প্রবীন রাজনীতিক হায়দার আকবর খান আর নেই
Published : Saturday, 11 May, 2024 at 9:53 AM Count : 196
প্রবীন রাজনীতিক ও মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক, অবিভক্ত ছাত্র ইউনিয়নের সাবেক সাধারণ সম্পাদক, লেখক-গবেষক ও বিশিষ্ট মার্কসবাদী তাত্ত্বিক হায়দার আকবর খান রনো আর নেই (ইন্না...রাজিউন)। বেশ কিছুদিন ধরেই তিনি অসুস্থ ছিলেন।
শুক্রবার দিবাগত রাত ১টা ৪৫ মিনিটে রাজধানীর পান্থপথের হেলথ এন্ড হোপ হাসপাতালের আইসিইউতে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি।
হায়দার আকরব খান টাইপ-২ রেসপিরেটরি ফেইলিউর নামক শ্বাসতন্ত্রীয় রোগে ভুগছিলেন। এই রোগে ফুসফুসের অক্সিজেন গ্রহণের ক্ষমতা কমে যায়।
অবিভক্ত কমিউনিষ্ট আন্দোলনের নেতা ছিলেন হায়দার আকবর খান রনো। ছাত্র রাজনীতি থেকেই তিনি কমিউনিস্ট পার্টির সদস্য হিসেবে নিজেকে শোষিত মানুষের মুক্তির লড়াইয়ে যুক্ত করেন। নিষিদ্ধ কমিউনিস্ট পার্টির সদস্য হিসেবে প্রকাশ্য রাজনীতিতে ভাসানী ন্যাপের আড়াল থেকে বেরিয়ে প্রথমে ইউপিপি, পরে সমমনা একাধিক ক্ষুদ্র দলের সাথে ঐক্যবদ্ধ হয়ে গণতান্ত্রিক পার্টি এবং চীনপন্থী কমিউনিস্টদের লেনিনবাদী ধারার অনুসারীদের ঐক্যবদ্ধ করে বাংলাদেশের ওয়াকার্স পাটির জন্মদাতাদের অন্যতম ছিলেন তিনি। ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক এবং সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারক কমিটি পলিটব্যুরোর সদস্য থাকলেও আওয়ামী লীগের সাথে জোটের শরীক হিসেবে সরকারে যোগ দেয়া নিয়ে রাশেদ খান মেননের সংগে মতপার্থক্যের কারণে দল ত্যাগ করে সিপিবিতে যোগদান করেন হায়দার আকবর খান রনো। কলকাতায় জন্ম হলেও পাকিস্তান আমল থেকেই রাজনীতি করতেন। মুক্তিযুদ্ধের সময় মান্নান ভুইয়াকে সংগে নিয়ে শিবপুরে মুক্তিযোদ্ধাদের একটি বড় বাহিনী গড়ে তোলেন তিনি।
বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক আন্দোলনের অন্যতম সংগঠক হিসেবে ঐতিহাসিক তিন জোটের রূপরেখার অন্যতম রূপকার ছিলেন হায়দার আকবর খান রনো। স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনের দিনগুলোতে এরশাদের পতন নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত অধিকাংশ সময় তাকে গোপনে জীবন কাটাতে হয়েছে।
ফ্রান্স বিপ্লব থেকে সোভিয়েত বিপ্লব। মার্ক্সবাদের প্রথম পাঠ। এ রকম ২৫টি উল্লেখযোগ্য বই লিখে গেছেন। এই বইগুলোই তাকে শোষিত মানুষের আন্দোলন সংগ্রামের ব্রত নিয়ে কাজ করা প্রজন্ম থেকে প্রজন্মে বাঁচিয়ে রাখবে।
এমএ