পাখি শিকারীকে জরিমানা
Published : Wednesday, 22 November, 2023 at 9:46 PM Count : 295
খুলনার ডুমুরিয়ায় এক পাখি শিকারীকে পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। সেই সঙ্গে অবমুক্ত করা হয়েছে ২০টি পাখি।
বুধবার পরিবেশ উন্নয়ন ও প্রকৃতি সংরক্ষণ আইনে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) আশিষ মোমতাজ তাকে জরিমানা করেন।
জানা যায়, উপজেলার ধামালিয়া ইউনিয়নের চেচুড়িয়া গ্রামে সরোয়ার আলমের নিকট থেকে ১৯টি ঢংকুর ও একটি হাঁস উদ্ধার করা হয়। পরে তাকে পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ‘ডুমুরিয়া জীব ও বৈচিত্র্য রক্ষা কমিটি’র সহ-সভাপতি সাংবাদিক শেখ মাহতাব হোসেন জানান, তাদের স্বেচ্ছাসেবীরা ২০২০ সালে ৩০ জন পাখি শিকারির থেকে পাখি শিকার না করার মুচলিকা নেন। এ সময় তারা বক, ঘুঘু, শ্যামকৈলসহ বিভিন্ন প্রকার শিকার করা ৩০০ পাখি অবমুক্ত করেন। ২০২১ সালে ২০ জন পাখি শিকারির থেকে মুচলিকা নেন। পাশাপাশি শিকার করা প্রায় ৫০০ এর মতো পাখি অবমুক্ত করেন। আর গত নয় মাসে শিকার করা এক হাজার পাখি অবমুক্ত করেন ও তিনটি ভ্রাম্যমাণ আদালতে প্রায় সাত জন শিকারিকে জরিমানা আদায়ের ব্যবস্থা করেন।
তিনি দাবি করেন, তারা গত ১০ বছরে ডুমুরিয়া এলাকায় শিকার করা প্রায় দুই থেকে তিন হাজার পাখি অবমুক্ত করেছেন।
ডুমুরিয়া অঞ্চলে বর্ষার পানি নেমে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে শুরু হয়েছে নির্বিচারে বিভিন্ন ধরনের পাখি নিধন। শিকারির হাত থেকে রেহাই পাচ্ছে না বক থেকে শুরু করে ঢংকুর, হাঁস পাখিভাড়ই, রাতচোড়া, টোগা, বালিহাঁস, পানকৈড়ি, পারিযাতসহ দেশীয় প্রজাতির অনেকে পাখি। বর্তমানে চলনবিলের বিভিন্ন গ্রামে প্রতি এক জোড়া ভাড়ই বিক্রি হচ্ছে ১০০ থেকে ১১০ টাকা, প্রতি জোড়া বালিহাঁস ৪৫০ থেকে ৫০০ টাকা, টোগা প্রতি জোড়া ৯০ থেকে ১১০ টাকা, রাতচোড়া ১৪০ থেকে ১৫০ টাকা প্রতি জোড়া, বক প্রতি জোড়া ৫০ থেকে ৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
-এমএইচ/এমএ