পুলিশের হাতে অস্ত্রসহ আন্তঃজেলা ডাকাত দলের ৭সদস্য গ্রেপ্তার
Published : Thursday, 9 November, 2023 at 5:02 PM Count : 795
সম্প্রতি পটুয়াখালীর বাউফলে সংঘটিত একাধিক ডাকাতির সঙ্গে জড়িত আন্তঃজেলা ডাকাত দলের ৭ সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছেন পুলিশ।
মঙ্গলবার (৭নভেম্বর) থেকে বাউফলসহ দেশের একাধিক স্থানে ডিবি পুলিশের একাধিক টিম পৃথক অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়। বুধবার (৮ নভেম্বর) বিকালে পটুয়াখালী জেলা পুলিশ সুপারের সম্মেলন কক্ষে পুলিশ সুপার মো. সাইদুল ইসলাম এক প্রেস ব্রিফিং এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- বরিশালের গৌরনদীর বাটাজোড় গ্রামের মো. সোলায়মান হোসেন ওরফে রনি, বাউফল উপজেলার কালাইয়া গ্রামের বাচ্চু সরদার, উজ্জল হোসেন ওরফে সাহেদ, মো. আমিনুল ইসলাম, পূর্ব কালাইয়া গ্রামের জুলহাস ওরফে জুলফু, কনকদিয়া ইউনিয়নের ফারুক হোসেন, দাশপাড়া গ্রামের সুমন আকন ও পিরোজপুরের নজরুল শেখ।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, সম্প্রতি বাউফলে একাধিক ডাকাতির ঘটনা ঘটে। এসব ডাকাতির ঘটনায় জড়িতদের সনাক্ত করতে পুলিশ তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় কাজ শুরু করেন। প্রথমে বাউফল উপজেলার দাশপাড়া গ্রামের সুমন আকন নামে একজনকে সন্দেহজনকভাবে আটক করা হয়। তার দেওয়া স্বীকারোক্তি ও তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করে পুলিশ জানতে পারে একটি সংঘবদ্ধ ডাকাত চক্র এসব ডাকাতির ঘটনা ঘটিয়েছে। ডাকাতির পর পুলিশের চোখ ফাঁকি দিতে চক্রের সদস্যরা দেশের বিভিন্ন প্রান্তে অবস্থান নেন এবং বিভিন্ন পেশায় কাজ শুরু করেন। একটি ডাকাতি করতে মঙ্গলবার ঢাকা থেকে বরিশালের উদ্দেশ্যে ৪ডাকাত সদস্য আসছে এমন তথ্যের ভিত্তিতে ঢাকা-বরিশাল মহাসড়কের ফরিদপুরের রাজৈর এলাকায় অবস্থান নেয় পুলিশ। এসময় হানিফ পরিবহন নামের একটি যাত্রীবাহী বাসে অভিযান চালিয়ে বাচ্চু, উজ্জল, জুলহাস ও নজরুলকে আটক করে পুলিশ। পরে তাদের দেওয়া তথ্যে বরিশালের গৌরনদীর বাটাজোড় গ্রামের সোলায়মান রনিকে গ্রেপ্তার করে। ওই রাতে ডাকাত দলের সহযোগী ও আশ্রয়দাতা কালাইয়া গ্রামের আমিনুল ইসলামকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। আমিনুলের দেওয়া তথ্যে সুমন আকনের বাড়ি থেকে ডাকাতির কাজে ব্যবহৃত ৩টি রামদা, ২টি শাবল ও ১টি তালা কার্টারসহ বিভিন্ন দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার করে পুলিশ।
জেলা পুলিশ সুপার মো.সাইদুল ইসলাম বলেন, সম্প্রতি বাউফলে একাধিক ডাকাতির ঘটনা ঘটে। এসব ডাকাতির ঘটনায় থানায় মামলা করেন ভুক্তভোগীরা। ডাকাতির ঘটনা উদঘাটনে জেলা পুলিশের একটি চৌকস দল মাঠে কাজ শুরু করেন। দীর্ঘদিন কাজ করে ১০ সদস্য বিশিষ্ট ডাকাত দলের খোঁজ মিলে। দলের সদস্যরা দেশের বিভিন্ন প্রান্তে ছদ্মবেশে বিভিন্ন পেশায় নিয়োজিত থাকে। ডাকাতির দিন তারিখ ঠিক হলে সব সদস্যরা একত্রিত হয়ে ডাকাতি সংঘটিত করেন। ডাকাতির অর্থ ও স্বর্ণালঙ্কার বিক্রির টাকা তারা ভাগবাটোয়ারা করে নিয়ে যায়।
এদিকে একাধিক ডাকাতির ঘটনায় জড়িতরা পুলিশের হাতে আটক হওয়ায় স্বস্তি ফিরে এসেছে সাধারণ মানুষের মাঝে।
কালাইয়া ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক মো. কবিরুজ্জামান বলেন, আমার ইউনিয়নের একের পর এক ডাকাতির ঘটনায় সাধারণ মানুষের মধ্যে আতংক ছড়িয়ে পড়ে। ডাকাতির কবল থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য আমরা আইণশৃংখলার সভা করেছি। কালাইয়া ইউনিয়নের প্রতিটি ওয়ার্ডে প্রতিরোধ কমিটি করেছি। রাতজেগে পাহাড়ার ব্যবস্থা করেছি।
তিনি বলেন, অবশেষে ডাকাতদল গ্রেফতার হওয়ায় জনগনের মাঝে স্বস্তি ফিরে এসেছে।
এএস/এসআর