তেঁতুলিয়ায় ভোরের রোদেও কনকনে শীত
Published : Friday, 5 January, 2024 at 11:30 AM Count : 122
উত্তরের তেঁতুলিয়ায় সকালে রোদ ঝরলে ঝরছে কনকনে শীত। সে শীতে জর্জরিত প্রান্তিক জনপদের মানুষ। বিপাকে পড়েছেন পাথর শ্রমিক, চা শ্রমিক, দিনমজুর থেকে রিকশা-ভ্যানচালকসহ শ্রমজীবী মানুষগুলো। এতে কমে গেছে তাদের দৈনন্দিন রোজগার। পরিবার-পরিজন নিয়ে তারা কষ্টে দিনযাপন করছে। বিভিন্ন গ্রামাঞ্চলে খড়কুটো জ্বালিয়ে শীতার্তদের শীত নিবারণের চেষ্টা করতে দেখা গেছে। শীত উপেক্ষা করেই জীবিকার তাগিদে নিম্নআয়ের মানুষগুলো কাজে বের হতে দেখা দেখা গেছে।
শুক্রবার (৫ জানুয়ারী) সকাল ৯টায় দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে ৮ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ভোর ৬টায় তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে ৮ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সূর্যের আলোয় রোদ ঝরলে কনকনে শীতের তান্ডবে বইছে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ।
স্থানীয়রা জানান, এ অঞ্চলে দিনের চেয়ে সন্ধ্যার পর শীতের তান্ডব বেশি। রাত বাড়তে থাকলে বরফ হয়ে উঠে রাত। সারারাত কুয়াশার সাথে শিশির বৃষ্টি ঝরে। সে শিশিরও বরফের মতো ঠান্ডা। ঠান্ডার কারণে ছেলে-মেয়েরা পড়ালেখা করতে পারছে না। সকাল ১০টা পর্যন্ত শীতের কারণে কাজ করতে গিয়ে হাতপা অবশ হয়ে আসে। ঘরের আসবাবপত্র, বিছানাপত্র, ঘরের মেঝে পর্যন্ত স্পর্শ করলে বরফের তো ঠান্ডা মনে হয়। ভোরে ভোরে সূর্য উঠে রোদ ছড়ালেও কনকনে শীত। সে হাতপা অবশ হয়ে আসে। আর রাতে খুব ঠান্ডা অনুভব হয়েছে।
শীতের কারণে নিউমোনিয়া, অ্যাজমা, হাঁপানি, ক্রনিক শ্বাসকষ্ট ও ডায়রিয়াসহ শীতজনিত রোগে আক্রান্ত হচ্ছে শিশু থেকে বয়স্ক মানুষ। জেলা ও উপজেলার হাসপাতালগুলোতে আউটডোরে ঠান্ডাজনিত রোগীরা চিকিৎসা নিচ্ছেন। চিকিৎসার পাশাপাশি শীতজনিত রোগ থেকে নিরাময় থাকতে বিভিন্ন পরামর্শ প্রদান করেছেন চিকিৎসকরা।
জেলার প্রথম শ্রেণির আবহাওয়া অধিদপ্তরের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রাসেল শাহ জানান, গত তিনদিন ধরে এ জেলায় ৭ থেকে ১০ ডিগ্রির নিচে তাপমাত্রা রেকর্ড হচ্ছে। শুক্রবার সকাল ৯টায় তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে ৮ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এর আগে ভোর ৬টায় তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৮ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। তাপমাত্রা রেকর্ড অনুসারে এ অঞ্চলে এখন মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। ভোরেই সূর্যের মুখ দেখা গেছে। দিনের তাপমাত্রা স্বাভাবিক থাকছে। এলাকাটি হিমালয় বিধৌত এখানে অন্যান্য এলাকা থেকে শীত আগে নামে। এ সময়টাতে তাপমাত্রা অনেক কম থাকে। তাপমাত্রা আরও কমতে পারে।
এসকেডি/এসআর