পদ্মায় ভাঙন বাড়ছে, বিলীন হচ্ছে ফসলি জমি
Published : Tuesday, 26 September, 2023 at 4:41 PM Count : 1471
রাজবাড়ীর পদ্মা নদীতে পানি কমার সাথে সাথে ভাঙন শুরু হয়েছে। গত দুই সপ্তাহে নদীগর্ভে বিলীন হয়েছে প্রায় ৫০ বিঘা জমির ফসল। হুমকিতে সদর উপজেলার মিজান পুর ইউনিয়নের কয়েকটি গ্রামের ফসলি জমি, বসতবাড়িসহ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান।
সোমবার সরেজমিন দেখা যায়, মিজানপুর ইউনিয়নের নদী তীরবর্তী মহাদেবপুর, বেনিনগর ও কালিতলা এলাকা জুড়ে থেমে থেমে ফসলি জমি ভাঙ্গছে। মাঝে মধ্যে ভাঙ্গনের মাত্রা বেশি দেখা যায়। নদীর পাড়ের অনেক জায়গা দেবে গেছে। পটল, ভেন্ডি, ধুনদুল, উচ্ছেসহ নানা সবজি ও ফসল তোলা নিয়ে শঙ্কায় রয়েছে কৃষক। এই কারণে এখানকার মানুষ নদী থেকে বালু উত্তোলনের জন্য মানববন্ধন করেন।
মহাদেবপুর গ্রামের বাসিন্দা আবুল হোসেন বলেন, ফসলী জমির পর এখন মারাত্বক ঝুঁকিতে পড়েছে মহাদেবপুর, বেনিনগর ও কালিতলা গ্রামের হাজার হাজার বসতবাড়ি, গ্রামীণ সড়ক, ব্রীজ, মহাদেবপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, সিলিমপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়সহ বহু স্থাপনা। জরুরী ভিত্তিতে ব্যবস্থা গ্রহণ না করলে বড় ধরনের বিপদ আসতে যাচ্ছে।
বেনি নগর গ্রামের বাসিন্দা রোকেয়া বেগম বলেন, প্রতিনিয়ত ভাঙ্গনের কারণে নিঃস্ব হচ্ছেন তারা। যেভাবে ভাঙ্গছে এতে বসতবাড়ি নিয়ে নির্ঘুম রাত কাটে পদ্মা পাড়ের বাসিন্দাদের। যে কারণে দ্রæত ব্যবস্থা গ্রহণের দাবী জানান তিনিও।
লালগোলা এলাকার বাসিন্দা সুলতান সরদার বলেন, নতুন করে ভাঙ্গন শুরু হয়েছে এখনও কাজ শুরু হয়নি। আবার গত বছরের ভাঙ্গনে যে সমস্ত এলাকায় ভাঙ্গনরোধে জিও ব্যাগ ফেলা হয়েছিলো তাও কেটে নিয়ে যাচ্ছে গাঁজাখোর ও বখাটেরা। এতেও বাড়ছে ঝুঁকি।
বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড (বাপাউবো) রাজবাড়ীর নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আব্দুল্লাহ আল আমীন বলেন, রাজবাড়ী জেলায় পদ্মা, হড়াই ও গড়াইসহ ৮৫ কিলোমিটার নদীপথ রয়েছে। যেখানেই ভাঙন দেখা দেয় সেখানে গুরুত্বভেদে ব্যবস্থা নেয় পানি উন্নয়ন বোর্ড।
কিছু অসচেতন মানুষের জিও ব্যাগ কেটে নিয়ে যাওয়ার কারণে একই এলাকায় বার বার ভাঙন দেখা দেয়। আবার পানি বাড়লে ওই সকল এলাকা চিহিৃত করাও কষ্টসাধ্য হয়ে পরে। তাই এলাকাবাসীকে এ ব্যাপারে আরো সচেতন হতে হবে।
এসআই/এমবি