For English Version
রবিবার ৬ অক্টোবর ২০২৪
হোম

সুরমা-কুশিয়ারার পানি বিপদসীমার ওপরে

Published : Friday, 3 May, 2024 at 9:16 PM Count : 126

উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলের কারণে সিলেটের প্রধান দুই নদী সুরমা ও কুশিয়ারায় পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। তবে কয়েকটি পয়েন্টে পানি কমলেও সেটি বিপদসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। 

শুক্রবার বিকেলে পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) সিলেট এ তথ্য জানিয়েছে।

পাউবোর তথ্যমতে, সন্ধ্যা ৬টায় কুশিয়ারা নদীর পানি আমলশীদ পয়েন্টে ১২ দশমিক ৫২ সেন্টিমিটার দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল। এর আগের দিন বৃহস্পতিবার সকাল ৬টায় আমলশীদ পয়েন্টে ১১ দশমিক ১১ সেন্টিমিটার দিয়ে পানি প্রবাহিত হয়েছিল। এ পয়েন্টে শুষ্ক মৌসুমে পানির বিপদসীমা ১৩ দশমিক ৫ সেন্টিমিটার।

এছাড়া, কুশিয়ারার পানি শুক্রবার সকাল থেকে শেওলা পয়েন্টে ৯ দশমিক ৮৯ সেন্টিমিটার দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল। এ পয়েন্টে শুষ্ক মৌসুমে পানির বিপদসীমা ১০ দশমিক ৭০ সেন্টিমিটার। এর আগের দিন বৃহস্পতিবার সকাল ৬টায় শেওলা পয়েন্টে ৮ দশমিক ৫১ সেন্টিমিটার দিয়ে পানি প্রবাহিত হয়।
অন্যদিকে সুরমা নদীর পানি কিছুটা কমলেও সেটি বিপদসীমার ওপরে রয়েছে। এ নদীর পানি শুক্রবার বিকেল ৬টা পর্যন্ত কানাইঘাট পয়েন্টে ১১ দশমিক ৩ সেন্টিমিটার দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল। বৃহস্পতিবার সকালে ১১ দশমিক ১১ সেন্টিমিটার দিয়ে প্রবাহিত হয়েছিল। শুষ্ক মৌসুমে নদীর এ পয়েন্টে বিপদসীমা ১০ দশমিক ৮০ সেন্টিমিটার।

এছাড়া, শুক্রবার সন্ধ্যায় সুরমা নদীর পানি সিলেট পয়েন্টে ৮ দশমিক ১৯ সেন্টিমিটার এবং ছাতক পয়েন্টে ৫ দশমিক ৫০ সেন্টিমিটার দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল। এর আগে বৃহস্পতিবার রাতে সিলেট পয়েন্টে ৬ দশমিক ৯৭ সেন্টিমিটার ও ছাতক পয়েন্টে ৫ দশমিক ৬ সেন্টিমিটার দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল। শুষ্ক মৌসুমে সিলেট পয়েন্টে পানির বিপদসীমা ৮ দশমিক ৩০ সেন্টিমিটার ও ছাতক পয়েন্টে ৭ দশমিক ৪০ সেন্টিমিটার।

এদিকে, সারি নদীর পানিও কিছুটা কমেছে। শুক্রবার বিকেলে এ পয়েন্টে ৯ দশমিক ২৯ সেন্টিমিটার দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল। এরআগে বৃহস্পতিবার ১১ দশমিক ৮৭ সেন্টিমিটার দিয়ে প্রবাহিত হয়েছিল। একই ভাবে কমেছে পিয়াইন নদীর পানি। এ নদীর পানি বৃহস্পতিবার ৯ দশমিক ২৮ সেন্টিমিটার দিয়ে প্রবাহিত হলেও শুক্রবার ৮ দশমিক ৩২ সেন্টিমিটার দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

এদিকে, পাহাড়ি ঢলে জৈন্তাপুরের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হলেও শুক্রবার অনেক এলাকায় পানি কমেছে। তবে কুশিয়ারা নদীর পানি বৃদ্ধির কারণে জকিগঞ্জ ও কানাইঘাট নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। নতুন করে অনেক ফসলি জমি পানিতে তলিয়ে গেছে। এতে করে বিপাকে পড়েছেন চাষিরা।

পানি উন্নয়ন বোর্ড সিলেটের নির্বাহী প্রকৌশলী দীপক রঞ্জন দাস বলেন, বৃষ্টিপাত না হওয়ায় শুধু পাহাড়ি ঢলই নামছে। এতে করে কয়েকটি নদ-নদীতে পানি কমছে। তবে বরাক দিয়ে পানি বৃদ্ধি অব্যাহত আছে। বরাকের সিংহ ভাগ পানি কুশিয়ারা দিয়ে প্রবাহিত হয়। যার কারণে কুশিয়ারা নদীর পানি বিপদসীমা ছুঁই ছুঁই করছে।

-এমএ

« PreviousNext »



সর্বশেষ সংবাদ
সর্বাধিক পঠিত
Editor : Iqbal Sobhan Chowdhury
Published by the Editor on behalf of the Observer Ltd. from Globe Printers, 24/A, New Eskaton Road, Ramna, Dhaka.
Editorial, News and Commercial Offices : Aziz Bhaban (2nd floor), 93, Motijheel C/A, Dhaka-1000. Phone : PABX- 0241053001-08; Online: 41053014; Advertisemnet: 41053012
E-mail: info$dailyobserverbd.com, mailobserverbd$gmail.com, news$dailyobserverbd.com, advertisement$dailyobserverbd.com,