ক্রেতা সংকটে পচছে তরমুজ, বিপাকে ব্যবসায়ীরা
Published : Tuesday, 19 March, 2024 at 8:27 PM Count : 160
রমজানের শুরু থেকেই এবার তরমুজের বাজার চড়া। এ কারেণে তরমুজের দাম সাধারণ মানুষের নাগালের বাইরে চলে যাওয়ায় ক্রেতা সংকটে পড়ছে রাজশাহীর দুর্গাপুর উপজেলার ব্যবসায়ীরা।
এদিকে, চড়া দামে তরমুজ বিক্রি না হওয়ায় পচে যাচ্ছে ব্যবসায়ীদের অবিক্রীত তরমুজ। মঙ্গলবার কেজি প্রতি ১০ থেকে ১৫ টাকা দাম কমিয়েও ক্রেতা পাওয়া যাচ্ছে না বলে অভিযোগ ব্যবসায়ীদের। রোজার শুরুতে উপজেলায় ৮০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছিল তরমুজ। তবে এদিন ৬০–৭০ টাকা দরে তরমুজ বিক্রি করতে দেখা গেছে।
দুর্গাপুর সদর সিংগা বাজারের ফল ব্যবসায়ী মিলন হোসেন বলেন, ২০ মণ তরমুজ আমদানি করেছিলেন রোজার তিন দিন আগে। কিন্তু ১০ দিনেও তা বিক্রি করতে পারেননি। এখন অবিক্রীত তরমুজ পচার উপক্রম। আজ থেকে ১০ থেকে ১৫ টাকা কমে ৬০ থেকে ৭০ টাকা কেজি দরে হাঁকিয়ে ক্রেতা ভিড়ানো যাচ্ছে না। অতিরিক্ত দামে ক্রেতারা কেউ তরমুজ কিনতে চাচ্ছেন না।
ব্যবসায়ী মিলন বলেন, এবার একেবারে বাড়তি দাম। তরমুজের দাম শুনেই ক্রেতারা চলে যাচ্ছেন। ৫০ টাকা কেজির নিচে দাম হলে ভালো হতো। তাহলে ক্রেতারাও কিনে খেত, আমাদেরও বিক্রি বাড়ত।
আরেক ব্যবসায়ী সাইদুল ইসলাম বলেন, আমরা এখনকার ব্যবসায়ীরা নাটোর মোকাম থেকে পাইকারি দরে তরমুজ কিনে আনে। কিন্তু এবার মোকাম থেকে বেশি দামে তরমুজ কিনতে হচ্ছে। সেখানে এক মণ তরমুজ ২ হাজার ৬০০ টাকা দরে কিনে আনতে হচ্ছে। তাই দামও বেশি চাওয়া হচ্ছে। দাম শুনেই ক্রেতারা চলে যাচ্ছেন। রোজার আগের দিন ১০ মণ তরমুজ নিয়ে আসলেও অর্ধেকেরও বেশি পড়ে আছে। কিছু তরমুজ পচেও গেছে। বাজারে তরমুজের বাড়তি দামে একেবারে ক্রেতা নেই এবার তরমুজের।
এদিকে, রমজান মাসের আগ থেকেই উপজেলার বিভিন্ন হাট-বাজারে পাওয়া যাচ্ছে গ্রীষ্মের রসাল ফল তরমুজ। মৌসুমের শুরুতে এ ফল ক্রেতাদের আকর্ষণ করলেও দাম বেশ চড়া। প্রতি কেজি তরমুজ বিক্রি হয় ৮০ টাকা দরে। গত কয়েক দিনের ব্যবধানে সেই তরমুজ এখন ১০ থেকে ১৫ টাকা কমে পাওয়া গেলেও ক্রেতারা তা কিনতে নারাজ।
এদিন সিংগা বাজারের তরমুজ গোডাউনের আশপাশে ঘুরছিলেন দিনমজুর আবু কালাম। তিনি বলেন, রোজার মধ্যে তরমুজ খাওয়ার স্বাদ থাকলেও কেনার সম্বল নেই বাপু। কারণ ৫ কেজি ওজনের একটি তরমুজের দাম চাওয়া হচ্ছে প্রায় ৩৫০- ৪০০ টাকা। দিনে যা রোজগার করি, তা যদি তরমুজ কিনে খাই, তাহলে পেটের ভাত জোগাড় হবে কীভাবে। পরে কোনো দিন দাম কমলে কিনে খাবেন বলে জানান আবু কালাম।
তরমুজ কিনতে আসা পৌর সদর দেবীপুর গ্রামের জহুরুল ইসলাম বলেন, একটা বড় আকারের তরমুজ কিনতে গেলে ৪০০–৫০০ টাকা লাগবে। একজন নিম্ন আয়ের মানুষের পক্ষে তরমুজ কেনা খুব কঠিন। তরমুজের দাম ৩০–৪০ টাকার মধ্যে বিক্রি হলে ভালো হয়।
আরএইচএফ/এসআর