রাজধানীর মহাখালীতে খাজা টাওয়ারে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ভবন থেকে পড়ে এক নারীর মৃত্যু হয়েছে। নিহত নারীর নাম হাসনা হেনা (২৭)। তিনি ওই ভবনে অরবিট নামের একটি ইন্টারনেট সার্ভিস কোম্পানির সেলসে কাজ করতেন। তার বাড়ি গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জে।
বৃহস্পতিবার (২৬ অক্টোবর) সন্ধ্যায় বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কোম্পানিটির ডেপুটি ম্যানেজার নাজমুল হুদা।
তিনি জানান, হাসনা হেনা ৯ তলায় কাজ করতেন। আগুনের আতঙ্কে একটি তার ধরে গ্রিল টপকে নামার সময় তার ছিঁড়ে পড়ে যান।
এছাড়া কোম্পানিটির আরেক সেলসম্যান মেহেদী হাসান আহত হয়েছেন। তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে বলে জানা যায়।
ফায়ার সার্ভিস নিয়ন্ত্রণ কক্ষের ডিউটি অফিসার রাফি আল ফারুক জানান, মহাখালীর খাজা টাওয়ারে বিকেল ৫টার দিকে আগুন লাগার ঘটনা ঘটেছে। ১৪ তলা ভবনটির ১৩ তলায় আগুন লেগেছে। আগুন নিয়ন্ত্রণে আমাদের ১১টি ইউনিট কাজ করছে।
এদিকে, সশস্ত্র বাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর আইএসপিআর এক ক্ষুদে বার্তায় জানিয়েছে, সেনা নৌ ও বিমান বাহিনীর একটি দল মহাখালীর আগুন নেভানোর কাজে যোগ দিয়েছে। তারা ফায়ার সার্ভিসকে সহযোগিতা করবেন।
খাজা টাওয়ারে আগুন লাগার পর আমতলী থেকে গুলশান এক নম্বরমুখী সড়কের দুই পাশে যান চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে। এতে আশপাশের এলাকায় যানজট তৈরি হয়েছে। এছাড়া সতর্কতা হিসেবে ওই এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। ফলে গোটা এলাকা অন্ধকার হয়ে পড়েছে।
আগুন লাগার পরপর ওই ভবনে থাকা বহু মানুষকে আতঙ্কে ভবনের ছাদে জড়ো হতে দেখা গেছে। কেউ কেউ ঝুঁকি নিয়ে দড়ি বেয়ে পাশের ভবনে নামছেন এমন দৃশ্যও দেখা গেছে।
ফায়ার সার্ভিস বলছে, ভবনটিতে বিভিন্ন বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের অফিস রয়েছে। ভবনের ভেতর থেকে বেশ কয়েকজনকে উদ্ধার করে নিচে নামিয়ে আনা হয়েছে।
প্রাথমিকভাবে আগুন লাগার কারণ ও ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ জানা যায়নি।