রাসিকের উন্নয়ন প্রকল্প
সরে আসছে রাবির প্রাচীর, ভাঙ্গা পড়ছে প্রধান ফটক
Published : Monday, 22 April, 2024 at 8:38 PM Count : 100
রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের (রাসিক) নগর উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) পাশের মহাসড়ক সংস্কারের কাজ চলছে। সৌন্দর্য বর্ধনে সড়কে ডিভাইডার ও উভয় পাশে সবুজায়নের জন্য সরিয়ে ফেলা হচ্ছে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাচীর। এ কারণে ভাঙা পড়ছে প্রধান ফটক।
তবে সৌন্দর্য বর্ধনের নামে বিশ্ববিদ্যালয়ের জায়গা সিটি কর্পোরেশন নিয়ে নিচ্ছে কিনা সেটা নিয়ে প্রশ্ন ওঠেছে।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক সুলতান-উল-ইসলাম বলেন, রাস্তা প্রশস্ত করতে যায়গা চেয়েছিল সিটি কর্পোরেশন। সেই প্রেক্ষিতে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ে আমরা জানিয়েছিলাম কিন্তু সেটার অনুমোদন এখন পাইনি। ফলে জায়গা দেয়া হয়নি। তবে সংস্কারের সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাচীরের কিছু অংশ ভেঙে যাওয়ায় তারা এখন সেটা ঠিক করে দিচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, সৌন্দর্য বর্ধনের জন্য প্রচীর প্রায় ১২ ফুট (স্থানভেদে কমবেশি আছে) পিছিয়ে পাদদেশ ঘেঁষে সবুজায়ন করা হবে। সেটার অর্থায়ন সিটি কর্পোরেশন করবে কিন্তু জায়গা বিশ্ববিদ্যালয়েরই থাকবে। ইতোমধ্যে সিন্ডিকেট সভায় এটার অনুমোদন হয়েছে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, মহানগরীর অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় তালাইমারী মোড় থেকে কাটাখালী বাজার পর্যন্ত অযান্ত্রিক যানবাহন লেনসহ ৬ লেন সড়কের নির্মাণকাজ চলছে। সড়কের সৌন্দর্য বর্ধনে ডিভাইডার ও উভয় পাশে বৃক্ষরোপণ করা হবে।
রাস্তার প্রশস্তকরণে বিশ্ববিদ্যালয়ের কাছে থেকে কিছু জমি চায় সিটি কর্পোরেশন। কিন্তু মন্ত্রণালয়ের অনুমতি না থাকায় ওই সময় জমি দেয়নি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। ফলে ৬ লেনের স্থলে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটক সংলগ্ন স্থানে চার লেনে হয়েছে সড়কটি। প্রকল্পের আওতায় রাস্তা ঘেঁষে সবুজায়ন করতে বিশ্ববিদ্যালয়ের কাছে জায়গা চায় সিটি কর্পোরেশন। ফলে মন্ত্রণালয়ে ফের চিঠি পাঠায় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। কিন্তু মন্ত্রণালয়ের জবাব আসতে বিলম্ব হলে সিন্ডিকেট সভা ডাকে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। এতে জায়গা বিশ্ববিদ্যালয়ের রেখে কর্পোরেশনের অর্থায়নে প্রচীর নির্মাণ ও পাদদেশে সবুজায়ন করার সিদ্ধান্ত হয়। ফলে স্থানভেদে ১০-১৫ ফুট জায়গা পিছিয়ে এসে প্রাচীর নির্মাণের কাজ চলছে।
জানতে চাইলে রাসিকের প্রধান প্রকৌশলী নূর ইসলাম তুষার বলেন, মহাসড়ক ঘেঁষে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাচীরের পাদদেশ দিয়ে সবুজায়ন করতে ১৫ ফুট জায়গা বিশ্ববিদ্যালয় দিয়েছে। কিন্তু জায়গার মালিকানা বিশ্ববিদ্যালয়ের থাকবে, অর্থায়ন করবে সিটি কর্পোরেশন। এক্ষেত্রে প্রাচীরসহ অন্য যেটাই ভাঙা হবে সেটার অর্থায়ন কর্পোরেশন করবে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার অধ্যাপক তারিকুল হাসান বলেন, মহাসড়ক ঘেঁষে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাচীর স্থানভেদে প্রায় ১২ ফুট পর্যন্ত পিছিয়ে এস প্রচীর নির্মাণ ও পাদদেশে দিয়ে সবুজায়ন করা হবে। জায়গা বিশ্ববিদ্যালয়েরই থাকবে কিন্তু প্রচীর নির্মাণের অর্থায়ন সিটি কর্পোরেশন করবে। এতে প্রধান ফটক ভাঙা পড়বে কিন্তু সেটার নকশা ও অর্থায়নের সিদ্ধান্ত পরে হবে। তাছাড়া, বিনোদপুর ও কাজলা বাজার সংলগ্ন প্রাচীর ঘেঁষা দোকানগুলো সরবে কিনা সেটাও পরবর্তীতে সিদ্ধান্ত হবে।
আরএফ/এমবি