মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত পলাতক আসামি গ্রেপ্তার
Published : Wednesday, 7 February, 2024 at 1:10 PM Count : 404
জয়পুরহাটে স্কুলছাত্র মোয়াজ্জেম হত্যা মামলার মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত পলাতক আসামি সুজনকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব-০৫ ও র্যাব-১০। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে মঙ্গলবার রাত ৯টার দিকে জয়পুরহাটের ভাদসা এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তারকৃত সুজন (৩৭) জয়পুরহাট শহরের দেবীপুর মন্ডলপাড়া মহল্লার বাসিন্দা।
মামলার বরাত দিয়ে র্যাব জানায়, ২০০২ সালে ২৮ জুন জয়পুরহাট সদর এলাকার পাঁচুরচক প্রামানিক পাড়ার ফজলুর রহমানের ছেলে ৯ম শ্রেণীর ছাত্র মোয়াজ্জেম হোসেনকে তুলে নিয়ে হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় মোয়াজ্জেমের বাবা বাদি হয়ে জয়পুরহাট থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ২০০৩ সালে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। দীর্ঘ শুনানী শেষে জয়পুরহাটের অতিরিক্ত দায়রা জজ আদালত-২ এর বিচারক মো. আব্বাস উদ্দিন অভিযুক্ত ১১ জনের প্রত্যেক আসামিকে মৃত্যুদণ্ডসহ ৫০ হাজার টাকা করে জরিমানা প্রদান করেন। মামলার রায় ঘোষণার সময় ১১ আসামির মধ্যে ছয় জন অনুপস্থিত ছিলেন।
মামলার রায় হওয়ার পর থেকেই র্যাব-৫ এবং র্যাব-১০ এর গোয়েন্দা দল মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত পলাতক আসামি সুজনকে গ্রেপ্তারের জন্য গোয়েন্দা নজরদারি বৃদ্ধি করে। আসামি সুজনের বিরুদ্ধে যথাযথ আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করতে জয়পুরহাট সদর থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
এদিকে, অতিরিক্ত দায়রা জজ আদালত-২ এর বিচারক মো. আব্বাস উদ্দিনের শহরের হাউজবিল্ডিং এলাকার ভাড়া বাসায় সোমবার দিবাগত রাত ৩টায় গ্রিল কেটে ভেতরে প্রবেশ করে একদল দুস্কৃতিকারী হত্যার হুমকিসহ স্বর্ণালংকার ও নগদ টাকা চুরির অভিযোগে জয়পুরহাট থানায় একটি এজাহার দায়ের করেছেন বিচারক নিজেই। মঙ্গলবার সন্ধ্যার পরে মামলাটি দায়ের করা হয়।
গত ৩১ জানুয়ারি জয়পুরহাটের স্কুলছাত্র মোয়াজ্জেম হোসেন হত্যা মামলায় জেলার এক সময়ের শীর্ষ সন্ত্রাসী বেদারুল ইসলাম বেদীনসহ ১১ জনকে ফাঁসির আদেশ দিয়েছেন। ওই মামলায় ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত পলাতক থাকা বেদীনসহ ছয় আসামির লোকজন এমন ঘটনা ঘটতে পারে বলে এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে।
এ ঘটনা জানার পর পুলিশ সুপার মোহাম্মদ নূরে আলম ও সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হুমায়ন কবির ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।
এ ব্যাপারে পুলিশ সুপার কোনো মন্তব্য না করলেও ওসি হুমায়ন কবির সাংবাদিকদের জানান, ঘটনাস্থল পরিদর্শন করার পর বিষয়টি অনেকটা রহস্যজনক মনে হলেও আমরা গভীর ভাবে ঘটনাটি তদন্ত করছি। দ্রুত ওই ঘটনার রহস্য উদঘাটন করার চেষ্টা করা হচ্ছে।
-এসআই/এমএ