শিক্ষক-কর্মচারী না থাকায় বিপাকে নার্সিং ইনষ্টিটিউটের শিক্ষার্থীরা
Published : Monday, 16 October, 2023 at 6:14 PM Count : 192
শিক্ষক কর্মচারী না থাকায় পটুয়াখালীর বাউফলে নবনির্মিত বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব নার্সিং ইনষ্টিটিউটের শিক্ষার্থীরা বিপাকে পড়েছেন। জনবল নিয়োগ না দিয়েই গত জুলাই মাসে ওই প্রতিষ্ঠানে পাঠদান কার্যক্রম শুরু হয়েছে। ফলে ওই নার্সিং ইনষ্টিটিউটের দাপ্তরিক ও পাঠদান কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, ২০১০ সালে নার্সিং শিক্ষার অগ্রগতির জন্য স্থানীয় সংসদ সদস্য আসম ফিরোজ বাউফলে নার্সিং কলেজ প্রতিষ্ঠার জন্য প্রস্তাব করেন। পরে ২০১২ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কলাপাড়া সফরের সময় বাউফলে নার্সিং কলেজ প্রতিষ্ঠার প্রতিশ্রুতি দেন। সম্প্রতি পাঁচ তলা বিশিষ্ট দৃষ্টিনন্দন নার্সিং ইনষ্টিটিউটের নির্মাণ কাজ শেষ হওয়ার পর ৩ বছর মেয়াদী ডিপ্লোমা ইন মিডওয়াইফারি কোর্সে ভর্তির বিজ্ঞপ্তি দেয়া হয়। ওই বিভাগে বর্তমানে ৪৩ জন শিক্ষার্থী রয়েছে।
নবনির্মিত নার্সিং ইনষ্টিটিউটে শিক্ষার্থী ভর্তি করা হলেও নিয়োগ দেয়া হয়নি জনবল। শুধুমাত্র একজন অধ্যক্ষ ও একজন পরিদর্শক নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। প্রতিদিন তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারীদের কাজ অধ্যক্ষ ও পরিদর্শককে করতে হচ্ছে। কয়েকজন অতিথি শিক্ষক দিয়ে চলছে পাঠদান কার্যক্রম।
ইনস্টিটিউটের কয়েকজন শিক্ষার্থী বলেন, শিক্ষার্থীদের মধ্যে শুধু দুই-তিন জন আছেন, যাদের বাড়ি বরিশাল বিভাগে। বাকি শিক্ষার্থীদের বাড়ি বাউফল থেকে ২৫০ থেকে ৪০০ কিলোমিটার দূরে। ভর্তি হওয়ার পর দীর্ঘদিন আমরা হোষ্টেলের মেঝেতে থেকেছি। শ্রেণিকক্ষে বেঞ্চ না থাকায় স্থানীয় আওয়ামী লীগ অফিস জনতা ভবন থেকে চেয়ার ধার করে এনে ক্লাশ করেছি। নিরাপত্তাকর্মী না থাকায় হোস্টেলের মধ্যে ভীত সন্ত্রস্ত থাকতে হয়।
অপর এক শিক্ষার্থী বলেন, রান্না করার জন্য কোনো বাবুর্চি নিয়োগ দেওয়া হয়নি। অধ্যক্ষ ম্যাডাম কখনও বাইরের লোক দিয়ে, না হয় তার বাসার এক খালাকে দিয়ে রান্না করান।
পরিদর্শক ফেরদৌসি বলেন, দ্রুত জনবল সংকট সমাধান করার জন্য ঊর্ধ্বতন কতৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করছি।
নার্সিং ইনস্টিটিউটের অধ্যক্ষ মরিয়ম বেগম সাংবাদিকদের বলেন, এই প্রতিষ্ঠানের কোনো জনবল কাঠামো আমাকে দেওয়া হয়নি। এভাবে একটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান চলতে পারে না। তাই শিক্ষা কার্যক্রম চলমান রাখার জন্য জরুরি ভিত্তিতে চার জন শিক্ষক, দু'জন বাবুর্চি, একজন দারোয়ান, একজন নৈশপ্রহরী, একজন অফিস সহায়ক ও দু'জন পরিচ্ছন্নতা কর্মীর চাহিদা চিঠি দিয়ে নার্সিং ও মিডওয়াইফারি অধিদপ্তরকে অবহিত করা হয়েছে।
-এএস/এমএ