নদীগুলো এখন ফসলি জমি
Published : Wednesday, 7 February, 2024 at 1:25 PM Count : 191
এক সময় নীলফামারীর জলঢাকার উপর দিয়ে প্রবাহিত নদীগুলোতে সারা বছর পানিতে টইটম্বুর থাকত। নদীর বুকে পাল তুলে চলত ছোট-বড় নৌকা। এই নদীগুলো থেকে দুই পাড়ের কৃষকরা হাজার হাজার একর ফসলি জমিতে সেচ দিতেন। বর্তমানে নদীর তলদেশ ভরাট হওয়ায় নদীর বুকে চাষ হচ্ছে ধানসহ বিভিন্ন ফসল। প্রশাসনের হস্তক্ষেপ না থাকায় দখল ও দূষণের কবলে পড়েছে নদীগুলো।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, বেশ কয়েকটি নদী উপজেলার ভেতর দিয়ে প্রবাহিত হয়ে বিভিন্ন বড় নদীতে গিয়ে মিশেছে। কিছু প্রভাবশালী ব্যক্তি পানি শুকিয়ে মাছ ধরে ধান চাষ করছেন। এ ব্যাপারে প্রশাসন নীরব থাকায় নদীর উপকারিতা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে মানুষ। আর সরকার হারাচ্ছে রাজস্ব।
নদীর দুই পাড়ের কৃষকরা জানান, একসময় নদীগুলোতে পর্যাপ্ত পানির প্রবাহ ছিল। তা দিয়ে চাষাবাদ করার পাশাপাশি নিত্যপ্রয়োজনীয় কাজ করা যেত। আর আমন ও বোরো ফসলের মৌসুমে জমিতে সেচ দেওয়ার কোনো চিন্তা করতে হতো না। এখন আর জমিতে সেচ দেয়ার মতো পানি নেই।
নদীগুলো দীর্ঘদিন ধরে খনন ও ড্রেজিং না করায় নদীর তলদেশে পলি জমে ভরাট হয়ে যাচ্ছে। নদীর দুই তীরে যাদের জমি আছে তারাই নদী দখলে নিচ্ছে। যাদের জমি নেই তারাও ধান লাগানোর ছলনায় নদী দখল করছে।
কৈমারী ইউনিয়নের গাবরোল এলাকার একাধিক বাসিন্দা জানান, নদীকে কেন্দ্র করে বিভিন্ন ইউনিয়ন ও শহর গড়ে উঠেছে। নদীর যেটুকু অস্তিত্ব রয়েছে তা এখন দখল ও দূষণের কবলে। পুরো নদীগুলো ধানের জমিতে পরিণত হয়েছে। প্রশাসনের হস্তক্ষেপ না থাকায় এই অবস্থা চলছে।
উপজেলা নদী রক্ষা কমিটির সাইদুল রহমান বলেন, উপজেলার ভেতর দিয়ে প্রবাহিত নদীগুলো পুনঃখনন ও ড্রেজিং করা না হলে আগামী দুই যুগ পর হয়তো আগামী প্রজন্ম বিশ্বাসই করতে চাইবে না জলঢাকায় বিভিন্ন নামে নদী ছিল।
এ বিষয়ে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) এ বি এম সারোয়ার রাব্বী বলেন, নদী দখলের জায়গাগুলোতে আমরা উচ্ছেদের ব্যবস্থা করছি। শুকনো মৌসুমে নদীতে ধান চাষ করে দখলে নিলেও বর্ষায় পানি হলে তা দখলমুক্ত হয়ে যায়।
উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তা (ইউএনও) জি আর সারোয়ার বলেন, নদী রক্ষায় সরকারের নানামুখী পরিকল্পনা রয়েছে। জলঢাকার নদীগুলো এর আওতায় আসবে শীঘ্রই।
-এইচএস/এমএ