ঈশ্বরদীর তাপমাত্রা ৯.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস
Published : Monday, 22 January, 2024 at 11:41 AM Count : 288
পাবনার ঈশ্বরদীতে তাপমাত্রা আরও কমে যাওয়ায় তীব্র শীতে জীবনযাত্রা বিপর্যয় হয়ে পড়েছে। ঈশ্বরদী আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগার সোমবার সকালে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করেছে ৯ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। রোববার ঈশ্বরদীতে দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৯ দশমিক ৫ ডিগ্রি।
আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হেলান উদ্দিন জানান, ঘন কুয়াশা কিছুটা কাটলেও শীতের ভীষণ তীব্রতা বেড়েছে। সেই সঙ্গে উত্তরদিক থেকে বাতাস প্রবাহিত হওয়ায় তীব্র শীত অনুভূত হচ্ছে প্রকৃতিতে। আজ ঈশ্বরদীর সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৯ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এর আগে রোববার ছিল ৯ দশমিক ৫ এবং শনিবার ১০ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। শীতের পাশাপাশি উত্তরের বাতাসে জনজীবনে এসেছে স্থবিরতা।
ঈশ্বরদী উপজেলা ৫০ শয্যা হাসপাতালে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, গত ২৪ ঘণ্টায় ঈশ্বরদীতে শিশুসহ পাঁচ শতাধিক রোগী আন্ত ও বর্হিবিভাগে চিকিৎসা নিয়েছে। তবে তাদের মধ্যে অধিকাংশ ঠান্ডাজনিত রোগী। কয়েকদিন যাবৎ হাসপাতালে শীতজনিত ভাইরাস, সর্দি, কাশি, এলার্জি, শ্বাসকষ্টে আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসা নিতে আসছেন রোগীরা। অন্যান্য দিনের তুলনায় শীতে রোগীর চাপও বেশী।
এদিকে, কয়দিনের হাড় কাঁপানো শীতে জনজীবনে স্থবিরতা বিরাজ করছে। ঠান্ডার প্রকোপ থেকে রক্ষা পেতে মানুষজন দিনের বেলাতেও ঘরে থাকছেন। বিশেষ প্রয়োজন ছাড়া কেউ ঘরের বাইরে বের হচ্ছে না। তবে হতদরিদ্র ও ছিন্নমূল মানুষেরা দুর্ভোগে পড়েছে বেশি। কারণ শীত উপেক্ষা করে অনেককে জীবিকার সন্ধানে বের হতে হচ্ছে।
শহরের দড়িনারিচা এলাকায় বসবাস দরিদ্র কর্মজীবী নারী জাহানারা বেগমকে শীত কেমন পড়েছে জানতে চাইলে কিছুটা অভিমানে সুরে বলেন, 'আরে বাবা শীতে তো জীবন শ্যাষ হইয়া যাইতে মনে হয়। তবে আমার মতোন গরীব মাইসোর শীত বইলা কিছু নাই রে বাবা। শীত পড়লেও কামে যাইতে হবে, না পড়লেও যাইতে হবে।'
উপজেলার পাকশীর বাঘইল কলপাড়া গ্রামের রাজমিস্ত্রী দুলাল প্রামাণিক বলেন, 'প্রচন্ড শীতে বাইরে আইস্যা আইজ তো কামই করা যাইতেছে না। কুয়াশার কারণে দুপুর বেলাতেই অন্ধকার মনে হইছে। ঠান্ডা বাতাসে মনে হয় শরীল ভাইঙ্গা যায় যায়।'
-এমএইচ