পদ শূন্য তাই মেশিন নষ্ট!
Published : Friday, 1 December, 2023 at 2:16 PM Count : 281
এক যুগের বেশি সময় ধরে মেডিক্যাল টেকনোলজিস্ট(রেডিওগ্রাফি) পদে কেউ না থাকায় ব্যবহার হয়নি এক্স-রে মেশিন। দীর্ঘদিন যাবত অব্যবহৃত থাকায় নষ্ট হয়ে গেছে এক্স-রে করার যন্ত্রটি। বারবার উর্ধতন কর্তৃপক্ষের কাছে চিঠি লিখেও প্রতিকার পায়নি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। ফলে চিকিৎসা সেবায় বিঘ্ন ঘটছে সেবা নিতে আসা রোগীদের। এ অবস্থা পঞ্চগড় জেলার ৫০ শয্যা বিশিষ্ট দেবীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের।
হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, Medicor Hunjan ব্রান্ডের এনালগ এক্স-রে মেশিনটি ১৯৯০ সালে বসানো হয়। তখন থেকে সরকারি ফি দিয়ে এক্স-রে'র সুবিধা পেয়েছিল হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসা রোগীরা। কিন্তু গত ১২ বছরের অধিক সময় ধরে মেশিনটি নষ্ট হয়ে থাকলেও নতুন কোন মেশিন স্থাপন করা হয়নি কিংবা চেষ্টা করেও পুরোনোটি মেরামত করা যায়নি।
হাসপাতালে আগত রোগীরা বাইরের বেসরকারি চিকিৎসা কেন্দ্রে বা ডায়াগনস্টিক সেন্টার থেকে এক্স-রে করে তারপর চিকিৎসা নিচ্ছেন।
দেবীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের পরিসংখ্যানবিদ অলিয়ার রহমান জানান, মূলত দীর্ঘদিন থেকে রেডিওগ্রাফির কোন মেডিক্যাল টেকনোলজিস্ট না থাকায় এক্স-রে মেশিনটি নষ্ট হয়ে গেছে। যন্ত্রটির নিয়মিত ব্যবহার হলে এমনটি হতোনা।
গত ৭ই নভেম্বর জেলার আটোয়ারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের একজন টেকনোলজিস্টকে (রেডিওগ্রাফি) দেবীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে সংযুক্ত করেন সিভিল সার্জন। কিন্তু তিনি এখানে এসে এক্স-রে মেশিনটি চালুর চেষ্টা করেও পারেননি। পরে নিজ কর্মস্থলে ফিরে গেছেন তিনি। তিনি জানিয়েছেন মেশিনটি অকেজো হয়ে গেছে।
বৃহস্পতিবার হাসপাতালে গিয়ে দেখা যায়, মোটরসাইকেল দূর্ঘটনায় আহত টেপ্রিগঞ্জ ইউনিয়নের রহিম উদ্দিনকে চিকিৎসার জন্য নিয়ে এসেছেন তার স্বজনেরা। ডাক্তার প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে বলেছেন "এক্সরে করে আনুন"। সোজা হয়ে দাড়াতে না পারা রহিম উদ্দিনকে হাসপাতালের দোতলা থেকে নামিয়ে অটোরিক্সায় নিয়ে যেতে হয়েছে ডায়াগনস্টিক সেন্টারে, রিপোর্ট নিয়ে আবার ফিরতে হয়েছে হাসপাতালে। এছাড়াও রোগীদের সরকারি এক্স-রে ফি ১১০ টাকা'র পরিবর্তে বাইরে দিতে হয়েছে ৫'শ টাকা।
দেবীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা হাসিনুর রহমান জানান, হাসপাতালের এক্স-রে মেশিন দীর্ঘদিন থেকে নষ্ট তাছাড়া মেডিক্যাল টেকনোলজিস্ট(রেডিওগ্রাফি) নেই। এ বিষয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে বারবার চিঠি লিখলেও কোন সুরাহা হয়নি। সর্বশেষ গত ২০শে নভেম্বর একটি ডিজিটাল এক্স-রে মেশিনের প্রয়োজনীয়তা উল্লেখ করে সদর দপ্তরে পূণরায় চিঠি দিয়েছেন তিনি। তিনি বলেন, "হাসপাতালে আগত যক্ষা রোগী ও দূর্ঘটনায় আহত রোগীদের জন্য এক্স-রে একটি অত্যাবশকীয় যন্ত্র। এটি না থাকায় সাধারণ রোগীরা ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন"।
এইচসি/এমবি