For English Version
রবিবার ৬ অক্টোবর ২০২৪
হোম

প্রচারণায় শেষ সময়ে রাজশাহীতে প্রার্থীদের প্রতিশ্রুতির ফুলঝুড়ি

Published : Friday, 5 January, 2024 at 6:29 PM Count : 141


দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রচারণার শেষ সময় চলে এসেছে। আগামী সোমবার দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ হবে। প্রচারণার শেষ সময়ে এসে প্রতিশ্রুতি দিয়ে ভোটারদের কাছে ভোট প্রার্থনা করছেন প্রার্থীরা। থেমে নেই তাদের কর্মী ও সমর্থকরা।

রাজশাহীর ৬টি আসনে হেভিওয়েট থেকে শুরু করে তূলনামূলক কম পরিচিত প্রার্থী-সবাই নিজ নিজ প্রতীক নিয়ে সাধ্যমতো প্রচারণার মাঠে ব্যস্ত সময় পার করছেন। নৌকা প্রতীকের প্রার্থীরা ভোটারের মন জয়ে তুলে ধরছেন সরকারের উন্নয়নের ফিরিস্তি। স্বতন্ত্র ও অন্য দলের প্রার্থীরা এলাকার সমস্যার কথা তুলে ধরে নির্বাচিত হলে সমাধানের আশ্বাস দিচ্ছেন। প্রচারণার কৌশলে ভিন্নতা থাকলেও সব প্রার্থী একটি জায়গায় এসে একাট্টা। তা হলো-কেন্দ্রে ভোটার উপস্থিতি বাড়ানো। তাই কেন্দ্রে উপস্থিত হয়ে ভোট দিতে উৎসাহিত করছেন ভোটারদের।

৭ জানুয়ারি জাতীয় সংসদ নির্বাচনে রাজশাহী জেলার ছয়টি আসনে ৪২ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। বিএনপিসহ সমমনা বেশকিছু দল নির্বাচনে না আসলেও ভোটের হাওয়ায় প্রবল উত্তাপ ছড়াচ্ছে। বিভিন্ন প্রতিকের পোস্টারে ছেয়ে গেছে মহানগরীসহ উপজেলা ও পৌরসভা এলাকা। সেই সাথে গানের মন ভোলানো ছন্দময় শব্দ কথা আর প্যারোডিতে চলছে প্রার্থীদের বিরামহীন প্রচার-প্রচারণা।
এবারের নির্বাচনে প্রার্থীদের জয়-পরাজয়ে মূল ফ্যাক্টর হবে জেলার ৬টি আসনের ২ লাখ ৩৬ হাজার ২২ জন নতুন ভোটার। এই নতুন ভোটারদের গোপন ব্যালটই প্রার্থীদের জয়-পরাজয়ের ভাগ্য নির্ধারণ হবে বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।

বিগত কয়েকটি নির্বাচনের তিক্ত অভিজ্ঞতা ও ভোট বিরোধী অপপ্রচার ঠেকিয়ে নতুন ভোটারদের কেন্দ্রে উপস্থিতি নিশ্চিত করাকেই বড় চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখছে অভিজ্ঞ মহল। তাদের ভাষ্য, বিএনপিসহ সমমনা রাজনৈতিক দলগুলো ভোট কেন্দ্রে না যেতে উৎসাহিত করছে ভোটারদের। লিফলেট বিতরণসহ করছেন প্রচার প্রচারণা। সেই সঙ্গে রয়েছে স্বতন্ত্র ও নৌকার প্রার্থীদের সহিংস কর্মকাণ্ডের ভীতি। এই অবস্থায় নবীন ভোটারদের কেন্দ্রে নিয়ে আসতে পারাই হবে নির্বাচনের বড় সফলতা।

কথা হয় রাজশাহী কলেজ শিক্ষার্থী সাদমান সাদিকের সাথে। তিনি বলেন, ছোটবেলায় ভোট আসলে উৎসব দেখেছি। এখন তা নেই। তবে আমি এবার নতুন ভোটার হয়েছি। নির্বাচনের দিন পরিবেশ ভালো থাকলে ভোট দিতে যাব। কেন্দ্র কোনো ঝামেলা চাই না। প্রার্থীদেরও আন্তরিক হতে হবে।

রাজশাহী কলেজের আরেক শিক্ষার্থী ফারদিন আহমেদ তুর্য বলেন, এবারের নির্বাচনে অনেক রাজনৈতিক দলের অংশগ্রহণ নেই। যতদূর বুঝতে পারছি তা হল এই নির্বাচনটা মূলত আওয়ামী লীগের নেতারাই স্বতন্ত্র ও নৌকার ব্যানারে বিভক্ত হয়ে প্রার্থী হয়েছে। আমি এবারের নির্বাচনে জীবনের প্রথম ভোটার বলে ভোট দিতে যাবো।

মহানগরীর সাগরপাড়া এলাকার বাসিন্দা আকিব হোসেন বলেন, এবার আমি প্রথম ভোটার হয়েছি। তাই আমি আমার পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দিতে আগ্রহ নিয়ে অপেক্ষা করছি। আমি মনে করি, এলাকার জনপ্রতিনিধি নির্বাচনে ভোট প্রয়োগ আমার মতো প্রতিটি নাগরিকের নৈতিক দায়িত্ব। এক্ষেত্রে কেন্দ্রের নিরাপত্তা ও শান্তিপূর্ণ উৎসবমূখর ভোটের পরিবেশ গুরুত্বপূর্ণ।

তবে বিএনপি বা সমমনা দলগুলো নির্বাচনে না আসায় নতুন ভোটারদের ভোট দানে কোন প্রভাব পড়বে না বলেও মনে করছেন কেউ কেউ। তাদের ভাষ্য, নতুন প্রজন্ম আগুন সন্ত্রাস বা নৈরাজ্য দেখতে চায় না। তারা বাংলাদেশকে আরও এগিয়ে নিয়ে যেতে জীবনের প্রথম ভোট যোগ্য প্রার্থীর পক্ষে প্রয়োগ করবে বলে বিশ্বাস করি। আওয়ামী লীগের ইশতেহারেও নতুন ভোটারদের জন্য কর্মোপযোগী শিক্ষা ও যুবকদের কর্মসংস্থান নিশ্চিত করার কথা বলা হয়েছে। সেই সঙ্গে এবারের নির্বাচনে ভোট কেন্দ্রের উপস্থিতিতে প্রধান টার্গেট জীবনে প্রথম ভোটার হওয়া তরুণরা। এই তরুণদের ভোটে নিয়ে আসতে পারলে অনেক সফল হবে প্রার্থীরা।

রাজশাহী-২ (সদর) আসনে এবারের নির্বাচনে কোনো প্রার্থী ইশতেহার ঘোষণা করেননি। তবে ভোটারদের প্রতিশ্রুতি দিচ্ছেন তারা। প্রার্থীদের প্রতিশ্রুতির মধ্যে আছে বিনিয়োগ ও কর্মসংস্থান উপযোগী নগরী গড়ে তোলা, স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করা। এছাড়াও আধুনিক স্মার্ট নগরী হিসেবে গড়ে তুলতে পারব।

স্বতন্ত্র প্রার্থী শফিকুর রহমান বাদশা সমর্থক শিক্ষক আমিনুর রহমান মধু বলেন, আমরা রাজশাহীর আরও উন্নয়ন চাই। যোগ্য প্রার্থী নির্বাচিত হলে উন্নয়ন করা সম্ভব। আমরা প্রার্থীদের দুয়ারে দুয়ারে যাচ্ছি বিভিন্ন প্রতিশ্রুতি নিয়ে। আশা করি, বাদশা স্যারকে সবাই ভোট দেবেন।

মহানগর ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক দেবাশিষ প্রামানিক দেবু বলেন, বিগত ১৫ বছরে ফজলে হোসেন বাদশা রাজশাহী মসজিদ-মন্দির ও স্কুল-কলেজে ব্যাপক উন্নয়ন করেছেন। এমপি হিসেবে তিনি যা করেছেন তা অন্য এমপিরাও করতে পারেনি। এবার নির্বাচিত হলে তিনি তার অসমাপ্ত কাজগুলো করবেন। এছাড়াও তিনি রাজশাহীতে ইপিজেড প্রতিষ্ঠা করবেন। কর্মসংস্থান বাড়াবেন। আমরা আশাবাদী এবারের নির্বাচনে আবার ফজলে হোসেন বাদশাকে বেছে নেবে রাজশাহীবাসী।


এফএ/এমবি

« PreviousNext »



সর্বশেষ সংবাদ
সর্বাধিক পঠিত
Editor : Iqbal Sobhan Chowdhury
Published by the Editor on behalf of the Observer Ltd. from Globe Printers, 24/A, New Eskaton Road, Ramna, Dhaka.
Editorial, News and Commercial Offices : Aziz Bhaban (2nd floor), 93, Motijheel C/A, Dhaka-1000. Phone : PABX- 0241053001-08; Online: 41053014; Advertisemnet: 41053012
E-mail: info$dailyobserverbd.com, mailobserverbd$gmail.com, news$dailyobserverbd.com, advertisement$dailyobserverbd.com,