দিনাজপুরে শীতের প্রকোপ অসহনীয় হয়ে উঠেছে
Published : Monday, 22 January, 2024 at 11:17 AM Count : 178
উত্তরের জেলা দিনাজপুরে শীতের তীব্রতার সঙ্গে বাতাসের গতিও বেড়েছে। তাপমাত্রা রোববারের চেয়ে আরও ১ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস কমেছে। চলছে মৃদুশৈত্যপ্রবাহ।
সোমবার দিনাজপুরে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৮ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা এ মৌসুমে দিনাজপুরের দ্বিতীয় সর্ব সর্বনিম্ন তাপমাত্রা। রোববার জেলায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল ৯ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
দিনাজপুর আবহাওয়া অধিদপ্তরের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আসাদুজ্জামান এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, গত দুই সপ্তাহ ধরে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের কিছু বেশি কিংবা তার কম থাকছে। আজ সকাল ৯টায় দিনাজপুরে তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৮ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এটি দিনাজপুরে এই মৌসুমের দ্বিতীয় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা। বাতাসের গতি ২ নটস। শৈত্যপ্রবাহের কারণে শীতের তীব্রতা বেড়েছে। সঙ্গে ঠান্ডা বাতাস বয়ে যাওয়ার কারণে শীতের প্রকোপ অসহনীয় হয়ে উঠেছে। আরও তিন/চার দিন এই অবস্থা বিরাজ করতে পারে। পুরো জানুয়ারি মাসজুড়েই শীতের তীব্রতা থাকতে পারে।
এদিকে, আকাশ মেঘলা, কুয়াশা ও হিমেল বাতাসের কারণে বেড়েছে শীতের তীব্রতা। জনজীবন জবুথবু হয়ে পড়েছে। নেমে এসেছে তীব্র শীতের ভয়। আর খেটে খাওয়া মানুষেরা পড়েছেন বেকায়দায়। দিনাজপুরের সাধারণ মানুষ শীতের কারণে প্রয়োজন ছাড়া বাড়ির বাইরে বের হচ্ছেন না। আর যারা জীবিকার তাগিদে কাজের সন্ধানে বাড়ির বাইরে বের হচ্ছেন তারা পড়েছেন চরম বেকায়দায়। শীতের কারণে কাজে টিকতে পারছেন না। তারা মাঝে মাঝেই কাজ বন্ধ করে দিয়ে আগুন জ্বালিয়ে কুন্ডলি পাকিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা করছেন। মাঠে কৃষি কাজ প্রায় হচ্ছেই না। শীতার্ত ও ছিন্নমূল মানুষরা কনকনে শীতের তীব্রতা থেকে রক্ষার জন্য অনেকেই বাড়ির আঙিনা ও ফুটপাতসহ চায়ের দোকানের চুলায় বসে আগুন পোহাচ্ছেন।
অন্যদিকে, দিন দিন শীতের প্রকোপ বৃদ্ধি পাওয়ায় দিনাজপুরের হাসপাতাল ও উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে শীতজনিত রোগীর সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে। বেশি আক্রান্ত হচ্ছে শিশু ও বয়স্করা। শীতের কারণে বেড়েছে ডায়রিয়া ও নিউমোনিয়ার মতো ঠান্ডাজনিত রোগের প্রকোপ।
-এএইচ/এমএ