হুমগুডিকে জাতীয় খেলা করার প্রস্তাব করব: আব্দুল মালেক
Published : Sunday, 14 January, 2024 at 6:41 PM Count : 249
হুমগুডি খেলাকে জাতীয় খেলা হিসাবে স্বীকৃতি দিতে মহান সংসদে উপস্থাপন করব। যাতে সারাদেশের মানুষ এ খেলা উপভোগ করতে পারে। অতিতের ন্যায় আপনারা (সাধারণ জনগণ) শৃঙ্খলা বজায় রেখে খেলা উপভোগ করবেন তাহলে হাজার হাজার বছর এ খেলা টিকে থাকবে।
রবিবার (১৪ জানুয়ারি) বিকালে ময়মনসিংহের ফুলবাড়িয়ায় ২৬৫তম হুমগুডি খেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে নব নির্বাচিত সংসদ সদস্য মো. আব্দুল মালেক সরকার এসব কথা বলেন। এতে উপস্থিত ছিলেন- জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মমতাজ উদ্দিন মন্তা, থানা অফিসার ইনচার্জ রাশেদুজ্জামান রাশেদ, জেলা পরিষদের সাবেক সদস্য মো. রুহুল আমিন, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগের সাধারণ সম্পাদক এনামুর রহমান রবি প্রমুখ।
জানা গেছে, ১৮৩০ সালে টাঙ্গাইলে মধুপুর উপজেলার আমবাড়িয়া গ্রামে কালীচন্দ্র রায়ের ঘরে জন্মগ্রহণ করেন জমিদার হেমচন্দ্র রায়। কালীচন্দ্র রায় ছয় আনার তালুকের (ভূসম্পত্তির) মালিক ছিলেন। তার মৃত্যুর পর হেমচন্দ্র রায় মুক্তাগাছা মহারাজা সূর্যকান্ত রায়ের সঙ্গে টেক্কা দিয়ে জয়েনশাহী পরগনার পরগনার পাঁচ আনা আড়াই গন্ডা তালুক (প্রায় ৮৫ হাজার একর জমি) নিলামে ক্রয় করেন। সে সময় হেম চন্দ্র রায়ের জমিদারী আমবাড়িয়া থেকে উত্তর টাঙ্গাইল ও সিরাজগঞ্জসহ প্রায় চার লাখ একরে প্রসারিত হয়। লাভ করেন চোধুরী উপাধি।
মুক্তাগাছা জমিদার সূর্যকান্তের দত্তক পুত্র রাজা শশীকান্তের সাথে ত্রিশালের বৈলরের হেম চন্দ্র রায় জমিদারের প্রজাদের মধ্যে জমির পরিমাপ নিয়ে বিরোধ সৃষ্টি হয়। জমিদার আমলের শুরু থেকেই তালুকের প্রতি কাঠা জমির পরিমাপ ছিল ১০ শতাংশে। আর পরগনার প্রতি কাঠা জমির পরিমাপ ছিল সাড়ে ৬ শতাংশে। একই ভুখন্ডে দুই নীতির প্রতিবাদে তীব্র প্রতিবাদ গড়ে ওঠে।
জমির পরিমাপ নিয়ে সৃষ্ট বিরোধ মিমাংসাকল্পে লক্ষীপুর গ্রামের বড়ইআটা (বর্তমান নতুন সড়ক) নামক স্থানে তালুক পরগনার সীমানায় এ গুডি খেলার আয়োজন করেন দুই জমিদার। গুডি খেলার শর্ত ছিল গুডিটি খেলে প্রজারা যে দিকে নিয়ে যাবে তা হবে তালুক আর পরাজিত অংশের নাম হবে পরগনা।
জমিদার আমলের গুডি খেলায় মুক্তাগাছা জমিদারের প্রজারা বিজয়ী হয়। আজও তালুক পরগনার সীমানায় জমির পরিমাপ একইভাবে চলছে। প্রতি বছর পৌষের শেষ বিকালে এ খেলা অনুষ্ঠিত হয়।
এএস/এসআর