মুন্সীগঞ্জ-৩ আসনে নৌকার সর্মথন করায় একই আসনের জয়ী স্বতন্ত্র প্রার্থী হাজী মোহাম্মদ ফয়সাল বিপ্লব সর্মথকরা এ হামলা চালিয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগীরা।
এ ঘটনায় আহত রেনু বেগম (৫০), মাহফুজ (৫০) ও শাহানাজ (৫০)কে হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। এ ঘটনার পরে দুটি গ্রামে থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে। যে কোনো পরিস্থিতি মুকাবেলায় মোতায়েন করা হয়েছে অতিরিক্ত পুলিশ।
ক্ষতিগ্রস্ত ও স্থানীয়রা জানান, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সোলারচর ও বকুলকলা এলাকার প্রার্থীর সমর্থকদের সাথে বিরোধ চলছিলো। সকাল সাড়ে ৬ টার দিকে এই নির্বাচনী বিরোধকে কেন্দ্র করে জয়ী ফয়সাল বিপ্লবের সর্মথক উত্তর সোলারচর গ্রামের বোরহান মাস্টারের ছেলে আহাদুলের নেতৃত্বে হঠাৎ করে সোলারচর ও বকুলতলা গ্রামে হামলা চালায়।
শতাধিক ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়ে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়লে দেশী অস্ত্র নিয়ে ব্যাপক ভাঙচুর ও লুটপাট চালায়। হামলাকারীরা প্রায় অর্ধশতাধিক বসতবাড়ি ভাঙচুর করে ১৫ টি গরু ও আটটি ছাগল নিয়ে যায়। লুট করা হয় স্বর্ণালংকার ও নগদ অর্থ।
হামলায় ক্ষতিগ্রস্থ মাহাবুব ভূইয়ার স্ত্রী জাকিয়া বেগম জানান, তার বাড়ীতে ভাঙচুর চালিয়ে পাঁচটি গরু, আট টি ছাগল ও ১০ ভরি স্বর্ণালংকার লুট করে নেন। তাদের বাড়ীতে সিসি ক্যামেরা থাকায় বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে এই হামলা চালানো হয়েছে। এছাড়াও দুটি সিসি ক্যামেরা নিয়ে যায় হামলা কারীরা। পরে অতিরিক্ত পুলিশ উপস্থিত হয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নেয়।
বকুলতলা গ্রামের ক্ষতিগ্রস্থ আমিন উদ্দিন সরকারের মেয়ে পান্না বেগম বলেন, কাঁচি সমর্থক আহাদুলের নেতৃত্বে আমাদের বাড়িঘরে হামলা চালিয়ে নগদ পাঁচ লাখ টাকা ও পাঁচ ভরি স্বর্ণ লুটে নিয়েছে। এসময় তারা আমাদের বাড়িঘরে ব্যাপক ভাঙচুর চালায়।
মুদি দোকানী ক্ষতিগ্রস্ত লাবলু মোল্লা জানান,তার দোকানে হামলা চালিয়ে নগদ ৫০ হাজার টাকাসহ দোকানের মালামাল লুটে নিয়েছে হামলাকারীরা। এতে তিনি দুই থেকে আড়াই লাখ টাকার ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছেন।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার থান্দার খাইরুল হাসান জানান, সকালে এলাকটিতে গ্যাঞ্জামের খবর পেলে সাথে সাথে ফোর্স নিয়ে এলাকায় উপস্থিত হই। আমরা সাতটি ঘর ভাঙচুরের চিত্র দেখেছি। এলাকাটিতে পাঁচটি টিম মোতায়েন করা হয়েছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ ও জড়িতদের গ্রেফতারের জন্য। চারটি গরু ইতিমধ্যে উদ্ধার করা হয়েছে।
পূর্ব থেকে দুটি গ্রুপের মধ্যে বিরোধ চলছিলো বলে তিনি জানান।
এমএইচ/এমবি