ডেঙ্গুতে আরও একজনের মৃত্যু, হাসপাতালে ভর্তি ৭৫
Published : Thursday, 4 January, 2024 at 10:39 PM Count : 137
এডিস মশাবাহিত ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে আরও একজনের মৃত্যু হয়েছে। চলতি বছরে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে এনিয়ে তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। অপরদিকে গত ২৪ ঘণ্টায় সারাদেশে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে আরও ৭৫ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন।
বৃহস্পতিবার স্বাস্থ্য অধিদফতরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুম থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, নতুন করে আক্রান্তদের মধ্যে ঢাকার বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ২৭ জন। আর ঢাকার বাইরের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে ৪৮ জন।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বর্তমানে দেশের বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে মোট ৪৮৩ জন ডেঙ্গু রোগী চিকিৎসাধীন রয়েছেন। ঢাকার সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে বর্তমানে ২৪৪ জন এবং অন্য বিভাগের বিভিন্ন হাসপাতালে ২৩৯ জন ডেঙ্গু রোগী ভর্তি রয়েছেন।
২০২৪ সালের প্রথম চারদিনে সারাদেশে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে মোট ২৯০ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। এর মধ্যে রাজধানী ঢাকায় ৯৮ জন এবং ঢাকার বাইরে ১৯২ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। তবে এ সময়ে গতবছরের রোগীসহ ৫৩২ জন সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছে। এর মধ্যে ১৫৬ জন রাজধানীতে এবং বাকিরা দেশের অন্যান্য হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছিল।
প্রতি বছর বর্ষাকালে ডেঙ্গুর প্রকোপ দেখা দেয়। তবে ২০২৩ সালে জুন মাস থেকে ডেঙ্গু পরিস্থিতির অবনতি হতে থাকে। যা ডিসেম্বর পর্যন্ত অব্যাহত ছিল। ২০২৩ সালে সারাদেশে ৩ লাখ ২১ হাজার ১৭৯ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নিয়েছেন। এর মধ্যে ঢাকায় ১ লাখ ১০ হাজার ৮ জন এবং ঢাকার বাইরে চিকিৎসা নিয়েছেন ২ লাখ ১১ হাজার ১৭১ জন। আক্রান্তদের মধ্যে হাসপাতাল থেকে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ৩ লাখ ১৮ হাজার ৭৪৯ জন। এ যাবৎকালে সর্বোচ্চ ১ হাজার ৭০৫ জন মানুষ মশাবাহিত রোগটিতে মারা গেছেন।
এর আগে, ২০১৯ সালে দেশব্যাপী ডেঙ্গুজ্বরে আক্রান্ত হয়েছিলেন ১ লাখ ১ হাজার ৩৫৪ জন। ওই সময়ে চিকিৎসক-স্বাস্থ্যকর্মীসহ প্রায় ৩০০ জনের মৃত্যু হয়েছিল।
২০২০ সালে করোনা মহামারিকালে ডেঙ্গুর সংক্রমণ তেমন একটা দেখা না গেলেও ২০২১ সালে সারাদেশে ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হন ২৮ হাজার ৪২৯ জন। ওই বছর ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে ১০৫ জনের মৃত্যু হয়েছিল। এছাড়া ২০২২ সালে ডেঙ্গু নিয়ে মোট ৬২ হাজার ৩৮২ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন। এর মধ্যে গত বছর মশাবাহিত রোগটিতে আক্রান্ত হয়ে ২৮১ জন মারা গেছেন।
এমবি