নিখোঁজের এক সপ্তাহ পর কিশোরের গলিত লাশ উদ্ধার
Published : Monday, 6 November, 2023 at 7:44 PM Count : 336
সোমবার সন্ধ্যায় হাজীগঞ্জ সদর ইউনিয়নের দোয়ালিয়া পূর্বপাড়া আম গাছতলা নামক স্থানে সড়কের পাশে বালুর স্তুপের নিচ থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়।
নিহত মো. আরমান হোসেন (১৫) হাজীগঞ্জ পৌরসভাধীন ৪ নং ওয়ার্ড মকিমাবাদ গ্রামের মেস্তুরি বাড়ির মো. আব্দুল মোতালেব দ্বিতীয় ঘরের বড় ছেলে।
এর আগে গত ৩০ অক্টোবর (সোমবার) দুপুরে অটোরিকশা নিয়ে বাড়ি থেকে বের হয়ে নিখোঁজ হয় আরমান হোসেন। সে অটোরিকশা চালিয়ে জীবিকা নির্বাহ করতো।
জানা যায়, গত সোমবার রাতে আরমান নিখোঁজ হয়। এরপর আশপাশের বিভিন্ন স্থানে খোঁজ করেও তার সন্ধান পাওয়া যায়নি। পরে বুধবার হাজীগঞ্জ থানায় নিখোঁজ ডায়েরী করে তার বাবা। আজ বিকেলে ইউনিয়নের দোয়ালিয়া গ্রামের হাজীগঞ্জ-পিরোজপুর সড়ক পাশে বালুর স্তুপ থেকে দুর্গন্ধ বের হয়। লোকমুখে বিষয়টি জানতে পেরে স্থানীয় ইউপি সদস্য মোস্তফা আহমেদ পুলিশকে খবর দেন। পরে সেখান থেকে মরদেহটি উদ্ধার করে পুলিশ।
খবর পেয়ে নিখোঁজের বাবা আব্দুল মোতালেব ও মা পাখি বেগমসহ পরিবারের অন্য লোকজন ঘটনাস্থলে এসে জুতা ও পরনের প্যান্ট দেখে আরমানের লাশ শনাক্ত করে। পুলিশ তাৎক্ষণিক সুরতহাল প্রতিবেদন শেষে ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ চাঁদপুর সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়েছে।
ধারণা করা হচ্ছে, আরমানকে হত্যা করে লাশটি বালুর নিচে চাপা দিয়ে অটোরিকশাটি নিয়ে যায় ঘাতক।
আরমানের বাবা আব্দুল মোতালেব বলেন, আমার ছেলেকে মেরে ফেলা হয়েছে। আমার নিরীহ ছেলেকে কে বা কারা হত্যা করেছে তা পুলিশ তদন্ত করে বের করুক। আমি আমার ছেলে হত্যার বিচার চাই।
তিনি আরও বলেন, পারিবারিক ভাবে কারও সঙ্গে আমাদের কোনো শত্রুতা নেই। কে বা কারা এ ঘটনা ঘটিয়েছে, তা আমরা জানি না। ঘটনা তদন্ত করে প্রকৃত অপরাধীদের বিচার চাই।
এ ব্যাপারে হাজীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মুহাম্মদ আব্দুর রশিদ বলেন, প্রাথমিক ভাবে ধারণা করা হচ্ছে, কিশোর আরমানকে হত্যা করা হয়েছে। তার লাশ উদ্ধার করে মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন হাতে পেলে মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে।
-এইচইউ/এমএ