দীঘিনালা-বাঘাইছড়ি সংযোগের হাজাছড়া সড়কের বেহাল দশা
Published : Monday, 26 February, 2024 at 2:19 PM Count : 299
খাগড়াছড়ির দীঘিনালা উপজেলার ছোট মেরুং বাজার থেকে বাঘাইছড়ি উপজেলার দূরত্ব মাত্র ৬ কি. মি.। ইটের সলিং এ সড়ক পথে কম সময়ে যাতায়াত করা যায়। কিন্তু সম্প্রতি সড়কটির বিভিন্ন জায়গা ভেঙ্গে যান চলাচল অনুপযোগী হয়ে গেছে। এছাড়া, আগামী বর্ষার আগে সড়কটি সংস্কার করা না হলে যান চলাচল করতে পারবে বলে জানান স্থানীয়রা।
সরেজমিনে গিয়ে দিয়ে দেখা যায়, মেরুং ইউনিয়ন থেকে বাঘাইছড়ি উপজেলার যাওয়ার শর্টকার্ট রাস্তাটির ইটের সলিং উঠে গিয়ে মরণ ফাঁদে পরিণত হয়েছে। ফলে প্রতিনিয়ত ঘটছে দুর্ঘটনা। ছয় কিলোমিটার রাস্তার বেশির ভাগ উঁচু, খাড়া, ঢালু হওয়ায় যান চলাচলে অনুপযোগী হয়ে পড়েছে।
জানা যায়, দীঘিনালা উপজেলা সদর থেকে পাকা সড়ক পথে বাঘাইছড়ির দূরত্ব ২৮ কি. মি.। দীঘিনালা উপজেলার মেরুং ইউনিয়ন থেকে উপজেলা সদরের দূরত্ব ১২ কি. মি.। মেরুংবাসীকে পাকা সড়কে বাঘাইছড়ি পৌঁছতে পাড়ি দিতে হয় ৪০ কি. মি.। অপরদিকে মেরুং বাজার থেকে ইটের সলিং সড়কে বাঘাইছড়ি উপজেলার দূরত্ব মাত্র ৬ কি. মি.। কিন্তু এ সড়ক পথে দীর্ঘদিনেও যাতায়াত হয়নি মাঈনী নদীতে সেতু না থাকায়।
২০২২ সালের মার্চে প্রায় পাঁচ কোটি টাকা ব্যয়ে ছোট মেরুং বাজার এলাকায় মাঈনী নদীর ওপর সেতু নির্মাণ শেষ হলে সড়কটি সচল হয়। এর পর থেকে যান চলাচল বেড়ে যায়। কিন্তু সম্প্রতি এই ইটের সলিং সড়কের বিভিন্ন জায়গায় ভেঙ্গে গর্ত সৃষ্টি হওয়ায় সড়কটি যানবাহন চলাচলে ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে। কয়েক মাস আগে বটতলা নামক এলাকায় জীপ দুর্ঘটনায় একজন নিহত হয়। স্থানীয় বাসিন্দা মো. আব্দুর রহমান বলেন, বর্তমান সরকার মাইনী নদীর উপরে ব্রিজ তৈরি দিয়ে মেরুং ও বাঘাইছড়ি উপজেলার জনগণের স্বপ্ন পূরণ করেছে। কিন্তু সংযোগ সড়কে সংস্কার না করার কারণে ঝুঁকি নিয়ে যানবাহন চলাচল করছে। রাস্তাটি দ্রুত সংস্কারের জন্য দাবি জানাই।
মেরুং ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোছা. মাহমুদা বেগম লাকী বলেন, বর্তমানে সড়কটির বেহাল দশার কারণে যানবাহন চলাচল অনুপযোগী হয়েছে পড়েছে। মেরুং এলাকায় মাইনী নদীর উপর সেতু হওয়া রাস্তাটি যত দ্রুত সম্ভম ইটের সলিং থেকে পাঁকা করা দরকার, যাতে করে দীঘিনালা ও বাঘাইছড়ি উপজেলার জনগণের মাঝে সেতুবন্ধন সৃষ্টি হবে। ব্যবসা-বাণিজ্যে প্রসার বাড়বে।
ভাড়ায় মোটরসাইকেলচালক বিজয় চাকমা বলেন, আমি নিয়মিত এই রাস্তায় যাত্রী নিয়ে যাতায়াত করি। আগে রাস্তাটি কিছুটা ভালো ছিল। বর্তমানে ভয়ভীতি নিয়ে এই রাস্তা দিয়ে যাতায়াত করি। যেকোনো সময় বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। রাস্তাটি দ্রুত ইটের সলিং থেকে পাঁকা করার জন্য সরকারের কাছে দাবি করছি।
-এসআর/এমএ