অস্ত্রোপচার বিভাগ চালুর এক বছর পূর্ণ করলো ল্যাবএইড ক্যান্সার হাসপাতাল এন্ড সুপার স্পেশালিটি সেন্টার। এ উপলক্ষে বিশেষ এক অনুষ্ঠানের আয়োজন করে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
বুধবার হাসপাতাল সেন্টারেই দোয়া ও কেক কাটার মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন হাসপাতালের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সাকিফ শামীম।
গত ০১ বছরের (ফেব্রুয়ারি ২০২৩-ফেব্রুয়ারি ২০২৪) হাসপাতালের মেডিকেল রেকর্ডের তথ্য বিশ্লেষণ করে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের এক প্রতিবেদনে জানানো হয়, মিনিমাম সার্জিক্যাল সাইট ইনফেকশন নিয়ে প্রথমবারের মত তারা ৮৩৩টি সফল অস্ত্রোপচারে সম্পন্ন করেছেন। যেটি অন্যান্য উন্নত দেশ ইন্ডিয়া, ইউকে, ইউএসএ, তুলনায় অনেক কম বলে বিবেচনা করা যায়।
স্বাস্থ্য সম্পর্কিত বিভিন্ন জার্নালের বরাত দিয়ে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানান, উন্নত এসব দেশগুলোতে সার্জিক্যাল সাইট ইনফেকশনের মাত্রা যথাক্রমে শতকরা (৮.২, ১-৫, ০.৫-৩) এর মত। যেখানে ল্যাবএইড ক্যান্সার হাসপাতালের সার্জিক্যাল সাইট ইনফেকশনের মাত্রা ১.২৫ এর মতো।
এ সময় গত ০১ বছরে অস্ত্রোপচার বিভাগ সম্পর্কিত নানা তথ্য তুলে ধরেন হাসপাতালের চিফ ক্লিনিক্যাল কোঅর্ডিনেটর এন্ড সিনিয়র কনসালটেন্ট (অ্যানেস্থিসিওলজি) বিগ্রে. জেনারেল (অব) অধ্যাপক ডা. মো. আব্দুল আলীম।
তিনি বলেন, ল্যাবএইড ক্যান্সার হাসপাতাল এন্ড সুপার স্পেশালিটি সেন্টারের ওটি বিভাগ চালুর পর থেকে এই এক বছরে এখন পর্যন্ত অপারেশন টেবিলে কোনো রোগীর মৃত্যুর মত ঘটনা ঘটেনি। যেটি নিঃসন্দেহে বড় একটি অর্জন।
অনুষ্ঠানে আরও জানানো হয়, এই এক বছরে শুধু ক্যান্সার নয় অনেক ধরনের সার্জারী করা হয়েছে ল্যাবএইড ক্যান্সার হাসপাতাল এন্ড সুপার স্পেশালিটি সেন্টারে। তার মধ্যে সবচেয়ে বেশি যে সার্জারীগুলো হয়েছে তা হলো গাইনী অনকোলজী, অনকো প্লাস্টিক ব্রেস্ট সাজার্রী, ইএনটি, জেনারেল সাজার্রী, হেপাটোবিলিয়ারি, কোলোরেক্টাল সার্জারীসহ আরও অন্যান্য সার্জারী।
বিশেষায়িত এই ক্যান্সার হাসপাতালের অস্ত্রোপচার বিভাগের সাফল্য গাঁথা প্রসঙ্গে বক্তব্য রাখেন হাসপাতালের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা।
অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন হাসপাতালের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সাকিফ শামীম।
এছাড়াও, উপস্থিত ছিলেন হাসপাতালের গাইনী অনকোলজী, অনকোপ্লাস্টিক ব্রেস্ট সার্জারী, ইনটি, হেপাটোবিলিয়ারি বিভাগসহ প্রায় সকল বিভাগের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক, নার্স, ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা।
-এমএ