দিনাজপুরের হাকিমপুর উপজেলায় অটো রাইস মিলে ডাকাতির ঘটনায় ছয়জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার দুপুরে দিনাজপুরের পুলিশ সুপার কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে প্রেস ব্রিফিংয়ে এই তথ্য তুলে ধরেন পুলিশ সুপার শাহ ইফতেখার আহমেদ।
এরআগে গত ১৫ ফেব্রুয়ারি ভোর রাতে হাকিমপুর উপজেলার বাসুদেবপুর এলাকার গণেশ প্রসাদ সাহার ইউনাইটেড রাইস মিলে নৈশপ্রহরীকে বেঁধে ডাকাতির ঘটনা ঘটে।
প্রেস ব্রিফিংয়ে পুলিশ জানিয়েছে, গ্রেফতার ছয়জনই আন্তঃজেলা ডাকাত দলের সদস্য। ১০ জনের ডাকাত দল এই ঘটনা ঘটিয়েছে। বাকিদের গ্রেফতার করতে অভিযান চলমান রয়েছে।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন- দিনাজপুর সদর উপজেলার করিমুল্লাপুর গ্রামের আব্দুর রহিম ওরফে পোড়া রহিম(৬৮), উপশহর ৬ নম্বর বøকের শামি ওরফে পবন (৪০), কসবা এলাকার আব্দুস সোহাগ(৩৪), শেখপুরা নিমনগর এলাকার বকুল হোসেন(৫০), চিরিরবন্দর উপজেলার ভাবকি গ্রামের ফরিদুল ইসলাম ওরফে মাছুয়া (৪৫) ও হাকিমপুর উপজেলার মধ্য বাসুদেবপুর গ্রামের আলিম হোসেন (৪০)।
পুলিশ সুপার জানান, সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজ ও তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় তাদের গ্রেফতার করা হয়েছে। এই ঘটনায় ১০ জনের ডাকাত দল জড়িত। তাদের প্রত্যেককেই শনাক্ত করা হয়েছে। ডাকাতির ঘটনায় তিন লাখ ৫০ হাজার টাকার মধ্যে ৯ হাজার ৩০০ টাকা ও ডাকাতির কাজে ব্যবহৃত দেশীয় অস্ত্র একটি লোহার তৈরি গ্রিল কাটার যন্ত্র, একটি চাপাতি, একটি স্টিলের হাতল বিশিষ্ট দেশীয় তৈরি পশুর কুড়াল, দুইটি টর্চ লাইট, তিনটি বাটন মোবাইল ফোন, ডাকাতির উপকরন বহন করার দুইটি ট্রাভেল ব্যাগ এবং লুন্ঠিত সাড়ে ৩ লাখ টাকার মধ্যে ৯ হাজার ৩ শত টাকা উদ্ধার করা হয়েছে।
গ্রেফতারকৃতদের আদালতে সোপর্দ করে করে অধিকতর তদন্তের জন্য রিমান্ডের আবেদন করা হয়েছে। রিমান্ডের মাধ্যমে যারা যারা ধরাছোঁয়ার বাইরে রয়েছে তাদের গ্রেফতার এবং বাকি টাকা উদ্ধার সম্ভব হবে।
তিনি আরও জানান, এই ডাকাতির ঘটনায় নেতৃত্বে ছিলেন আব্দুর রহিম। জেলে থাকা অবস্থায় আরেক ডাকাত আলিম হোসেনের সঙ্গে তার পরিচয় হয়। আলিম হোসেনের বাড়ি হাকিমপুরে। তার কাছ থেকে আব্দুর রহিম ওই রাইস মিলের টাকার ব্যাপারে জানতে পারেন এবং জেলে বসেই ডাকাতির পরিকল্পনা করেন। জেল থেকে বের হওয়ার পরে তারা ১০ জনের ডাকাত দল গঠন করে ওই মিলে হানা দেয়।
ব্রিফিংয়ে জানানো হয়, গত ১৫ ফেব্রুয়ারি বৃহস্পতিবার রাত পৌনে ৩টায় হাকিমপুর উপজেলার বাসুদেবপুর এলাকার গণেশ প্রসাদ সাহার ইউনাইটেড রাইস মিলে নৈশপ্রহরীকে বেঁধে ডাকাতির ঘটনা ঘটে। এই ঘটনায় ১৭ ফেব্রুয়ারি মিলের মালিক বাদী হয়ে একটি মামলা করেন।
মামলা হওয়ার পর থেকে হাকিমপুর, দিনাজপুর, কোতয়ালী ও ডিবি পুলিশ যৌথভাবে অভিযান শুরু করে। অভিযানকালে জেলার বিভিন্ন উপজেলা থেকে ছয় ডাকাত সদস্যকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারকৃতরা সবাই আন্তঃজেলা ডাকাত দলের সদস্য। এ সময় তাদের কাছ থেকে ডাকাতির কাজে ব্যবহৃত বিভিন্ন ধারালো অস্ত্র জব্দ করা হয়।
পুলিশ সুপার বলেন, ‘গ্রেফতারকৃতদের নামে বিভিন্ন থানায় একাধিক মামলা রয়েছে।
ইএইচ/এমবি