For English Version
সোমবার ৭ অক্টোবর ২০২৪
হোম

কাটাখালী-বাইনতলা সড়ক বৃষ্টি এলেই যেন নদী !

Published : Wednesday, 4 October, 2023 at 2:36 PM Count : 1147


বাগেরহাটের ফকিরহাট উপজেলার কাটাখালী-বাইনতলা পাকা সড়ক খান্দাখন্দে ভরা। খড়ায় ধুলোর কুয়াশা আর বৃষ্টি এলেই যেন দিতে রূপ নেয়। দীর্ঘদিন ধরে এ অবস্থা চললেও সংস্কারের কোন উদ্যোগ নেই বলে অভিযোগ এলাকাবাসীর।

বুধবার সরেজমিনে ঘুরে দেখা গেছে ওই রাস্তার বেশিরভাগ স্থানের অবস্থা চলাচলের অনুপযোগী। তবে কাটাখালী মোড় থেকে প্রায়  ৫৯০ মিটার রাস্তার অবস্থা খুবই শোচনীয়।

দুই দিনের বৃষ্টিতে সড়কের বড় বড় গর্তে পানি নদী রূপ ধারণ করেছে। গভীর গর্তে পানি জমে থাকার কারণে প্রায়ই দুর্ঘটনার ঘটনা ঘটে বলে জানান রাস্তায় চলাচলকারী একাধিক চালক। পানি ভর্তি থাকায় গর্তের গভীরতা অনুমান করতে না পাড়ায় ঘটছে দুর্ঘটনা।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, ব্যস্ততম ও গুরুত্বপূর্ণ এই সড়ক দিয়ে প্রতিদিন শতশত গাড়ি ও হাজারো মানুষ যাতায়াত করেন। কিন্তু সামান্য বৃষ্টিতে মারাত্মক ভোগান্তিতে পড়ে পথচারী, যাত্রী ও যানবাহনের চালকেরা। 

পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা না থাকায় সড়কটি আরো বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। কোমলমতি শিক্ষার্থীসহ নানা বয়সের মানুষ এখান থেকে কাটাখালী, খুলনা, বাগেরহাট, মোংলা, গোপালগঞ্জ, বটিয়াঘাটাসহ বিভিন্ন অঞ্চলে যাতায়াত করে থাকেন। অবিলম্বে সড়কটি সংস্কারের দাবি জানান তারা।

রাস্তায় চলাচল করা ট্রাক ড্রাইভার করিম হাওলাদার বলেন, বৃষ্টি হলেই রাস্তাটি নদীতে রূপ নেয়। আমাদের চলাচল করতে খুবই অসুবিধা হচ্ছে। সড়কটি এমন অবস্থার জন্য রেল কর্তৃপক্ষকে দায়ি করেছেন এলাকাবাসী। এলজিইডি বিভাগ বলছে, বরাদ্দ আসলে সড়কটি সংস্কার করা হবে।

ফকিরহাট উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান স্বপন দাস জানান, খুলনা-মোংলা রেললাইন তৈরি করার সময় ভারী যানবাহন চলাচলের কারণে ওই সড়কসহ বিভিন্ন সড়ক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বিষয়টি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। বরাদ্দ আসলে সড়কগুলো ঠিক করা হবে।

ফকিরহাট উপজেলা প্রকৌশলী মো. আজিজুর রহমান বলেন, খুলনা-মোংলা রেললাইন করার সময় মালবাহী যানবাহন চলাচলের কারণে সড়কটির এমন অবস্থা হয়েছে। সংশ্লিষ্ট উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে সড়কের প্রাক্কলিত ব্যয় পাঠানো হয়েছে। বরাদ্দ আসলে সড়কটি সংস্কার করা হবে। 

তিনি আরো বলেন, সড়কের দুই পাশে অনেক দোকান ও বাড়ি-ঘর রয়েছে। কিন্তু দুই পাশে ড্রেনেজ ব্যবস্থা না থাকায় সড়কের ওপর পানি জমে থাকে। যে কারণে পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা না থাকায় সড়কটি আরো বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। 


এটি/এমবি
 

« PreviousNext »



সর্বশেষ সংবাদ
সর্বাধিক পঠিত
Editor : Iqbal Sobhan Chowdhury
Published by the Editor on behalf of the Observer Ltd. from Globe Printers, 24/A, New Eskaton Road, Ramna, Dhaka.
Editorial, News and Commercial Offices : Aziz Bhaban (2nd floor), 93, Motijheel C/A, Dhaka-1000. Phone : PABX- 0241053001-08; Online: 41053014; Advertisemnet: 41053012
E-mail: info$dailyobserverbd.com, mailobserverbd$gmail.com, news$dailyobserverbd.com, advertisement$dailyobserverbd.com,