাসপাতালে এ ঘটনা ঘটে। নিহত মিম মন্মথপুর ইউনিয়নের তাজনগর ডাঙ্গাপাড়া গ্রামের মিজানুর রহমানের মেয়ে।
জানা গেছে, দুই বছর আগে মোস্তফাপুর ইউনিয়নের চক জামিনী এলাকার আব্দুস সবুরের ছেলে সুমনের সাথে পারিবারিকভাবে মিমের বিয়ে হয়। গর্ভবতী হওয়ার পর থেকে পার্বতীপুর ল্যাম্ব হাসপাতালের অধীনে চিকিৎসা সেবা নিয়ে আসছিলো সে। প্রসব বেদনা উঠলে গতকাল সোমবার (১৩ মে) রাত ৯ টার দিকে তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। রোগীর পরিবারের পক্ষ থেকে সিজারের মাধ্যমে বাচ্চা প্রসবের জন্য হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে জানানো হলেও তারা নরমাল ডেলিভারির জন্য অপেক্ষা করতে থাকেন। মঙ্গলবার সকাল ৯ টার দিকে হঠাৎ শারীরিক অবস্থা খারাপ হতে থাকে মিমের। সাড়ে ৯ টার দিকে ওই প্রসূতি মৃত্যুবরণ করে।
এ সময় সংশ্লিষ্টরা তরিঘরি করে অপারেশন থিয়েটারে না নিয়ে বেডেই অস্ত্রোপচার চালিয়ে গর্ভবতীর বাচ্চা বের করেন। তবে, সদ্য ভূমিষ্ট কন্যা সন্তান সুস্থ রয়েছে।
পরিবারের অভিযোগ, উপযুক্ত চিকিৎসার অভাবে মল্লিকা আক্তার মিমের অকাল মৃত্যু হয়েছে।
তবে চিকিৎসকের অবহেলার কারণে রোগীর মৃত্যুর বিষয়টি অস্বীকার করেছেন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
নিহতের বাবা মিজানুর রহমান ও মা- হোসনে আরা অভিযোগ করেন, ভর্তি হওয়ার পর থেকে একাধিকবার বলা হলেও কোন ব্যবস্থা নেয়নি কর্তৃপক্ষ। মৃত্যুর পর তাড়াহুড়া করে পেট কেটে বাচ্চা বের করে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক হাসপাতালের দায়িত্বশীল এক কর্মকর্তা জানান, ল্যাম্ব হাসপাতালে সাধারনত নরমাল ডেলিভারীর জন্য চেষ্টা করা হয়। একান্তই না হলে তখন সিজারে নেয়া হয়। তবে, এ রোগীর ক্ষেত্রেও একই ঘটনা ঘটেছে। তার প্রসব বেদনা ওঠার আগেই সিজারের জন্য বলছিলেন পরিবারের লোকজন। আমরা অপেক্ষা করছিলাম। হঠাৎ ওই রোগী হার্টঅ্যাটাক হলে আমরা সিপিআর দেই। এরই অংশ হিসেবে তার সিজার করা হয়। তাকে পূর্ণ চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। মৃত্যুর বিষয়টি স্বাভাবিক বলে জানান ওই কর্মকর্তা।
পার্বতীপুর মডেল থানার ওসি চিত্ত রঞ্জন রায় বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, খবর পেয়ে কোন প্রকার দূর্ঘটনা এড়াতে হাসপাতালে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে
এএএম/এসআর