কমলগঞ্জে লোডশেডিংয়ে অতিষ্ঠ জনজীবন
Published : Thursday, 4 April, 2024 at 8:35 PM Count : 148
মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জে রমজানের শেষ দশকে প্রতিদিন ১২ ঘণ্টা করে লোডশেডিং হচ্ছে। ইফতার, সাহ্রি ও তারাবির নামাজের সময়েও থাকছে না বিদ্যুৎ। এতে অতিষ্ঠ হয়ে যাচ্ছেন পল্লী বিদ্যুতের গ্রাহকেরা। এ ছাড়া বিভিন্ন কলকারখানাসহ চা উৎপাদন ব্যাহত হচ্ছে।
মৌলভীবাজার পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির কমলগঞ্জ আঞ্চলিক কার্যালয় থেকে জানা গেছে, বর্তমানে উপজেলায় দিনে ১২ মেগাওয়াট বিদ্যুতের চাহিদা। এর বিপরীতে পাওয়া যাচ্ছে ৭ মেগাওয়াট। আর রাতে ১৮ মেগাওয়াটের জায়গায় ৮ থেকে ১০ মেগাওয়াট পাওয়া যাচ্ছে। বিদ্যুৎ উৎপাদনে ঘাটতি থাকার কারণে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ১২ ঘণ্টা লোডশেডিং করা হচ্ছে।
স্থানীয় গ্রাহকেরা জানান, অব্যাহত লোডশেডিংয়ের কারণে চা উৎপাদন, কারখানা, ওয়ার্কশপ ও ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে মারাত্মক বিপর্যয় ঘটছে। এর পাশাপাশি বিভিন্ন এলাকায় সেচ দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না। ফলে বিদ্যুতের গ্রাহকেরা অতিষ্ঠ হয়ে উঠছেন। দিন-রাত মিলে ১২ থেকে ১৫ ঘণ্টা করে লোডশেডিং করা হচ্ছে এতে করে তীব্র গরমে মানুষ অসুস্থ হয়ে পড়ছে।
উপজেলার শমশেরনগর ইউনিয়নের ওয়াজিদ মিয়া বলেন, ‘এক সপ্তাহ ধরে গরম বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বিদ্যুৎ ঘনঘন চলে যাচ্ছে। এমনকি ইফতার, সাহ্রি ও তারাবির নামাজের সময় বিদ্যুৎ থাকছে না।
শহীদনগর বাজারের নাজমুল ইসলাম বলেন, ইদকে সামনে রেখে দোকানে কাপড় তুলেছি। অথচ বিদ্যুতের লোডশেডিং এর কারণে বেচাবিকি করা যাচ্ছে না। বর্তমানে এক ঘন্টা বিদ্যুৎ থাকলে ৩ ঘন্টা লোডশেডিং করা হচ্ছে। তাছাড়া সেহরির ও ইফতারে সময় বিদ্যুৎ থাকে না।
এ ব্যাপারে মৌলভীবাজার পল্লীবিদ্যুৎ সমিতির কমলগঞ্জ জোনালের ডিজিএম মীর গোলাম ফারুক বলেন, ঈদের আগে এই সমস্যা সমাধান হবে না। আসলে বিদ্যুৎ উৎপাদনে সমস্যার কারণে লোডশেডিং হচ্ছে। আমাদের চাহিদার তুলনায় মাত্র অর্ধেক বিদ্যুৎ পাচ্ছি আমরা।
এসএস/এসআর